রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জীবন

নুরুন নাহার নিরু

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০২:২৩ পিএম, ৮ এপ্রিল ২০২৩ শনিবার

 
বাংলা মাসের চৈত্রের শেষের সপ্তাহ চলছে। রোদে ফিরেছে সেই আঁচ। এর মধ্যে চলছে পবিত্র মাহে রমজানে দ্বিতীয় ধাপ মাগফিরাত। রোদের প্রচন্ড তাপ আর তীব্র গরমে হাসফাঁস করছে নরগবাসী। টানা কয়েকদিন যাবৎ তাপমাত্রা সর্বোচ্চ রেকর্ড করা হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই। চলতি সপ্তাহেও নগরে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।  

 


আবহাওয়া অধিদপ্তরের চলতি মাসের তথ্য অনুযায়ী,  এ মাসে তাপমাত্রা বেশি থাকবে এবং ধীরে ধীরে এটা বাড়তে থাকবে। আর এই তাপমাত্রা গতবারের এ মাসের তুলনায় তীব্র হতে পারে।

 


এদিকে তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেছে জনজীবন। প্রচন্ড গরমে শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধরা ভীষন অস্বস্তিতে পরেছেন। তবে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পরেছে দিন এনে দিন খাওয়া মানুষেরা। বিশেষ করে তীব্র রোদের তাপে দিনমজুর, রিকশাচালকরা কাজ করতে পারছেন না। এতে অনেককে দেখা যায় বিভিন্ন ছায়াময় স্থানে বসে আছেন আবার অনেকে জীবিকার তাগিদে প্রচন্ড তাপদাহ উপেক্ষা করে কাজে বেরিয়েছেন।

 


 এ ব্যাপারে এক রিকশা চালকের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ছোট বেলা থেকেই রমজান মাসে রোজা রাখি। সারা বছর নিজের অজান্তে কত পাপ করে থাকি। আল্লাহ আমাদের এই ১টা মাস দিয়েছে সব পাপ মুছে ফেলার তো এই মাসে যদি ইবাদত না করি তাহলে কি হয়। রোদের যে তাপ রোজা রেখে  রিকশা চালাতে অনেক কষ্ট হয়। কিন্তু কী আর করার সংসারের খরচ চালাতে হলে কাজ তো করতেই হবে।

 


একই ব্যাপারে ভ্যান চালক মতিন মিয়া বলেন, ভ্যান চালিয়ে প্রচন্ড তাপে ক্লান্ত হয়ে যাই। রাস্তা থেকে যে ঠান্ডা শরবত বা আইসক্রিম কিনে খাবো তারও কোনো উপায় নেই রমজান মাস রোজা রাখতে হয়।

 


 শহিদনগরের নাছরিন নামের এক বাসিন্দা বলেন, টিনের রুম আমাদের। দিনের বেলা রোদের তাপে ঘরে থাকা যায় না। আর রাতের বেলাতেও হালকা গরম গরম ভাব থাকে। তার মধ্যে রমজান মাস রোজা রেখে সারাদিন ক্লান্ত হয়ে যে একটু ঘুমাবো বিছানা থেকে মনে হয় আগুনের ভাপ বের হচ্ছে।

 


 নিতাইগঞ্জের একজন দিনমজুর বলেন, একে তো রমজান মাস আর মধ্যে তাপদাহ সারাদিন কষ্ট করি তারপরেও জিনিস পত্রের দাম বেশি হওয়ার কারনে দিন শেষে পরিবারের ছেলেমেয়েদের নিয়ে ভালো খাবারও কপালে জোটে না। রোদে পুড়ে কঠোর পরিশ্রম করেও যদি পরিবারের সন্তনদের ভালো কিছু খাওয়াতে পারতাম তাহলে এই কষ্টটা গায়ে লাগতো না। এন.হুসেইন/জেসি