রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নেই ড্রেনেজ ব্যবস্থা সামান্য বৃষ্টিতেই জমে থাকে হাঁটু পানি

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০১:১০ পিএম, ১২ এপ্রিল ২০২৩ বুধবার


সদর উপজেলার গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ডটি যেন অনেকটাই অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে। হত্যা মামলায় ইউপি মেম্বার পালিয়ে বেড়াচ্ছেন আর চেয়ারম্যান সাহেব নির্বাচনের পরে একটি বারের জন্য তার চেহারা দেখাতে যায়নি এমনটাই অভিযোগ ৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের।

 

 

গতকাল মঙ্গলবার ১১ এপ্রিল সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় এমনি চিত্র আর শোনা যায় স্থানীয়দের ভাষ্য। স্থানীয়রা জানান, গত বছরের নির্বাচনের পরে অত্র ওয়ার্ডে বিন্দু পরিমানে উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি। স্থানীয় চেয়ারম্যান আলহাজ ফজর আলী যদিও নির্বাচনের পুর্বে বলেছিলেন অত্র ওয়ার্ডের উন্নয়নের জন্য আমি ২৬ লক্ষ টাকা দিবো।

 

 

টাকাতো দুরের কথা একটি বারের জন্য তার চেহারাও দেখেনি। স্থানীয়রা জানান,সামান্য বৃষ্টি হলেই ওয়ার্ডের বেশীরভাগ রাস্তাগুলোতে হাটু পর্যংন্ত পানি জমে থাকে। যার ফলে স্কুলের প্রতিটি শিক্ষার্থী এবং মসজিদের মুসুল্লীদের পাশাপাশি আমাদেরও সমস্যা হয় চলাচলে। তাছাড়া সামান্য বৃষ্টির ফলে এলাকায় থাকা কবরস্থানে লাশ দাফনেও অনেকটা সমস্যা হয় আমাদের।

 

 

সবকিছুর মুলে তারা বলেন,আমাদের এখানে প্রতিটি মহল্লায় বিন্দু পরিমানে ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই। যার ফলে বৃষ্টি হলে পানি সরানোর কোন ব্যবস্থা নেই। এছাড়াও বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে দৈনন্দিন কাজে ব্যবহৃত পানি নিস্কাসনেরও ব্যবস্থা নেই। অনেকেই নিজ বাড়ির সামনে মাটি কেটে বিশাল আকৃতির গর্ত তৈরী করেছেন নিজেদের ব্যবহৃত পানি সরতে।

 

 

স্থানীয়রা আরো অভিযোগ করেন,দৌলত হোসেন মেম্বার হত্যা মামলায় স্থানীয় ইউপি মেম্বার পলাতক রয়েছেন। অভিভাবকহীন হয়ে পড়া অত্র ওয়ার্ডের নাগরিক সমস্যা সমাধানে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারন মানুষগুলো। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক মানুষ জানান, বৃষ্টির পানি সমস্যা সমাধানে চেয়ারম্যানের কাছে গিয়ে বললে তিনি বলেন, তোমরা নিজেরাই তো পারো ২/৩ গাড়ি বালু কিনে ফেলে দিতে এজন্য আমার কাছে আসতে হয় নাকি।

 

 

অনেকেই বলেন, আমাদের সাবেক দুই চেয়ারম্যান অনেক ভালো ছিলেন। প্রয়াত নওশেদ চেয়ারম্যানকে যখন যে সমস্যার কথা বলতাম তিনি তাৎক্ষনিকভাবে তা সমাধান করতেন। তার মৃত্যুর পর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নুর হোসেন সওদাগরও তার মত ছিলেন। এলাকাবাসীর কোন সমস্যা দেখা দিলে তা দ্রুত সমাধান করতেন।

 

 

এখানে রাস্তার উপর যে ইটের সলিং দেখছেন তা সবই নুর হোসেনের তৈরী। পাশাপাশি নতুন কয়েকটি রাস্তারও কাজ করেছেন। কিন্তু ওয়ার্ডবাসীর দুঃভাগ্য যে উন্নয়ন প্রেমী দুই জনের কেউ নেই। আর বর্তমান চেয়ারম্যান তো আরেক মানুষ। তিনি শুধু মৌখিক উন্নয়নে বিশ্ববাসী মৌলিক উন্নয়নে নয়। আমরা অত্র ওয়ার্ডের ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ নানাবিধ সমস্যা সমাধানে ইউএনও মহোদয়ের সদয় হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এন.হুসেইন/জেসি