মধুমাসে নগরীর বাজার জুড়ে রঙের ঘ্রাণের-স্বাদের ফল
যুগের চিন্তা রিপোর্ট
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ০৭:২৪ পিএম, ১১ জুন ২০২৩ রোববার
জ্যৈষ্ঠ প্রায় শেষ হতে চললো, এ মাসকে বলা হয় মধুমাস। ভরা এই মৌসুমে ফলের বাজারে সুভাষ ছড়াচ্ছে আম। বাজারে এগিয়ে আছে হিমসাগর, ল্যাংড়া, আম্রপালি জাতের আম। রয়েছে মধুমাসের অন্য ফল কাঁঠাল, লিচু, জাম, আনারস, জামরুল ইত্যাদি। তবে সরবরাহ ভালো থাকলেও আমের দাম একটু বেশি বলে ক্রেতাদের অভিযোগ।
শনিবার (১০ জুন) নারায়ণগঞ্জ ২নং রেল গেইট, ফল পট্টি, চারারগোপ ফলের আড়ৎ বাজার ঘুরে এমন দৃশ্য চোখে পড়েছে। এ মাসে বিভিন্ন নামের-রঙের ঘ্রাণের-স্বাদের ফল বাজারে আসে। এর মধ্যে অন্যতম আম। ভরা মৌসুম হওয়ায় চারারগোপ ফলের আড়তে প্রচুর পরিমাণে আম এসেছে।
বাজারে বর্তমানে আম্রপালি, হিমসাগর, ল্যাংড়া। তবে দু-একটা হাঁড়িভাঙা আমেরও দেখা মিলেছে। এর মধ্যে বেশি চাহিদা হিমসাগর ও ল্যাংড়া আমের। হিমসাগর বিক্রি হচ্ছে কেজি ১০০ থেকে ১১০ টাকায়, ল্যাংড়া আম বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা, এছাড়া আম্রপালি ১০০ থেকে ১২০ টাকায়, হাঁড়িভাঙা ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
২নং রেলগেইট এলাকার ফল ব্যবসায়ী মো. মমিন মিয়া লাইভ নারায়ণগঞ্জকে বলেন, বাজারে এখন ফলের মধ্যে সব থেকে বেশী চাহিদা আমের। বর্তমান বাজারে হিমসাগর ও ল্যাংড়া আমের চাহিদা সব চেয়ে বেশী। এক সময় আম কিনে ভয়ে থাকতাম কারণ মানুষ কিনচে চাইতো না। দেখা যেতো তখন নষ্ট হয়ে যেতো। কিন্তু এখন আর সেটা নেই। মানুষ ভরপুর আম কিনছে, প্রতিদিন গড়ে দেড়শ থেকে ১৬০ কেজি আম বিক্রি করি। আমের দাম এখন যে দামে আছে, সামনে আরও কমবে বলে মনে হচ্ছে।
নগরীর চারারগোপ ফলের আড়ৎ আম বিক্রেতা হাসেম জানান, আমরা মূলত চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে আম কিনে আনি। এখন মৌসুম চলছে, বাজারে পরিপূর্ণ সরবরাহ রয়েছে। কিন্তু, দাম একটু বেশিই ভরা মৌসুমে। আমরা একটু বেশি দরেই কিনেছি।
এ বছর খরার জন্য আম অনেক নষ্ট হয়ে গেছে। এজন্য একটু দাম বেশি। আরেক ব্যবসায়ী খুচরা ব্যবসায়ী জানান, বাজারে আম ভালোই বিক্রি হচ্ছে। একটু বেশি দাম হলেও স্বাদের জন্য মানুষ আম কিনছেন। অন্যান্য ফলের তুলনায় বাজারে আমের চাহিদাই বেশি।
আম্রপালি কিনছিলেন পপুলার ডায়গনেস্টিক সেন্টারে চাকরিজীবি মেহেদী হাসান। লাইভ নারায়ণগঞ্জকে তিনি বলেন, আম্রপালির ঘ্রাণ আর স্বাদই অন্যরকম। তাই এ আমই কিনি সাধারণত। পরিবারের লোকজনও পছন্দ করে। তবে দামটা ভরা মৌসুম হিসেবে একটু বেশি। আপাতত সময়ে আম্রপালি বাদ দিয়ে, এখন হিমসাগরটাই নিচ্ছি।
মাসদাইর এলাকার বাসিন্দা সাগর কাজী নামে আরেক ক্রেতা বলেন, এখন আম-লিচুর মৌসুম, এজন্য মানুষের আগ্রহও আছে। এ সুযোগটাই নিচ্ছে বিক্রেতারা। রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ব্যবসায়ীরা ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজিতে আম কিনেছে।
সেটাই নারায়ণগঞ্জ এনে বিক্রি করছে দুই থেকে তিন গুণ বেশি দামে। এটা করে মানুষকে ঠকানো হচ্ছে। আম ছাড়াও বাজারে জাম, কাঁঠাল, লিচু, জামরুল, তালের শাঁস, ঢেউয়া, আনারসসহ বাহারি স্বাদের ও ঘ্রাণের মৌসুমি ফল পাওয়া যাচ্ছে। এন. হুসেইন রনী /জেসি