রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বৃষ্টিতে স্বস্তি থাকলেও কমেনি ভ্যাপসা গরম

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০১:৪০ পিএম, ৮ জুন ২০২৩ বৃহস্পতিবার



গত কয়েকদিনের গরমে হাঁপিয়ে উঠেছিল জনজীবন। কোথাও যেন স্বস্তির নিশ্বাস ছিল না, দিশেহারা হয়ে পরেছিল মানুষজন। অতঃপর শান্তির পরশ নিয়ে নামলো স্বস্তির বৃষ্টি। এই বৃষ্টি যেন নগরীর মানুষদের প্রান নিয়ে এসেছে। সবার একই ব্যাকুলতা ছিল , কখন কবে নামবে স্বস্তির বৃষ্টি।

 

 

এই অপেক্ষা শেষে মেঘে মেঘে ঢেকে যায় আকাঁশ। এই অপ্রস্তুত জীবনে বৃষ্টি খানিকটা যন্ত্রনার হলেও নগরীতে কমিয়েছে গরমের দাপট। এদিকে অনেকদিন পর বৃষ্টি হওয়ায় অনেক শিশু-কিশোর ভিজে ভিজে আনন্দ উচ্ছাস করে উপভোগ করছে। স্থানীয়দের অভিমত, হালকা গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিপাত দিয়ে কি আর হবে, বৃষ্টি থেমে গেলেই গরম আবার বাড়বে।

 


 বৃষ্টিতে ভিজে আসা এক স্কুল তরুনি বলেন, মাঝেমাঝে আকাঁশের মুুখ ঘোমরা হলেও, গরমের তেজ এখনো কমেনি। কিন্তু গরম ও তাপদাহ শেষে একটু শান্তির বৃষ্টি শুরু হওয়ায় ভালো লাগছে। আরো কিছু সময় স্থায়ী হলে ভালো হতো। খানপুর এলাকার বাসিন্দা নাজমা বেগম জানান, সারাদিন ফেন চালিয়েও গরম থেকে বাঁচা যাচ্ছিলনা।

 

 

মনে মনে ভাবছিলাম ক্ষানিকটা বৃষ্টি হলে তাপমাত্রাটা কমতো, ভালো হতো।  এখন সেই অপেক্ষার অবসান হয়েছে, বৃষ্টির কারনে আবহাওয়া কিছুটা নরমাল হয়ে গরমের মাত্রা কমেছে। তিনি আরো বলেন, বাতাসে যে পরিমান ভ্যাপসা গরম অনুভতি হচ্ছে টিকে থাকা অসম্ভব। ভারি বৃষ্টিপাত না হওয়া পর্যন্ত এই অবস্থা এমনই থাকবে।

 


এ দিকে হঠাৎ বৃষ্টি হওয়ার ফলে বিপাকে পরছেন বিভিন্ন গন্তব্য স্থানে যেতে বের হওয়া মানুষজন। অনেকে বাধ্য হয়ে দির্ঘক্ষন বৃষ্টিতে ভিজেই তাদের জায়গা মতো যেতে হচ্ছে। আবার দেখা যায় কেউ কেউ কোনো এক দোকানের নিচে দাড়িঁয়ে অপেক্ষা করছে কখন বৃষ্টি থামবে।

 

 

সেখানেই এক কর্মজীবি রাসেল জানান, এ কয়েক মিনিটের বৃষ্টিতে গরম যায়না। আবার দুই এক দিন পর সেই আগের মতো অবস্থা সৃষ্টি হবে। টানা আরো কয়েক দিন বৃষ্টি থাকলে ভালো হতো।  এন. হুসেইন রনী /জেসি