আমিষের চাহিদা পূরণ করতে হিমশিম খাচ্ছে মানুষ
যুগের চিন্তা রিপোর্ট
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ০১:২৮ পিএম, ২৭ মে ২০২৩ শনিবার
নারায়ণগঞ্জে সবজির বাজার চড়া; সেই সঙ্গে মাছ, গরু ও মুরগির মাংসের বাজারেও কোনো সুখবর নেই। নতুন করে দাম আর না বাড়লেও আমিষের চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ। শুক্রবার (২৬ মে) শহরের দিগুবাবুর বাজারে ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া গেছে। এসব বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ২৩০ থেকে ২৫০ টাকার নিচে ব্রয়লার মুরগি মিলছে না।
সোনালি মুরগির দাম ছুঁয়েছে ৩৩০-৩৫০ টাকা। মাংসের পাশাপাশি মুরগির ডিমের দামও এখন বাড়তি। ডিমের ডজন ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা। আর হাঁসের ডিম প্রতি ডজন ২০০-২২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পোলট্রি বাজারের এমন পরিস্থিতির জন্য বড় বড় কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোকে দায়ী করছেন ক্ষুদ্র খামারিরা।
বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুইমাস আগেও ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজিতে যে ব্রয়লার মুরগি কেনা যেতো এখন সেটি বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২৩০ টাকায়। কোথাও কোথাও ২৫০ টাকা। এক কেজি সোনালী মুরগি কিনতে লাগছে ৩৩০ থেকে ৩৫০ টাকা। দেশি মুরগির দর উঠেছে ৫৫০ টাকা কেজি।
অন্যদিকে, এই সময়ের ব্যবধানে কেজিতে ২০০ টাকা বেড়ে খাসির মাংস এখন বিক্রি হচ্ছে ১,১০০ টাকা। আর ১০০ টাকা বেড়ে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা। বাজারে মাংস কিনছিলেন আবদুর রহিম। তিনি বলেন, ব্রয়লারের দাম বেড়েছে তো বেড়েছেই। আর কমার নাম নেই। ২৩০ টাকা কেজি দরে কিনলাম আজ।
বিকেলে আসলেই হয়ত দেখবো ২৫০ টাকা। এটাই ম্যাজিক বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের। আরেক ক্রেতা সরকারি চাকরিজীবী রাসেল হোসাইন বলেন, ইলিশ মাছ কিনতে চাচ্ছিলাম। দাম শুনে তো মাথা ঘরে পড়ে যাওয়ার অবস্থা হয়েছে। বাজার পুরো নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। এদিকে, বাজারে রুইমাছ প্রতি কেজি ২৮০-৩০০ টাকা, তেলাপিয়া, ১৮০-২০০ টাকা।
কার্প ২৫০-৩০০ টাকা, ইলিশ ১২০০-১৪০০ টাকা, মলা ৪৫০-৫০০ টাকা, শিং ৩৮০-৪২০ টাকা, পাবদা ৩০০-৩৫০ টাকা এবং কই মাছ ৩৫০-৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, মাংসের দাম শিগগিরই কমছে না। মূলত ব্রয়লারের বাজার সিন্ডিকেটের হাতে চলে যাওয়ায় দাম কমছে না। অন্যদিকে, মাছ ব্যবসায়ীরা বলছেন মাছের দাম নাগালের মধ্যেই আছে। এন.হুসেইন রনী /জেসি