বক্তাবলী নৌ-পুলিশের চাঁদাবাজির অত্যাচারে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ
যুগের চিন্তা রিপোর্ট
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ০৯:১৩ পিএম, ১০ মে ২০২৩ বুধবার
বক্তাবলী নৌ ফাঁড়ি পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যপক চাঁদাবাজি সহ নিরীহ মানুষকে হয়রানি করার একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে। একটি সুত্র হতে জানা যায় ১৯৮৮ সালে ধলেশ্বরী, বুড়িগঙ্গা নদীতে ডাকাতি রোধ করার জন্য বক্তাবলী নৌ পুলিশ ফাঁড়ি বক্তাবলী বাজারস্থ স্থাপন করা হয়।
নদীতে ডাকাতি,চুরি সহ নানান অপকর্ম রোধ করার জন্য বক্তাবলীতে নৌ পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন করা হলেও বর্তমান ফাঁড়ির ইনচার্জ নান্নু মিয়া যোগদান করার পর হতে ব্যপক ভাবে চাঁদাবাজি, নিরীহ মানুষকে ফাঁড়িতে ধরে এনে মাদক বিক্রেতা বলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বক্তাবলীবাসী জানান, এসআই মিজান, এসআই সৌরভ, এএসআই হাবিব ফাঁড়ির ইনচার্জ নান্নু মিয়া নির্দেশে বেশ কিছুদিন আগে একজন ট্রাক চালক আটক করে ৪৫০০/ টাকা,মিশুক চালকের কাছ থেকে ৩৫০০/ টাকা,দুধের বেপারী আসাদুল্লাহ এর নিকট হতে ৭০০০/ টাকা,ইটভাটার লেবাররা বিড়ি, সিগারেট খাওয়া কালীন সময় আটক করে ফাঁড়িতে এনে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। এ ছাড়াও ট্রাক চালকদের হুমকি দেয়া হয় তাদের মাসিক টাকা না দেয়া হলে ট্রাক চলতে দেয়া হবেনা।
এলাকাবাসী তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, বক্তাবলী নৌ ফাঁড়ি পুলিশে এর আগে অনেক ইনচার্জ ছিল। কিন্তু নান্নু মিয়ার মতো খাই খাই ইনচার্জ কখনো দেখিনি। এরা নদীতে তেমন ডিউটি না করে মিশুক ও অটোরিকশা চালকদের এবং সাধারণ মানুষ কে আটক করে মাদক সহ বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
শুধু তাই নয়, নদী হতে মাটি কাটা, ইটভাটা হতেও নিয়মিত মাসোহারা নিয়ে থাকে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী ও সচেতন মহল বক্তাবলী নৌ ফাঁড়ির ইনচার্জ নান্নু মিয়া ও তার সহযোগীদের প্রত্যাহার করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ ব্যাপারে নৌ ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ মোঃ নান্নু মিয়া মুঠোফোনে তিনি বলেন,ভাই এ সব বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। তাছাড়া পুলিশ ও সাংবাদিক একে অপরের পরিপুরক হিসেবে কাজ করে থাকে। বিভিন্ন অভিযোগ সর্ম্পকে তিনি বলেন,ঐ দুধ বিক্রেতা গুড়া দুধ দিয়ে লিকুইড দুধ বানিয়ে বাজারে বিক্রি করে থাকে সে বিষয়ে কিছুটা শুনেছি। কিন্তু বাকী অভিযোগ সর্ম্পকে কিছুই জানিনা। এছাড়াও নদীপথে বিভিন্ন অভিযান চালাচ্ছি সেই বিষয়গুলোতে আপনাদেরকে জানাতে পারিনা।
সহকারী পুলিশ সুপার ( নৌ পুলিশ) মিনা মাহমুদ বলেন, আসলে এ বিষয়গুলো সর্ম্পকে আমি জানিনা। আমি বিষয়টি অবশ্যই দেখবো।