সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ময়লার ডাম্পিং
যুগের চিন্তা রিপোর্ট
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ০৭:০৫ পিএম, ১৩ জুন ২০২৩ মঙ্গলবার
ফতুল্লা এলাকার মাসদাইরে নারায়ণগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে চাষাড়া পঞ্চবটি সড়কে ময়লা ফেলে স্তুপ বানিয়ে ফেলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এই সড়কটির সাথে শের-এ বাংলা রোডের সংযোগস্থলে রাস্তার পাশ ঘেষে মানুষ ময়লার ডাম্পিংস্পট বানিয়ে ময়লা ফেলছে নিত্যদিন। বিদ্যালয়টিতে কম করে হলেও সহস্রাধিকের বেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে।
এসব ময়লার দুগর্ন্ধে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করতে সমস্যা হচ্ছে। এ বিষয় নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাসুদা আক্তার। বিদ্যালয়ের সামনে চাষাড়া পঞ্চবটি রোড (ঢাকা নারায়ণগঞ্জ পুরাতন রোড)। যে সড়কটি দিয়ে দিনে প্রায় শত-শত ট্রাকসহ আরো অনেক গাড়ি ও পথচারী চলাচল করে।
আর এই ময়লার ডাম্পিং এর কাছাকাছি আরো দুটি বিদ্যালয় রয়েছে। এ বিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী এই ময়লার পাশ দিয়ে আসা যাওয়া করতে হয়। এই ময়লার ফলে এলাকাবাসিসহ এসব শিক্ষার্থীদের অনেক সমস্যা হয় এক প্রকার নাক চেপে বিদ্যালয়ে যাওয়া আসা করতে হয় এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের।
তবে কর্তৃপক্ষ বলছেন ভিন্ন কথা। সড়কটির একপাশে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন ও অন্যপাশে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা থানাধীন এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নং ওর্যাডের আওতায় হওয়ায় এর দায় নিতে চাইছে না কেউই। তবে দুই এলাকার কাউন্সিলর ও মেম্বারের মতে এই স্থানটি ময়লার নিদিষ্ট কোনো ডাম্পিং স্পট নয়। তারপরও এলাকাবাসী এখানে ময়লা ফেলে।
নারায়ণগণঞ্জ সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির সামিরা নামের একজন শিক্ষার্থী এ বিষয় যুগের চিন্তাকে বলেন, প্রতিদিন এখান দিয়ে স্কুলে যাওয়া আসা করি কিন্তু এই ময়লার দুর্গন্ধে গা গুলিয়ে ওঠে। কাউকে কখোনো পরিষ্কার করতে দেখিনি। সমস্যা তো হয়ই, তাছাড়া সরকারি বিদ্যালয়ের সামনে এমন ময়লা ফেলা এটা কেমন ব্যাপার। আমাদের যাওয়া আসা করতে অনেক সমস্যা হয়।
এ বিষয় নারায়ণগঞ্জ সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাসুদা আক্তার যুগের চিন্তাকে বলেন, স্কুলের সামনে এভাবে প্রতিদিন ময়লা ফেললে সবার সমস্যা হয়, শুধু শিক্ষার্থীদের নয়। আমাদের আসা-যাওয়ার পথে অনেক সমস্যা হয়। আর আমি মাঝে মাঝে আমার লোকজন দিয়ে আমার স্কুলের গেটের সামনে ময়লা টুকু পরিষ্কার করি। তবে রাতের আধারে অনেকে এসে এখানে আমার স্কুৃলের গেটের সামনেও ময়লা ফেলে যায়। সেগুলো স্কুলের লোক দিয়ে আমার পরিষ্কার করতে হয়। কেউ পরিষ্কার করে দিয়ে যায় না। বা কেউ ময়লা নিয়েও যায় না।
স্কুলের পাশেই একাটি মসজিদ থেকে নামাজ শেষে বের হলেই আমিনুল নামের একজন বাসিন্দা বলেন, নারায়ণগঞ্জ শহরে ময়লার চিত্র যেখানে সেখানে দেখলেই চোখে পড়বে আর এখানে ময়লা অনেক দিন ধরে ফেলা হয়। মাঝে মাঝে ময়লা নিয়ে যায়, আবার অনেক দিন না নেওয়ার ফলে ময়লা জমে স্তুপ হয়ে থাকে।
এরফলে দুর্গন্ধে দুভোর্গ পোহাতে হয় আমাদের। তবে এখানকার ময়লার বিষয়ে দায়িত্ব প্রাপ্ত কোন জনপ্রতিনিধিই তাদের নিজেদের লোকেরা ময়লা ফেলছে না বলে দাবী করে আসছেন। তাহলে প্রশ্ন জাগছে এখানকার ময়লাগুলো আসছে কোথা থেকে।
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জনাব মো. মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ এ বিষয়ে বলেন, যেখানে ময়লা ফেলে সেই এলাকাটি আমার নয়। তবে তাও আমার এলাকার পাশাপাশি হওয়ায় আমার ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের সমস্যার কথা ভেবে আমি আমার লোক দিয়ে সেখানকার ময়লা মাঝে মাঝে পরিষ্কার করি।
অপর দিকে এ বিষয় নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার এনায়েত নগর ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নং ওর্য়াডের মেম্বার মো. কামরুল হাসান বলেন, আমার এলাকার ময়লার গাড়ি আশেপাশের ময়লা সংরক্ষণ করে সাইনবোর্ড নিয়ে ডাম্পিং করে। আর এখানে তারা ময়লা ফেলে না। আমার এলাকার কেউ সেখানে ময়লা ফেলে না। এন.হুসেইন রনী /জেসি