শায়েস্তা খাঁন সড়কে যানজটে ভোগান্তিতে মানুষ
তানজিলা তিন্নি
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ০৯:১১ পিএম, ৩ এপ্রিল ২০২৩ সোমবার
# অবৈধ ভাবে রাস্তা দখল কছে হকাররা
নারায়ণগঞ্জ শহরের বহুল পরিচিত রোড শায়েস্তা খান সড়ক। প্রতিদিন নানা কাজে মানুষ একাধিকবার এই সড়ক ব্যবহার করে থাকে। তবে সড়কটির দুই পাশে ছোট বড় সকল ফুটপাতের দোকান এবং ছোট-বড় গর্তে বেহাল দশায় দুর্ভোগের যেন শেষ নেই নগর বাসীর। সাধারণত বৃষ্টি নামলে এই সড়কে হাঁটা চলা করাই প্রায় মুশকিল হয়ে পড়ে। নারায়ণগঞ্জের পুরাতন কোর্টের সঙ্গে, কালির বাজার ফ্রেন্ডস মার্কেট, স্বর্ণপট্টি, নারায়ণগঞ্জ হাই স্কুল, ১নং গেট ও ৫নং ঘাটের সংযোগস্থল হিসেবে কাজ করে এই সড়কটি।
এই সড়কটির দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় সড়কের কিছুু অংশে কার্পেটিং উঠে গিয়ে বড় বড় খানা খন্দে পরিণত হয়েছে। এসব খানা-খন্দের জন্য পায়ই গাড়িচালকদের বিভ্রান্তির মধ্যে পড়তে হয়। বৃষ্টির সময় এসব খানাখন্দে পানি জমে থাকায় রাস্তা অনেকটা অচল অবস্থায় থাকে। এসব খানাখন্দ পুরাতন কোর্ট থেকে শুরু করে কোর্ট মসজিদ পর্যন্ত বিস্তৃত।
এদিকে মসজিদের পাশেই শায়েস্তাখান রোডের উপরে শহরের সবথেকে বড় পাইকারীর সবজির বাজার দিগু বাবুর বাজারে প্রবেশ পথ অবস্থিত। যার ফলে বাজার করতে আসা অনেকেই সড়কের এই অংশের জন্য যানজটের কবলে পড়ে। সড়কটি বঙ্গবন্ধু সড়ক থেকে প্রবেশ মুখে দক্ষিণ পাশে কোর্ট থেকে মসজিদ পর্যন্ত ফুলের গাছ, ফলসহ নানা জিনিস বিক্রি করা হয়। একই সাথে তার বিপরীত অর্থাৎ উত্তর পাশে রাস্তা দখল করে জামা-কাপড়ের রমরমা ব্যবসা চলে দুপুরের পর থেকেই। সড়কটির দুই পাশে ফুটপাতে বসা এসব দোকানের জন্য প্রায়শই যানজটের সৃষ্টি হয় এবং এই যানজট দীর্ঘ সময় পর্যন্ত স্থায়ী থাকে, যার ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হয় এই সড়কে যাতায়াতরত পথচারীদের।
অপরদিকে প্রতিদিন স্কুল-কলেজের শিক্ষাথী, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ীসহ সর্বস্তরের মানুষ এ সড়কটি ব্যবহার করে থাকে। তবে এ সড়কটির নিত্য দিনের চিত্র প্রায় একই থাকে। বর্তমানে রোজায় ঈদের মৌসুমে কালির বাজার ফ্রেন্ডস মার্কেটে গজ কাপড়সহ নানা প্রকার জামা কাপরের ঈদ বাজার করতে আসা অনেকেই এই সড়কটি নিয়ে অভিযোগ করছেন। ভুক্তভোগীদের মতে, এখানের ভাঙ্গা রাস্তার জন্য সড়কে গাড়ি চলাচলে সমস্যা হয় এবং দুপাশে ফুটপাতের দোকানের জন্য মানুষ কোনো উপায় না পেয়ে রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হয়। যার ফলে প্রায় মানুষের গা ঘেষেই গাড়ি চলাচল করে বলা যায়। ঈদের মৌসুমে লোক চলাচল আরো বাড়বে।
ঈদের কেনা কাটা করতে আসা ফারিহা বলেন, এখানে যখনই আসি তখনই যানজটের সমস্যা থাকে। আর প্রায় দিন এখানে হকাররা রাস্তা দখল করে জামা কাপর বিক্রি করা দোকান গুলোতে ভির থাকার কারণে আমাদের রাস্তা দিয়ে হাঁটা চলাচল করতে হয় নানা সমস্যা হয়। আর রিক্সাওয়ালারা তো পারেন না ধাক্কা দিয়ে দেয়। এখানে এই দোকানগুলো না থাকলে আরো ভালো হত। আর বৃষ্টির দিনে তো কোন কথাই থাকে না। রাস্তাদিয়ে হাঁটাই যায় না।
রাস্তা দখল করে জামা কাপর বিক্রি করা একজন হকার বলেন, অনেক বছর ধরেই এখানে ব্যবসা করছি । কিন্তু পুলিশ মাঝে মাঝে এসে দোকান উঠিয়ে দেয়। তবে তারা চলে গেলে আবার কিছুক্ষণ পরে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি শুরু করি। আর জীবিকার তাগিদে এই ছোট ব্যবসা করে খাই এখন ব্যবসা করার জন্য যে দোকান ভারা নিব এমন কোনো অবস্থা নেই। তাই এখানেই দুপুরের পরে বসে কোনো রকম বেচাকেনা করে খাই। এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, “এ বিষয় আমি দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।” এন.হুসেইন/জেসি