ক্রেতা থাকলেও জমে ওঠেনি পাঞ্জাবির বাজার
মেহেরীন জারা
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ০৮:১০ পিএম, ১৮ এপ্রিল ২০২৩ মঙ্গলবার
# ঈদের দু-একদিন আগে বিক্রি আরো জমে উঠবে
ঈদ যতো কাছে আসছে ততই বাড়ছে ঈদের আমেজ। তবে বেচাকেনায় পিছিয়ে আছে পাঞ্জাবির দোকানিরা। নতুন পাঞ্জাবিতে রোজার ঈদের আনন্দ অতুলনীয়। ঈদের মধ্যে পুরুষের প্রথম পছন্দই পাঞ্জাবিতে। ঈদে যেমন নারীদের আকর্ষণ থাকে শাড়িতে তেমনিভাবে সব বয়সের ও পেশার মানুষের ঝোঁক থাকে তাদের পছন্দের পাঞ্জাবিতে। তাই রমজানের শেষ সময়ে এসে ফুটপাত ও অন্যন্যা মার্কেটগুলোতে বেড়ে চলেছে ভিড়। প্রতি বছরের ন্যায় এবার একটু ভিন্ন চিত্র লক্ষ্য করা যায়। অন্যান্য পোশাকের তুলনায় এখনো জমে উঠেনি পাঞ্জাবির দোকানগুলো। দাম তেমন একটা বাড়েনি বলে জানান বিক্রেতারা।
চাষাড়া বঙ্গবন্ধু সড়কের পাশে পাঞ্জাবির দোকানগুলোতে তেমন ভিড় দেখা যায় নি। তবে গুলশান হলের সামনে পাঞ্জাবি বিক্রেতারা বলেন, এবার রোজার প্রথম দিকে তেমন বেচাকেনা হয়নি বললেই চলে, কিন্তু ২০ রোজার পরপর কিছুটা বিক্রিবাট্টা বেড়েছে বলে জানান তারা। তারা আরো বলেন, ভিতরের দোকানগুলো থেকে মানুষ এখন কমই কেনাঁকাটা করে, ফুটপাতে কম দামে বিক্রি হয় বলে সেখানেই ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা। বাচ্চাদের পাঞ্জাবি সর্বনিম্ন ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছে, আর বড়দের ৫০০ থেকে ২০০০ টাকার মধ্যে বিক্রি করছেন তারা।
সেখানকার ফুটপাতে এক বিক্রয়কর্মী রফিক জানান, নতুন নতুন শোরুম হওয়ার কারণে বেশিরভাগ মানুষই এখন ভিতর থেকেই পাঞ্জাবি কেনাকাটা করছে। কেউ কিনছেন আবার কেউ দেখে চলে যাচ্ছে। আর এখন যেহেতু রোজার শেষ সময় তাই অনেকে ছুটি কাটানোর জন্য আগেবাগে গ্রামে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। আরেক বিক্রেতা জানান, গত বারের তুলনায় এখন বেচাকেনা খুবই খারাপ। এছাড়া সবার বেতন বোনাস এখনোও হয়নি এটাও একটা কারণ।
বঙ্গবন্ধু সড়কের পাশের পাঞ্জাবির দোকানে রিপন নামে এক ক্রেতা জানান, নিজের ও নিজের ছেলের জন্য পাঞ্জাবি কিনতে এসেছি। এবারের কালেকশন ভালো কিন্তু দামটা একটু বেশি মনে হচ্ছে ভিতরের মার্কেটে। বিভিন্ন দোকানে ঘুরে দেখলাম বাচ্চা ও বড়দের পাঞ্জাবির দাম একই মনে হচ্ছে। তবে একদরের চেয়ে দামাদামি করে কিনলে কিছুটা কমে পাওয়া যায়।
এস.এ/জেসি