রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

২নং রেলগেট এলাকা হ-য-ব-র-ল

লিমন দেওয়ান

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৯:০৭ পিএম, ৪ এপ্রিল ২০২৩ মঙ্গলবার

 

 

# অবৈধ স্ট্যান্ডের কারণে রমজানে ও ব্যাপক যানজট সৃষ্টি

 

 

পবিত্র মাহে রমজানে নগরীর জনগণকে স্বস্তিতে চলাচলের লক্ষে শহরকে যানজটমুক্ত রাখতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে প্রসাশন। তার পাশাপশি ব্যবসায়ী নেতা ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম সেলিম ওসমান ও রমজান মাসে যানজট যেন নারায়ণগঞ্জে না থাকে সেই লক্ষে ২৫ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। তবে পবিত্র রমজান মাসের ১১ দিন অতিবাহিত হতেই বিগত দিনের মতোই যানজটের কবলে পড়ছে নগীর জনগণ।

 

জানা গেছে, যেখানে সেখানে গাড়ি পাকিং দখল না করার পাশাপাশি শহরে ব্যাটারি চালিত রিক্সা আর মিশুক প্রবেশ নিষেধসহ নানা দিক নির্দেশনা থাকলেও সেগুলো মানছে না কেউই। বর্তমানে শহরে দেখা যাচ্ছে কিছু স্পটে পুলিশ সদস্যদের পাশপাশি বেশ কিছু কমিউনিটি পুলিশিং সদস্যদের ডিউটি করতে দেখা গেল ও সেই সদস্যদের কিছু কারচুপির কারণে শহরে অনুপ্রবেশ বন্ধ হচ্ছে না। অপর দিকে ২নং রেলগেইটের সামনে দিয়েই যেহেতু গাড়িগুলো অতিক্রম করে চাষাঢ়ায় আসতে হয়।

 

তাই এটাকেই মূল সড়ক করা হয়ে থাকে। কিন্তু এখানে আসলেই দেখা মিলে এক দৈন্যদশার। যত্রতত্র বাস, প্রাইভেট কার, ট্রাক, সিএনজি চলতি অটো রিক্সা, রিক্সা, গাড়ী পাকিং ভ্রাম্যমান। দোাকানে হ-য-ব-র-ল অবস্থা। শহরের ব্যস্ততম সড়ক সহ অধিকাংশ বাণিজ্যিক এলাকার সিংহভাগ জায়গা দখল করে রেখেছে অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা যতসব সন্ট্যান্ড ও ফুটপাত হকার।

 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শহরের যেখানে সেখানে যানবাহন দাঁড় করিয়ে রাখা হচ্ছে। মোড়ে মোড়ে গড়ে উঠেছে অসংখ্যক অবৈধ স্ট্যান্ড। এতে শহরে সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের। ভোগান্তির সৃষ্টি হচ্ছে শহরবাসী। কিন্তু পুলিশ প্রসাশন থেকে বলা হয়েছিল এই রমজান মাসে কোন অবৈধ সন্ট্যান্ডের সায়লাব হবে না শহরে পুরো শহর থাকবে যানজটমুক্ত। তাই নারায়ণগঞ্জের সুশীল সমাজ বলছে কেউ কথা রাখেনি, কেউ কথা রাখেনা। কারণ কেউই এই শহরকে ভালোবাসে না।

 

তাই এই রমজান মাসেও শহরজুড়ে যানজট সৃষ্টি হওয়ায় ১ মিনিটের পথ পাড়ি দিতে সময় লাগে প্রায় ঘন্টা। এই যানজটের কবলে পড়ে শিক্ষার্থী, চাকুরী, এ্যাম্বেুলন্স, ফায়ার সার্ভিসসহ জরুরী কাজে ব্যাঘাত ঘটছে। আর এটার মূল রহস্য হচ্ছে ২নং রেল গেইট মিড টাউনের সামনে অবৈধ সিএনজি, ব্যাটারি চালিত অটো, গাড়ি পাকিংয়ের স্ট্যান্ড বসিয়ে দখল করে রাখা হয়েছে। আর যার নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছে কিছু সংখ্যক অসাধু ট্রাফিক পুলিশ।

 

যারা কিছু টাকার বিনিময়ে তাদের হাতে রাস্তা তুলে দিয়ে সাধারণ জনগণকে ভোগান্তিতে ঢেলে দিচ্ছে। আর এ সকল স্ট্যান্ডের কারণে শহরে প্রায় যানজট লেগেই থাকে। জানা গেছে, আর এসকল অবৈধস্ট্যান্ড সড়াতে জেলা প্রশাসন ও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে প্রায় সময়ই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হলে ও আবারো পুনরায় বসে এই অবৈধ স্ট্যান্ড আর তার কারণেই শহরে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। আর এই পবিত্র ও সংযমের মাসে ও শহরবাসীকে পোহাতে হচ্ছে দূর্ভোগ।

 

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) রুহুল আমিন সাগর যুগের চিন্তাকে জানান, আমি এ বিষয়ে অবগত আছি। আজকে আমি সেখানে গিয়ে সকল গাড়ি সেখান থেকে খালি করে ফেলে রাস্থার পরিস্থিতি অনেকটাই ঠান্ডা করেছিলাম। আমি এসে যাওয়ার পর মনে হয় আবার বসছে আমি এটার জন্য শীঘ্রই একটি পদক্ষেপ নেব।

এস.এ/জেসি