রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বর্জের দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ দুই ওয়ার্ডের বাসিন্দারা

তানজিলা তিন্নি

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৩:৩৭ পিএম, ২৬ মে ২০২৩ শুক্রবার



নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের অধিনস্থ এলাকা বোয়ালিয়াখাল। এই এলাকার মুক্তিযোদ্ধা সড়ককে ময়লার ডাম্পিং বানিয়ে দৈনিক বাসা বাড়ির ময়লা এই রাস্তার উপর ফেলে হয় বলে অভিযোগ এলাকাবাসির। এই সড়কের পাশ দিয়ে হাঁটা চলা করতে বিব্রত কর অবস্থায় পড়তে হয় পথচারীদের। এই এলাকার বাসিন্দা ও দোকানীদের সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হয়।

 

 

মাসদাইর বাজার সংলগ্ন হাতের বাম পাশের রাস্তা নাসিকের ১৩ নং ওযার্ডের আওতা ভুক্ত। আর এসব ময়লা আর্বেজনা রাস্তার বাম পাশেই ফেলতে দেখা যায় বেশি। এছাড়াও এলাকাবাসির অভিযোগ এখানে প্রতিদিন এসব ময়লার জন্য সিটি কর্পোরেশনের কর্মরত পরিচ্ছন্ন কর্মীরা গাড়ি নিয়ে ময়লা নিয়ে গেলেও সম্পূর্ণ ময়লা নিয়ে যায় না কিছুটা নিয়ে বাকিটা এখানেই ফেলে রেখে যায় এতে করে কোনো লাভ হয় না গর্ন্ধে সারাদিন বেহাল অবস্থা। তাছার বৃষ্টির সময় এখানের ময়রা গুলো পুরো রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ে।

 

 


গতকাল সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় সিটি কর্পোরেশনের একটি বোর্ডে ময়লা না ফেলার আদেশ অমান্য করেই প্রতিদিন ময়লা ফেলছে ১৩ ও ১৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। এছারা মুক্তিযোদ্ধা সড়কের পাশেই ছোট একটা পার্কের মতো করে বসার জায়গা বানানো হয়েছে।

 

 

সেখানের কোনো পরিবেশ ঠিক নেই পুরো পার্ক জুড়েই ময়লা পলিথিন আর আর্বোজনা ফেলা হয় কেউ পরিষ্কার করে না বলে জানিয়েছে পার্কের পাশের দোকানদাররা। এছাড়াও মূল সড়কের উপরেই ময়লা ফেলছেন এলাকাবাসি। তারা জানায় এই সড়কটাই নাকি তাদের ডাম্পিং স্পট সবাই এখানেই ময়লা ফেলে।

 


 এছাড়া এখানের আশেপাশের বিল্ডিং এর বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা জায় মুক্তিযোদ্ধা সড়কের পাশের পার্কটির সমানে রাস্তাও অনেক সময় ময়লা ফেলে চলে যায়। পার্কটির ভিত্তিপ্রস্তর এর নিচেও প্রায় মসয় ময়লা ফেলতে দেখা যায়। বিল্ডিং এর বাসিন্দারে কাছে বাসায় কেউ ময়লা নিতে আসে কিনা এমন কোনো প্রশ্ন করতে তারা বলেন আসে তবে দু –তিন দিন পর পর। আর বাসা বাড়িতে প্রতিদিনের ময়লা প্রতিদিন না অপসারণ করলে বাসাথে গন্ধ আসে তাই বাদ্ধ হয়ে আমাদের ময়লা রাস্তায় ফেলতে হয়।  

 


মুক্তিযোদ্ধা সড়কের পাশেই এক ভাঙ্গারির দোকানের মালিকের সাথে কথা বলে তিনি বলেন আমারে দোকান ১৪ নং ওয়ার্ডে আর আমার দোকানের ঠিক অপর পাশে এই ময়লা আর্বজনা গুলো ফেলা হয়। আমি সারা দিন এখানে দোকানে থাকি আমার সমস্যা হয়। আমাদের এই রাস্তার পাশে ১৪ নং ওয়ার্ডে যত দোকান আছে সবারই এই ময়লার জন্য সমস্যা হয়। ময়লার গন্ধে দোকানে বসা মুসকিল।

 


এলাকার এমন বেহাল দশার ব্যবপারে ১৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর যুগের চিন্তাকে বলেন, বোয়ালিয়াখাল এলাকার মুক্তিযোদ্ধা সড়ক আমার ওয়ার্ডের অধিনে পড়েনি। রাস্তার বাম পাশ ১৩ ও ডান পাশ ১৪ নং এর অধিনে রয়েছে।

 


অন্যদিকে ১৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের সাথে এ বিষয় একাদিক বার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি ফোনকলটি রিসিভ করেননি।  এন. হুসেইন রনী /জেসি