রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ট্রাফিক পুলিশের পকেটে বন্দী নগরবাসীর সময়

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৮:২৮ পিএম, ৪ জুন ২০২৩ রোববার

 

# চাষাড়া মোড়ে সিগন্যাল মানে ট্রাফিক পুলিশের পকেটে টাকা।

 

 

নারায়ণগঞ্জ শহরের যানজট যেন নিত্যদিনের সঙ্গী। বঙ্গবন্ধু সড়কে ১০ মিনিটের রাস্তায় সময় লাগে ৩০মিনিট যার মূল কারণ হচ্ছে যানজট ও অবৈধ পরিবহন রাস্তার মাঝে গাড়ি পার্কিং। এছাড়া শহরের বড় বড় নেতাদের বিভিন্ন স্থানে অবৈধ গাড়ির স্ট্যান্ড বসানো। যার জন্য দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। শহরে দিন দিন চলাচলের অনুপযুক্ত হয়ে উঠেছে।

 

গতকাল শনিবার (৩ জুন) শহরে এমন চিত্র দেখা যায়। যানজট মুক্ত রাখার যে ট্রাফিক সদস্য সে নিজেই সিগন্যাল দিয়ে বিভিন্ন গাড়ি থেকে আদায় করছে ২০ থেকে ৫০ টাকা। এসব কারণে যানজট মুক্ত রাখার বদলে ট্রাফিক পুলিশ নিজেই যানজট তৈরি করছে।  

 

শহরের অবৈধ পরিবহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকার পরেও কারো বাধা না মেনে তারা শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে পুরো দাপিয়ে বেড়ায় অবৈধ পরিবহন ও যার কিছু আংশ নামধারী কিছু সাংবাদিক ও পুলিশের নামে চলে যাতে প্রতি গাড়িতে ১৫শ থেকে ২ হাজার  টাকা পর্যন্ত। তবে এই বিষয়ে বহুবার নিউজ হওয়ার পরেও তেমন কোন ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি বললেই চলে।

 

বিশিষ্টজনরা বলছেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা ট্রাফিক পুলিশের অনেক ব্যর্থতা রয়েছে। তাদের লোকবল সংকট রয়েছে যার কারণে তারা ঠিক মতো শহরে ট্রাফিক সিস্টেম পরিচালনা করতে পারছেন না। তারা শুধু অটোর প্রতি অভিযান পরিচালনা করে পকেট ভারি করছে। কারণ তারা বড় গাড়ির প্রতি এতোটা কঠোর না কারণ যদি বড় গাড়ির বা শহরের অবৈধ স্ট্যান্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করার ভিন্ন কারণ রয়েছে।

 

অটো চালক রফিক মিয়া বলেন, আমাদের শহরে আসা বন্ধ করে দিলে তো আর আমরা আসতে পারি না। তারা বন্ধ না করে অভিযান করে, এটাতো আমাদের জন্য খুব কষ্টের কারণ। আমরা সারাদিনে যা কাজ করি গাড়ি যদি হঠাৎ করে ধরে তাহলে সব টাকা দিয়ে আমারে গাড়ি ছাড়িয়ে নিতে হয়। আর তারা এক রকমের চাঁদাবাজি করছে কারণ প্রতিদিন অনেক আটক করে আর সেসব টাকার বিনিময় ছেড়ে দিচ্ছে। যদি আটক করেন তাহলে আর ছাড়ার দরকার কি?  

 

আপনারা চাঁদাবাজি বন্ধ করেন আমরা শহরে আসা বন্ধ করে দিবো। তারা সাংবাদিক ও কিছু ট্রাফিক সার্জেন্ট এর গাড়ি দেখলে কিছু বলে না। আর আমাদের গাড়ি দেখলেই আটক করে এটা কেমন? আবার কোন সময় পুলিশের সাথে যারা থাকে তারা এসে আমাদের মারধর করে গাড়ি ছিনিয়ে নিয়ে যায় ও খারাপ ভাষায় বকা দেয়। আমরা কিছু বলতে পারি না, যদি বলি তাহলে ৩/৪ জন মিলে আমাদের আরো বেশি মারে।

 

নারায়ণগঞ্জ জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ট্রাফিক এর তার মুঠোফোনে তার কাছে এ বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি একটি অনুষ্ঠাানে আছি এ বিষয়ে আমি কি বলবো বলে ফোনটি কেটে দেন।এস.এ/জেসি