শীতলক্ষ্যা ওয়াকওয়ে এখন ছিনতাই ও মাদকসেবনের হটস্পট
যুগের চিন্তা রিপোর্ট
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ০১:১২ পিএম, ৩ জুন ২০২৩ শনিবার
শীতলক্ষ্যার স্নিগ্ধ, শীতল বাতাস এবং কোলাহলমুক্ত পরিবেশ উপলব্ধি করার জন্য বাংলাদেশ নদী বন্দর বিআইডব্লিউটিএ’র পক্ষে হতে শীতলক্ষ্যার তীর ঘেষেঁ নির্মান করেছে ওয়াকওয়ে। কিন্তু ওয়াকওয়ে এখন চোর, ছিনতাইকারী, মাদক সেবন ও জুয়া খেলার মূল জায়গা হয়ে ওঠেছে বলে অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এ বিষয়টি সদর থানা এবং শীতলক্ষ্যা ফাড়িতে জানিয়েও কোনো প্রতিকার পায়নি বলেও জানায় তারা।
স্থানীয় বাসিন্দারা যুগের চিন্তাকে জানান, প্রতিদিন এই ওয়াকওয়ে দিয়ে হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে। বিভিন্ন কাজের মানুষদের চলাচল এখান দিয়ে। এমনকি সারা সপ্তাহ ছাড়াও বিশেষ করে ছুটির দিনগুলোতে এটা একটা বিনোদন স্পর্ট হয়ে ওঠতো কিন্তু বর্তমানে এখন মানুষ এখানে ঘুরা তো দূরের কথা হাটাচলা করতেও ভয় পায়।
কেননা এখানে প্রতিদিন চোর, ছিনতাইকারী ৪-৫ জন দল করে দাড়িয়ে থাকে, একা যদি কাউকে পায় তাহলে যা আছে সর্বস্ব কেড়ে নেয়। এছাড়াও সন্ধ্যার পড় যারা এখানে আসে এমন কোনো লোক নেই যাদের কাছ থেকে টাকা, ফোন, ঘড়ি, এছাড়া অন্যান্য যা কিছু রয়েছে সবকিছু রেখে দেয়। ওয়াকওয়ে নির্মান করেছে নগরীর মানুষের সুবিধার কথা চিন্তা করে। কিন্তু এটার রক্ষণাবেক্ষন বিআইডব্লিউটিএ’র পক্ষ থেকে সঠিক ভাবে হচ্ছে না।
এ বিষয়ে জোসনা নামের এক গামেন্টস কর্মী যুগের চিন্তাকে বলেন, কাজ থেকে বাসায় ফিরতে তাড়াতাড়ি হতো বলে আমি আগে ওয়াকওয়ে দিয়েই প্রতিদিন যাতায়াত করতাম। কিন্তু একদিন কয়েকজন লোক আমাকে বাজে ভাষায় বিভিন্ন কথা বলে পরে আমি প্রতিবাদ করায় আমাকে আটকে ধরে আমার কাছ থেকে টাকা এবং মোবাইল ফোনটা রেখে দেয়। এরপর থেকে দেরি হলেও আমি অন্য রাস্তা ঘুরে বাসায় যাই।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জের সদর থানার ওসি আনিচুর রহমান যুগের চিন্তাকে জানান, এমন কোনো অভিযোগ কেউ করেছে কি না আমি জানিনা। হয়তো তদন্ত অফিসারের কাছে অভিযোগ করেছে। এছাড়া এ বিষয়টি দেখার জন্য শীতলক্ষ্যা ফাঁড়ি রয়েছে।
এ বিষয়ে শীতলক্ষ্যা পুলিশ ফাঁড়ির ইন্সপেক্টর আবু সাঈদ পিয়াল যুগের চিন্তাকে জানান, এ বিষয় সম্পকে আমি জানিনা। আপনারা সদর থানাতে জানান যদি অসুবিধে হয় তাহলে থানা থেকে লোক পাঠানো হবে। কারণ ফাঁড়ির সকল কাজ থানাতেই হয়। এন. হুসেইন রনী /জেসি