চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ঈদের পোশাক
নুরুন নাহার নিরু
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ০৫:১৩ পিএম, ১৯ এপ্রিল ২০২৩ বুধবার
গত ৪ এপ্রিল বঙ্গবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। যার কারণে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। প্রায় কয়েক হাজার ব্যবসায়ী নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। এদিকে এ ঘটনার ১ সপ্তাহ পরেই ১৫ই এপ্রিল আবার জানা যায় ঢাকা নিউমার্কেটে ভয়াবহ আগুন লেগে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ দোকান পুড়ে গেছে। এই দোকান গুলোতে শুধু মাত্র মালামালই ছিল না, ছিল হাজারও ব্যবসায়ীর ঈদের আনন্দ এবং খুশি।
এ ঘটনাগুলো ঘটার পর ব্যবসায়ীরাই ভেঙ্গে পরেছে তা নয় মার্কেটে কর্মরত অর্ধেক কর্মচারীরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। দুঃশচিন্তা নিয়ে দিন পার করেেছন তারা। সোমবার (১৭ই এপ্রিল) সকাল রাজধানীর উত্তরা বিজিবি মার্কেটে ঘটে আরেকটি অগ্নিকান্ডের ঘটনা। পর পর তিন মাকের্টে অগ্নিকান্ডের ঘটনার পর এবার নারায়ণগঞ্জের মার্কেটগুলোতে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা যেন সুযোগে পোশাক বাড়তি দামে বিক্রি করছে বলে অভিযোগ রয়েছে ক্রেতাদের।
এ বিষয়ে হাঁসি নামের এক ক্রেতার সাথে কথা বললে তিনি যুগের চিন্তাকে বলেন, গত দুই ঈদে তো করোনা থাকার কারনে আমরা বড়দের কথা তো বাদই, ছোট ছেলে-মেয়েদের যে পোশাক কিনে দিবো তারও কোনো উপায় ছিলো না। এবার যাও ভাবলাম পরিবারের সাথে ঈদটা সুন্দর করে উদযাপন করবো কিন্তু মার্কেটে এসে দেখি পোশাকের দাম অনেক। আগে যেখানে এক প্রকার ডাক দিয়েই বিক্রি করতো আর এখন দোকানদাররা বলছেন দাম পছন্দ হলে নেন না হলে নাই।
একই সুর ধরে হাবিবা নামের এক ক্রেতা বলেন, যেই জামা আগে নিয়েছি ৫০০-৬০০ টাকা দিয়ে। সেই জামা এখন একদর লিখে রেখেছে ৮৫০ টাকা করে। প্রতিটি ধাপে ধাপে দাম লিখে রেখেছে এমনকি পোশাক দেখতে চাইলে আগে হ্যান্ডটেক দেখিয়ে বলে দামটা পছন্দ হয়েছে তো। পোশাকের কোনো দরদাম করা যাবে না।
এ বিষয়ে নয়ন নামের এক দোকানদারের সাথে কথা বললে তিনি যুগের চিন্তাকে জানান, ঢাকার মধ্যে যেসব পাইকারি বড় বড় মার্কেট গুলো রয়েছে তার মধ্যে তিনটাতেই ভয়াবহভাবে আগুন লেগেছে। এছাড়া এবার সুতা ও কাপরের দাম ও বেশি তাই পোশাকের দামটা একটু বেশি। এন.হুসেইন/জেসি