জামতলা মাদ্রাসায় তিন ছাত্রকে বলাৎকার
যুগের চিন্তা রিপোর্ট
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ০৫:৪৬ পিএম, ১১ মে ২০২৩ বৃহস্পতিবার
# অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষক ক্বারী শাহজালাল পালিয়ে গেছেন
# হুজুর হাফেজের দোষ গোপন করলে আল্লাহতালাও মাফ করবো: মাদ্রাসার দায়িত্বরত আমিনুল হুজুর
নারায়ণগঞ্জ নিউ চাষাঢ়া জামতলা ধোপাপট্টি মসজিদ সংলগ্ন দারুল ইসলাহ্ ইসলামিয়া মাদ্রাসা তিনজন ছাত্র (১০) বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসা শিক্ষক ক্বারী শাহজালালের বিরুদ্ধে। এক শিশুর পারিবারের অভিযোগ, আমরা সন্তানের কাছ থেকে শুনতে পেলাম শবে বরাতের সময় ও রমজানে ও খারাপ কাছ করছে। রমজানের ছুটির পর আমরা ছেলে আর মাদ্রাসায় যায় নাই।
আমি কালকে সকালে আমার ছেলেকে মাদ্রাসায় দিয়ে আসছি সন্ধ্যার সময় আমার ছেলে আবার মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে চলে আসে। তখন শিক্ষক ক্বারী শাহজালাল আমাকে ১৭ বার কল দেয়। আমি তখন হুজুরকে বলি এতোবার ফোন। আমি তাকে বললাম হুজুর বাচ্চাটা কেন পালালো আপনারা কি ওকে মারধর করছেন। উনি বলে আমরা তাকে কোন মারধর কিছু করিনি ও শুধু পালিয়েছে।
তার কিছুক্ষন পরই মাদ্রাসার বর্তমান যে দায়িত্বে হাফেজ আমিনুল হুজুর তিনি আমাকে কল দেয় কি হয়েছে ছেলেটা পালালো কেন কিছু বলছে। তখন আমার আম্মু আমরা ছেলেকে জিজ্ঞেস করে কেন তুমি মাদরাসা পালাও এগুলো ভালো না। তখন সে তার নানিকে হঠাৎ করে জড়িয়ে ধরে চিৎকার, বলে আমি আর মাদরাসায় যামু না হুজুর আমার সাথে খারাপ কাজ করে।
আমরা প্রথমে বিশ্বাস করি না। তখন আমরা একটু ওকে ভালো করে জিজ্ঞেস করলাম পরে ও সব ভেঙ্গে আমাদেরকে বললো তখন ও আবার বললো আজকে ও হুজুর আমার সাথে এমন করতে নিছে আমি তখন হুজুর থেকে পালিয়ে চলে এসেছি। তখন আমি সব শুনে মাদ্রাসার দায়িত্বে থাকা হাফেজ আমিনুল হুজুরকে সব ভেঙ্গে বলি। উনি আমাকে বলে এটা নিয়ে বেশি হৈ চৈ কইরেন না।
তখন আমি তাকে বললাম আপনার ছেলের সাথে হলে আপনি কি করতেন। আমি আমার ছেলে পায়জামায় রক্ত পাওয়া গেছে, আমার ছেলে ব্যাথায় হাঁটতে পারতো না। তখন আমিনুল সাহেব আমাকে বলে, হুজুর হাফেজের দোষ গোপন করলে আল্লাহ তালা ও মাফ করবো। আমি তাকে বললাম আপনি আগে আরো ছাত্রদের জিজ্ঞেসা করে দেখেন ও আরো ছাত্রদের সাথে এমন কাজ করেছে আমার ছেলে বললো আর আপনি সবার কাছ থেকে খোঁজ নেন তারপর আপনি এটার সঠিক বিচার করেন।
আর এ বিষয়ে বর্তমানে শাহজালালকে কিছু জানায়েন না জানাইলে ও পালিয়ে যাবে তখন কিন্তু আপনি দোষী হবেন, এই বলে আমি বলে ফোন কেটে দেই। কিছুক্ষণ পরে আবার আমিনুল সাহেব আমাকে ১২টায় কল দেয় বলে আমার প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে। আপনারা কোন বাড়াবাড়ি কইরেন না। আপনি যে বিচার চান আমরা সেই বিচার করবো।
আপনারা মাদরাসায় আসেন আইসা বিচার করেন, আমি তাকে বললাম আমরা এটার সুষ্ঠুবিচার চাই। কিন্তু বর্তমানে ওকে বইলেন না ও পালিয়ে যাবে তখন উনি আমাকে বলে আমরা ওকে জিজ্ঞেস করছি উনি উনার ভুল শিকার করছে। তখন আমি বললাম এতে রাতে উকে আপনি জানিয়েছেন কেন ও কিন্তু পালালে আপনারা দোষ।
কিন্তু উনি সকাল ৫ টায় আমাকে কল দিয়ে বলে শাহজালাল হুজুর তো রাতে পালিয়ে গেছে ছাঁদের উপর দিয়ে। আমি তখন শুনে সকালে মাদরাসায় গেলাম তখন আমিনুল হুজুর আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করেন। তখন আমি এলাকার লোকজনকে ডেকে আমিনুল হুজুরকে জোর করে বলি আপনারা যে শাহজালাল হুজুরকে এখানে চাকুরী দিয়েছেন তাহলে নিশ্চই উনার কোন ডকুমেন্ট আছে।
আপনাদের সাথে তখন আমি বলি হুজুরের ট্রাঙ্ক আমাকে দেখান আমি দেখবো কোন ডকুমেন্ট আছে নাকি; কিন্তু খুলে দেখি সব খালি। তাহলে বুঝা গেল কেউ পালালে সব নিয়ে ছাঁদ দিয়ে পালাবে না। সে গেট দিয়ে পালিয়েছে আর তাকে কেউ না কেউ সাহায্য করেছে। এখন আমার কিছু বলার নেই আমরা এটার একটি সুষ্ঠু বিচার চাই। আমরা বর্তমানে থানায় কোন অভিযোগ করিনি, আগামীকাল করবো।
এ বিষয়ে ফতুল্লা থানার এএসআই সানি যুগের চিন্তাকে বলেন, “আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ করেনি শিশুর পরিবারের লোকজন। আমরা কান কথা শুনে ঘটনাস্থলে আসলাম বর্তমানে মাদরাসায় থাকা হুজুরদের সাথে কথা বললাম ও শিশুর পরিবারের লোকদের সাথে কথা বললাম।
তাদের কাছ থেকে শুনতে পেলাম বালাৎকারের ঘটনা। এখন ভুক্তভোগী পরিবার আমাদের বলেছে আগামীকাল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করবে। তখন আমরা এ বিষয়ে একটি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।” এন.হুসেইন রনী/জেসি