রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নগর জুড়ে তীব্র লোডশেডিং

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০১:০৫ পিএম, ২৯ মে ২০২৩ সোমবার



তীব্র গরমে যখন মানুষের বেহাল দশা তখনিই লোডশেডিং এর মাত্রা যেন বেড়েই চলেছে। গত কয়েক মাস ধরেই নগরীতে বিদ্যুৎ এর যাওয়া আসা আরো প্রকট হয়ে উঠছে। দিনে কয়েক ঘন্টা পর পরই লোডশেডিং এর সমস্যায় ভুগছে জনসাধারণ। লোডশেডিং এর এই সীমাহিন ভোগান্তির মধ্য দিয়ে দিন অতিবাহিত করছে সাধারণ মানুষ।

 

 

নিতাইগঞ্জ, টানবাজার, পাইকপাড়া, দেওভোগ ও জামতলাসহ শহরের বিভিন্ন স্থানে এই সমস্যা বেড়েই চলছে। আরো গ্রাহকদের অভিযোগ, বাসা-বাড়ির ইলেকট্রনিক জিনিসপত্র নষ্ট হচ্ছে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা এই গরম সহ্য করতে পারছে না।

 

 

নারায়ণগঞ্জ শহরের পাড়া-মহল্লার সাধারণ মানুষরা জানিয়েছেন, এ বছর এতোটাই গরম পরেছে যে, যখনবিদ্যুৎ থাকে না তখন  ঘরে ঘরে গরমে অতিষ্ট হাহাকার অবস্থার সৃষ্টি হয়। রাতে লোডশেডিং এর কারনে মানুষ শান্তিতে ঘুমাতেও পারে না।

 

 

নিতাইগঞ্জ এলাকার এক বাসিন্দা শিরিন বেগম বলেন, বাসায় ১ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকে আবার পরের ঘন্টায় থাকে না। বিশেষ করে সন্ধার পর থেকে আরো থাকে না। আর এত গরমে এত লোডশেডিং খুবই কষ্টদায়ক। বিদ্যুৎ সরবরাহ একেবারে বন্ধই করে দেন তাইলেই তো হয়।

 

 

টানবাজার এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা বলছেন, একেতো প্রচন্ড গরম তার ওপর দফায় দফায় বিদ্যুৎ আসা যাওয়া ভালো লাগে না। সারাদিন চুলার আগুনের তাপ এমনিতেই খারাপ লাগে, এরকম সময় বিদ্যুৎ চলে গেলে কাজ করতে আরো কষ্ট হয়।  

 


নারায়ণগঞ্জ পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার সদর দপ্তর প্রকৌশলী মো.  মাসফিকুল হাসান বলেন, বৈশ্বিক জ¦ালানি সংকটের কারনে সরকার নির্ধারিত পরিমান জেনারেশন হয়। এবং সে জেনারেশনটা যার যে চাহিদা অনুযায়ী আনুপাতিক হারে ভাগ করে দেয়।

 

 

আর সে ভাগ অনুযায়ী আমাদের ১৫৮ মেগাওয়াট পর্যন্ত লোডশেডিং নজির আছে। এটা ২৪ ঘন্টা হয় তা না এটা সকাল ৮টা থেকে রাত ১২ টা পর্যন্ত মোট ১৬ ঘন্টা লোডশেডিং হচ্ছে, এবং এটি ১৫৮ মেগাওয়াট থেকে ১৭০ মেগাওয়াটও হতে পারে বর্তমানে।

 

 

তিনি আরো বলেন, এটা কমানোর ব্যবস্থা আমাদের এখানে নেই, আমরা যা পাই আনুপাতিক হারে যা আছে, তা আমাদের আওতায় যে গ্রাহকরা আছেন তারাও আনুপাতিক হারে পাবে। কিছু কারিগরির কারনে সময়টা ভিন্ন থাকবে সেই সঙ্গে পরিমানটাও ভিন্ন থাকবে।  এন.হুসেইন রনী /জেসি