ঈদের পর সাইনবোর্ডের চাঁদাবাজরা আরও বেপরোয়া
যুগের চিন্তা রিপোর্ট
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ০৬:৫৫ পিএম, ৮ মে ২০২৩ সোমবার
# সকল চাঁদাবাজদের নেতৃত্বে কাইল্লা মাসুদ
রমজান মাসে প্রশাসনের তৎপরতা ও বিভিন্ন মহলের চাপে পড়ে অনেকটাই নিরবে থাকলেও ঈদ যেতে না যেতেই আবারো শুরু হয়েছে সাইনবোর্ড এলাকায় কাইল্লা মাসুদ ও তার অনুসারীরা।
জানা যায়, ঢাকা-চট্্রগ্রাম-সিলেট হাইওয়ে ও নারায়ণগঞ্জ -থেকে ঢাকা লিংক রোড সাইনবোর্ড এলাকা এখন চাঁদাবাজদের হাতে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রনে এই ব্যস্ততম এলাকাটি । আর এই সাইনবোর্ড এলাকা থেকে প্রতিদিন কয়েক লাখ মানুষ । আর এই সাইনবোর্ড এলাকায় থেকে প্রতিদিন প্রায় ৫০ হাজারেরও বেশি গাড়ি চলাচল করে।
তবে এই এলাকায় বৈধ গাড়ির সাথে সাথে অবৈধ গাড়িরও অভাব নেই। আর সেই সকল অবৈধ গাড়ির কাছ থেকে বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে একদল চিহ্নিত চাঁদাবাজরা। আর ইে সকল চাঁদাবাজদের কাছে জিম্মি পুরো সাইনবোর্ড এলাকার পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা।
আরও জানা যায়, সাইনবোর্ড এলাকাতে চাদাঁবাজির জন্য কয়েকটা গ্রুপ আছে । এদের মধ্যে কেউ অবৈধ অটো ও মিশুকের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করে, আবার কেউ অবৈধ সিএনজি স্টান্ড বসিয়ে প্রতিদিন উঠানো হচ্ছে চাঁদা ,আবার কেউ সড়কের রাস্তা দখল করে বসিয়েছে বিভিন্ন দোকানপাট যা এখানকার চিহ্নিত চাঁদাবাজরা প্রত্যেকটা দোকান থেকে ১০০-৩০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয় বিভিন্ন সময় এই সকল চাঁদাবাজরা র্যাবের হাতে গ্রেফতার হলেও জামিনে বের হয়ে আবারও শুরু করে দেয় তাদের চাঁদাবাজি।
এসকল চাঁবাজদের মধ্যে অন্যতম চাঁদাবাজ কাইল্লা মাসুদ, রহিম বাদশা, কবির কালাম সহ আরও বেশ কয়েকজন প্রতিদিন ৫০ এবং মাসিক ১৫০০ টাকা করে প্রায় ৩০০শত সিএনজি থেকে এবং ফুটপাতের দোকান থেকে প্রতিমাসে প্রায় ২০ লক্ষ টাকার ওপরে চাঁদা তোলে। অন্যদিকে আরেক গ্রুপ আছে জাহাঙ্গীর ,মাইনুদ্দীন ,রতন সহ আরও বেশ কয়েকজন যারা শুধু অবৈধ ব্যাটারী চালিত অটো,মিশুক থেকে চাঁদাতোলে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক চাঁদাবাজ জানান, আমরা চাঁদা তুলি কিন্ত বেশির ভাগ অংশ আওয়ামী লীগ নেতা আলমগীর ভাইকে দিতে হয়।শুধু তাই নয় আমাদের এই চাঁদার টাকা প্রশাসনকেও দিতে হয়। শুধু তাই নয় এই আওয়ামী লীগ নেতার নেতৃত্বেই সাইনবোর্ডে চলে চাঁদা উঠানোর হাট।
শুধু তাই নয় চাঁদার ভাগ প্রশাসনকে না দিলে তারাও ঝামেলা করে তবে আরও জানা যায়, এই সকল চাঁদাবাজদের পাশাপাশি ট্রাফিকের কিছু অসাধু পুলিশ কর্মকর্তা এই সকল অবৈধ অটোর থেকে মাসে টাকা নেয়। তবে কোন রকম রশিদ ছাড়া যাতে করে কোন ধরনের প্রমাণ না থাকে।
বছরের পর বছর ধরে এই চাঁদাবাজি চলে আসলেও স্থায়ীভাবে তাদের বিরুদ্ধে নেওয়া হয়না কোন ধরনের ব্যবস্থা। তবে এই সকল চাঁদাবাজদের বিষয়ে প্রশাসনের সব কিছু জানলেও কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহন করে না এমনকি ।বর্তমানে যারা সাইনবোর্ড এলাকায় চাঁদাবাজি করে তাদেরকেও নাকি দেখে না।
আর প্রশাসনের এমন নীরব ভূমিকার কারনে সেখানকার চাঁদাবাজরা দিনদিন আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে। এই সকল চাঁদাবাজরা যেন এখন সোনার হরিণ হাতে পেয়েছে।বেশ কয়েক বছর আগে এই সকল চাঁদাবাজরা সামান্য হকার এবং অটোর ড্রাইভার ছিলো আজ তারা সকলেও গড়েছে কোটি টাকার সম্পদ ,আবার কেউ হয়েছেন শ্রমিক ইউনিয়ন নেতা। সাইনবোর্ড এলাকায় এ সকল চাঁদাবাজদের লিডার কাইল্লা মাসুদের সাথে বার বার যোগযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তা আর সম্ভব হয়নি।
তবে কোনভাবেই এই সকল চাঁদাবাজকে থামানো না যাওয়াতে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। আবার অনেকেই মনে করছেন প্রশাসন চাইলে একদিনেই সব বন্ধ হয়ে যেত; কিন্ত প্রশাসনের কিছু অসাধু ব্যাক্তির কারণে সরাসরি জড়িত থাকায় তা বন্ধ হচ্ছে না। এন.হুসেইন/জেসি