তাপদাহের সাথে সিটি এলাকায় মশার উৎপাত, দেখার কেউ নেই!
যুগের চিন্তা রিপোর্ট
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ১০:৪০ এএম, ৭ জুন ২০২৩ বুধবার
# মশা নিধনে সিটি কর্পোরেশন প্রতিনিয়ত কাজ করছে : পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা
#বিদুৎ এর ঘাটতি, তাই লোডশেডিং: ডিপিডিসি
তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে নারায়ণগঞ্জবাসীর জনজীবন। ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ হিসেবে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ লোডশেডিং এর সমস্যা। দুপুর, সন্ধ্যা, গভীর রাত কিংবা ভোর রাত কোনো নিয়মই মানছে না বিদ্যুতের লুকোচুরি। এমন কঠিন সময়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি এলাকায় বেড়েছে মশার উৎপাত।
একে তো ফ্যান চালানো যাচ্ছে না। দ্বিতীয়ত, তীব্র গরমে ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ রাখাও মুশকিল। তবে, মশা নিধনে সিটি কর্পোরেশন প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে বলে জানায় সিটি কর্পোরেশনের এক কর্মকর্তার।
জানা গেছে, মে মাসের শেষ দিক থেকে বাড়তে থাকে বাংলাদেশের তাপমাত্রা। যা জুনের শুরুতে এস অনেকটাই বেড়ে যায়। তাপদাহটি আগামী ৮/৯ জুন পর্যন্ত থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন অবহাওয়া অধিদপ্তর। অন্যদিকে, কয়লার অভাবে বন্ধ হয়ে যায় দেশের বৃহত্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র পায়রা। এরপর থেকেই নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশে, দফায় দফায় লোডশেডিং পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষের।
এ বিষয়ে ডিপিডিসি ফতুল্লা অঞ্চলের সহকারী প্রকৌশলী অনুপ কুমার বলেন, ‘জাতীয় পর্যায়ে বিদুৎ এর ঘাটতি থাকার কারনে লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। হেড অফিস থেকে আমাদের যেভাবে নির্দেশনা দেয়া হয় সেভাবেই আমাদের লোডশেডিং দিতে হয়।’
শহরের জামতলা এলাকার বাসিন্দা মো. মামুন বলেন, ‘প্রচণ্ড গরমে ফ্যান চালিয়েও ঘরে থাকা যায় না। এর মধ্যে বিদ্যুৎ না থাকলে মনে হয় ‘ভয়ংকর আজাব’ শুরু হলো। মশার যন্ত্রণায় বাইরে বসেও থাকা যায় না, আর বিদ্যুৎ না থাকাতে ঘরে থাকারও উপায় নেই। মশার নিধনে সিটি কর্পোরেশন থেকাও এখন লোক আসতে দেখি না’
শহরের পালপাড়া এলাকার বাসিন্দা গৌতম জানান, ‘সারাদিন কারেন্ট আসা যাওয়া করায় কাজেও তেমন স্বস্তি মিলে না। সারাদিন পর একটু শান্তিমত ঘুমিয়ে সারাদিনের ক্লান্তি দুর করারও সুযোগ নাই। রাত হলেই কারেন্ট চলে যায়। আর এর পাশাপাশি মশার উৎপাত তো আছেই। কারেন্ট যাওয়ার পর ঘুমানো অসম্ভব।’
শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে জানা যায়, মশা নিধনের জন্য মাঝে মাঝেই সিটি কর্পোরেশনের লোকেদের দেখা মিলে। কিছু এলাকায় বহুদিন ধরে আসছেও না। পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে বড় বড় ময়লার স্তুপ যার দিকে নজর নেই স্থানীয় কাউন্সিলরদের।
জানতে চাইলে সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শ্যামল চন্দ্র পাল বলেন, ‘প্রতিটি ওয়ার্ডে আমরা ৫জন করে মানুষ রয়েছে যারা প্রতিদিন সকালে এবং বিকেলে মশা নিধনের কার্যক্রম শুরু করে। মশার লার্ভা নিধনের জন্য যে ঔষধটা রয়েছে সেটা প্রতিদিন সকাল সকাল ছিটানো হয় আর মশা নিধনের ঔষধটা প্রতিদিন বিকেলে। এসকল কাজ প্রতিটি ওয়ার্ডে স্থানীয় কাউন্সিলর দ্বারা পরিচালিত হয়। মশা নিধনে সিটি কর্পোরেশন প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, মশা নিধনে সিটি কর্পোরেশনের উপর নির্ভর না হয়ে নিজ থেকে বাসার আশে পাশের আবর্জনা ও জমে থাকা পানি পরিস্কারের জন্য বলছে পরিবেশবিদরা। এন.হুসেইন রনী /জেসি