পচে যাওয়া তরমুজে বিপর্যয়ে ফলের আড়ৎ
হাসিবা নিঝুম
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ০১:২২ পিএম, ১২ এপ্রিল ২০২৩ বুধবার
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে ইফতারে ফল হিসেবে চাহিদা রয়েছে তরমুজের। এছাড়াও তীব্র গরমে কিছুটা স্বস্তির জন্য অনেকেই বেছে নিচ্ছে এটা। সেই চাহিদা মেটাতে চলতি মৌসুমে নারায়ণগঞ্জে বেড়েছে তরমুজের সরবরাহ। প্রতিদিনই বিক্রি হচ্ছে কোটি কোটি টাকার তরমুজ।
রোজ বড় ট্রলারে করে বরিশাল, চাঁদপুর প্রভূতি এলাকা থেকে নদী পথে পাচঁ হাজারেরও বেশি তরমুজ আসছে। ট্রলার থেকে তরমুজ মাথায় করে আড়ৎদারদের ঘরে টাল দিচ্ছেন শ্রমিকরা। তীব্র গরমের সুযোগ নিয়ে তরমুজের দাম বেশি রাখছেন ব্যাবসায়ীরা। যার কারণে নিম্নবিত্তদের হাতের নাগালের বাহিরে এটি।
আর সেখানে পচে যাওয়া তরমুজে ভাসছে নারায়ণগঞ্জ শহরের শীতলক্ষ্যা নদী। এর গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে আকাশ বাতাস সর্বত্র। পচা দুর্গন্ধে হাঁটা যায় না নদীর পাশ দিয়ে। এতে পরিবেশ বির্পযয়ের আশঙ্কা করছেন পথচারী ও ব্যবসায়ীরা। গত কয়েক মাস ধরে তরমুজের ব্যবসা ভালো হচ্ছে বলে জানায় ব্যবসায়ীরা।
তাপদাহের কারনে বেশিদিন যাবত তরমুজ সংরক্ষন করে রাখতে পারছেন না বলে পঁচে যাওয়া তরমুজ গুলো ফেলা হচ্ছে নদী ও নদীর তীরে। গতকাল সরে জমিনে গিয়ে দেখা যায়, কালির বাজার চারারগোপের নদীর তীরে এবং নদীতে ভাসছে পঁেচ যাওয়া হাজারও তরমুজ।
এ বিষয়ে একজন পথচারী জানান, তরমুজ দূষনের মাত্রা এতটাই বেড়ে গেছে যে এর গন্ধ বাতাসের মাধ্যমে আশেপাশে ছড়িয়ে পড়ছে। এতে পরিবেশের বিপর্যয়ের পাশাপাশি তারা মরাত্মক স্বাস্থজুকির মধ্যে রয়েছেন। তিনি আরো বলেন, দশ হাজার তরমুজ এলে চার হাজান তরমুজই পচাঁ বের হয়।
ফলে এসব তরমুজ গুলো যাচ্ছে নদীতে কিন্ত নদীতে পানি না থাকায় তরমুজ গুলো পঁচে আরো পরিবেশ দূষন করছে। শুধু তাই নয় খুচরা ব্যবসায়ীরা যেখানে সেখানে পচাঁ তরমুজ ফেলে আরো বেশি পরিবেশ দূষন করছে। এন.হুসেইন/জেসি