হকারদের দখলে ফুটপাত, মানুষ চলছে রাস্তা দিয়ে
যুগের চিন্তা রিপোর্ট
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ০৪:৩৪ পিএম, ১০ এপ্রিল ২০২৩ সোমবার
নারয়ণগঞ্জ শহরের পোষাকের মার্কেট গুলোতে আসছে ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে তেমন ভিড় না থাকলেও নগরীর ফুটপাতগুলোতে রয়েছে মানুষের সমাগম। তবে এসব ফুটপাতে বসা দোকানগুলোর জন্য মানুষ নামছে রাস্তায়। যার ফলে প্রায় অকারণেই সড়কে সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের। যার ফলে ভোগান্তিতে পড়ছে ঈদের কেনা-কাটা করতে আসা সাধারন মানুষদের।
নারায়ণগঞ্জ শহরের প্রায় সব সড়কেই ফুটপাত দখল করে নানা পোষাক বা পন্যর দোকান বসানো হচ্ছে। এসব দোকান বসানোর কোনো অনুমতি না থাকলেও প্রতিদিন বসছে ফুটপাতের উপর দোকান। আর সাধারন মানুষ বর্তমান নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়তি থাকায় সবাই ইদের কেনাকাটা করার জন্য ঝুকছে ফুটপাতে বসা এসব ভাসমান দোকান গুলোর দিকে।
তবে এসব ভাসমান দোকানের জন্য বিপাকে আছেন পথচারীররা। অসহায় অবস্থায় একপ্রকার রাস্তা দিয়ে হাটছেন মানুষ। রাস্তায় মানুষের চলাচলের কারণে দুর্ঘটনার ঝুকি ও কিছুটা বাড়ছে। পাশাপাশি রাস্তাদিয়ে চলাচলের ফলে সড়কের যানজটের বিশৃঙ্খলা হচ্ছে।
একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করা সাইফের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, বর্তমানে ঈদের মরসুম হওয়ায় মার্কেট গুলোতে একটু ভির বাড়ছে তবে আমাদের মতো যারা কাজের জন্য বের হয় তাদের নিজের গন্তব্যে পৌছাতে দ্বিগুন সময় লাগে। যার ফলে আমাদের দৈনিক কাজে নানা ধরনের সমস্য হয়ে থাকে আমরা সময়ের কাজ সময়ে করতে পারি না।
সিয়াম নামের আরেকজন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা বলেন, নারায়ণগঞ্জে অনেক মানুস আমরা এক সাথে বসবাস করি। তাই চরাচলে আগের থেকে বেমি সমস্যায় পড়তে হচ্ছে প্রায় দিন। গাড়ি বা রিকশা ব্যবহার করলে জ্যামে পড়তেই হচ্ছে। তার উপড় ফুটপাত দিয়ে হাটার কোনো অবস্থা নেই মানুষের গাদাগাদিতে অবস্থা খারাপ। ফুটপাতে শুধু মানুষের হাটার জায়গা বাদে সব আছে শুধু হাটার জায়গা টুকু নেই।
ফুটপাতের একজন জুতা ব্যবসায়ী নান্নু মিয়া বলেন, ঈদ উপলক্ষে আমাদের এখন কেউ কিছু বলেন না। আমরা আগে ব্যবসা করার সময় প্রস্তুতি নিয়ে থাকতাম কখন আমাদের পুলিশ এসে এখান থেকে উঠিয়ে দিবে। তবে তখন মাঝে মাঝে আমাদের উঠিয়ে দিরেও এখন ঈদ উপলক্ষে আমাদের তারা একটু ছাড় দেন। আর তাই আমাদের ঈদের বেচাকেনা আমরা একটু ভালো তবে আগের বছরের তুলনায় এবছর একটু কম তাও ভালোই আছে।
অন্য এক পোষাক ব্যবসায়ীর কাছে ফুটপাত দখল করে দোকান বসিয়ে পথচারীদের অসুবিধার বিষয় প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমাদের কিছু করার নেই। বুজতে পারছি মানুষের চলাচলে একটু অসুবিধা হচ্ছে, আমাদের যে সুবিধা হচ্ছে তা নয়। আমরা নিচে দোকান বসানোর ফলে আমাদের ও নানা অসুবিধা হচ্ছে।
তবে ঈদের ব্যবসা যদি আমরা না করতে পারি তাহলে আমরা নিম্নবিত্ত মানুষ না খেয়ে মরবো। আর বর্তমানে বাজারের যেই অবস্থা আমরা নিম্ন আয়ের মানুষ যদি কাজ করে না খেতে পারি তাহলে আমাদের আর কিছু বলার নেই।
নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) মো: সাগর এবিষয় জানান, আমরা রাত ৮টার পর ফুটপাতের দোকন বসানোর অনুমতি দিয়েছি। তার আগে তাদের দোকান বসানোর কোনো অনুমতি নেই। এন.হুসেইন/জেসি