যানজটে নাকাল জনজীবন
যুগের চিন্তা রিপোর্ট
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ০২:১০ পিএম, ৯ এপ্রিল ২০২৩ রোববার
নগরীর অনিয়ম আর অব্যবস্থাপনায় স্থবির হয়ে উঠেছে ট্রাফিক ব্যবস্থা। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ভয়াবহ যানজটে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে নগরীর বাসিন্দারা। সরেজমিনে দেখা গেছে, শহরের অন্যতম সড়ক নবাব সিরাজদ্দৌলা রোড, শায়েস্তা খান সড়ক এবং ১নং রেল গেট থেকে খানপুর সড়ক পর্যন্ত যানযটের জন্য নগরবাসীর চলাচল দুস্কর হয়ে পড়েছে। শায়েস্তা খান রোডে আসা এক মালবাহী ট্রাক চালক মোজাম্মেল বলেন, নিতাইগঞ্জ থেকে চাষাড়ায় আসতে আসতে প্রায় ১ ঘন্টা যানজটের মধ্যে পরে আছি। রাস্তায় যেন গাড়িই চলছে না, কিছুক্ষণ পর পর থেমে থেমে চলছে গাড়ি।
যানজটে আটকে থেকে স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ তাদের মূল্যবান সময় এই যানযটে অপচয় করতে বাধ্য হচ্ছে। এই যানজটের কারনে ক্ষুদ্ধ হয়ে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জের সাধারণ মানুষ। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, নবাব সিরাজদ্দৌলা রোড, বঙ্গবন্ধু সড়ক থেকে চাষাড়া গোল চত্বর পর্যন্ত ঢুকতেই পরতে হয় যানযটের কবলে।
যার কারণে রিকশার ভাড়াও দ্বিগুন বেড়ে যায়। এই পরিস্থিতির কারনে অনেকেই রিকশার পরিবর্তে হেঁটে নির্ধারিত গন্তব্যে পৌছাতে বাধ্য হন। নগরীর অধিকাংশ ফুটপাত হকাররা দখল করে অবৈধভাবে দোকানপাট বসিয়েছে, এতে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে । পাশাপাশি নগরী জুরে ব্যটারিচালিত অবৈধ অটোরিকশা আর সিএনজির ছড়াছড়ির কারনেও এই সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
পথচারিদের সঙ্গে আলাপকালে তারা জানান, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শহরে ঢাকাগামি বাসগুলো ২ নম্বর রেলগেট চত্বর ঘুরতেই যানজট লাগে। আর সমস্যা ইদানিং যেন বেড়েই চলছে। বহুতল ভবনগুলোর সামনে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং যানজটের অন্যতম কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর বর্তমানে সামনে ঈদকে কেন্দ্র করে এর মাত্রা আরো অনেকখানি বেড়ে গেছে।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) মো: সাগর বলেন, যানযট নিরসনে আমরা শহরের মধ্যে যথাসম্ভব চেষ্টা করছি অবৈধ অটোরিকশা ও ইজিবাইক নিয়ন্ত্রন করার জন্য। যাতে এই গাড়িগুলো না ঢুকে যানজটের সৃষ্টি না করে সমস্যা কমে যায়। আর আমরা আবার সন্ধার পর পর আবার যাবো দেখার জন্য, এই ভোগান্তি যেন কমে যায় আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। তিনি আরো জানান, শহরে যানজট মুক্ত করতে হলে পরিবাহন মালিকদের সচেতন হতে হবে সবার আগে। এন.হুসেইন/জেসি