রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নাসিক ১৮নং ওয়ার্ডে সড়কের বেহাল দশা

স্টাফ রিপোর্টার

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৯:২৪ পিএম, ২১ মে ২০২৩ রোববার



# দুই বছরে এলাকার কোন কাজ করেনি মুন্না : এলাকাবাসী
# নগর ভবনে যোগাযোগ করেন : কাউন্সিলর মুন্না

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৮নং ওয়ার্ডে বিভিন্ন সড়কের বেহাল দশা। সড়কের বিভিন্ন স্থানে রয়েছে ছোট-বড় ও মাঝারি আকারের গর্ত। গতকাল সরেজমিনে নাসিক ১৮নং ওয়ার্ড ঘুরে দেখা যায়, আল-আমিন নগর ব্রীজ হতে সৈয়দপুর কড়ইতলা ও পূবালী সল্ট পর্যন্ত সড়কটির বেহাল দশা। সড়কের বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় অনেক গর্ত রয়েছে।

 

 

কোথায়ও আবার  সড়কের ঢালাইয়ের পাথর উঠে রড বের হয়ে গেছে। এবিষয়ে আল-আমিন নগর এলাকায় নাজমা বেগম নামে একজন জানান, এই সড়কটি দুই বছর ধরে ভাঙ্গা। সড়কে অনেক গর্ত, এছাড়াও অনেক জায়গায় রড বের হয়েগেছে। বৃষ্টি আসলে এই সড়ক দিয়ে হাঁটা যায় না। রিকশা দিয়েও চলাচল করা যায় না গর্তের জন্য।

 

 

এই এলাকার কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্না ভোটে পাশ করেছে দেড় বছর হবে। সে এখনও সড়কের কোন মেরামতের কাজ করে নাই। এবিষয়ে ঐ এলাকায় স্থানীয় একজন মুদি দোকানদার বলেন, এলাকাই যারা জনপ্রতিনিধি হয় তারা নির্বাচনের আগে অনেক আশ্বাস দেয়, কিন্তু নির্বাচনে পাশ করলে সব ভুলে যায়। আমাদের এই সড়কটি দুই বছর ধরে অনেক বেহাল দশা।

 

 

বৃষ্টি আসলে চলাচল করতে পারি না। এই খানে দুইটা স্কুল রয়েছে, স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা এই সড়কটি দিয়ে চলাচল করে। কয়েকদিন আগে একজন বাচ্ছার পায়ের সাথে রড লেগে পরে গিয়েছে। বাচ্চাটা অনেক ব্যথা পেয়েছে। স্কুলের ছেলে-মেয়েগুলোও বৃষ্টি আসলে গর্তে পড়ে যায়। আলামিন নামের অপর ব্যক্তি বলেন, আমার মেয়ে বঙ্গবন্ধু স্কুলে সপ্তম শ্রেনিতে পরে।

 

 

প্রতিদিন অটো দিয়ে যাতায়াত করে। গত কয়েকদিন আগে রাস্তা উঁচু-নিঁচু ভাঙ্গার কারনে অটো থেকে পরে দিয়ে রডের সাথে লেগে পায়ের হাটু কেটে যায়। এই রোডটা মেরামত করার জন্য এলাকার বাসিন্দারা কাউন্সিলরকে বলেছে কিন্তু তিনি কোনো কিছুই এখন পর্যন্ত করেননি।

 

 

এছাড়া এলাকায় এই সমস্যা ছাড়াও আরো অনেক ধরনের সমস্যার কথা তাকে জানানো হয়েছে কিন্তু তার কোনো পদক্ষেপ নেই। মুন্নাকে ভোট দিয়েছি এলাকার কাজ করবে, কিন্তু দেখি সে কিছুই করে নাই এখনও । এবিষয়ে নাসিক ১৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্না যুগের চিন্তাকে বলেন, নগর ভবনে যোগাযোগ করেন , এ বলে তিনি কলটি কেটে দেন। এন.হুসেইন রনী /জেসি