রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

এক ঘন্টার বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে ফতুল্লা, বিপর্যস্ত জনজীবন

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৮:২৪ পিএম, ১৩ জুন ২০২৩ মঙ্গলবার

 

#  শুধু সড়কই নয়, পানিবন্দী কয়েক হাজার পরিবার
#  এমন পরিস্থিতির জন্য চেয়ারম্যান স্বপনকেই দূষছেন এলাকাবাসী

 

 

ফতুল্লার জলাবদ্ধতা যেনো এক রকম নিয়মে পরিণত হয়েছে। কয়েকবছর ধরে প্রতিটি বর্ষায় ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে এ অঞ্চলের বাসিন্দাদের। তবু এ নিয়ে জেনো ভ্রুক্ষেপ নেই ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার লুৎফর রহমান স্বপনের। বছর ঘুরে আবার নতুন বছর আসে। কিন্তু পরিস্থিতির  উন্নতি হয়না। এলাকাবাসীর দাবি চেয়ারম্যান উন্নয়ন করবেন তো দুরের কথা এলাকা পরিদর্শনেই আসেন না। এলাকাবাসীর সমস্যা দুর্দশার কথা শোনেন না।

 

গতকাল ১২ জুন ফতুল্লা পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায় পূর্বের ১ দিনের বৃষ্টিপাতের ফলে এখনো পানি জমে জলাবদ্ধতা লেগে আছে। বিশেষ করে লালপুর, পৌষাড়পুকুর পার, তাগারপার, ইসদাইর, বুড়ির দোকান, দক্ষিন সস্তাপুর উল্লেখ্যযোগ্য।

 

এসব এলাকায় বসবাসকারী বাসিন্দাদের সাথে কথা বললে তারা বলেন, জলাবদ্ধতার বিষয়ে বলতে বলতে এখন আমরা ক্লান্ত। বছরের পর বছর আমাদের এই অবস্থা কিন্তু কেউ এ পর্যন্ত এসব সমস্যা সমাধানে সদিচ্ছা দেখান নি। বৃষ্টি আকাশে দেখলে আমাদের মনে যে কি চলে তা কাউকে বলে বোঝানো যাবেনা। শুধু রাস্তায় পানি উঠে তা নয়। বাসায় ও পানি উঠে। এ পানি কয়েক দিন পর্যন্ত থাকে। এসব পানি জদি ভালো হতো তাও হতো। এই পানি পানিগুলো ময়লা মিশ্রিত।

 

শরীরে লাগার পর নানারকম চর্মরোগ দেখা দেয়। জলাবদ্ধতার কারণে দিনমজুরদের কাজে যেতে অসুবিধা হয়। শিক্ষার্থীদের স্কুলে যেতে অসুবিধে হয়। এমনকি ময়লা পানির দুর্গন্ধে ঠিকমতো ঘুমানো পর্যন্ত যায়না। এত দীর্ঘ সময় এমন একটা প্রকট সমস্যার সমাধান না হওয়ায় হতাশা ও চাপা ক্ষোভ জনমনে। তবে এসব সমস্যা সমাধানে কোনো আশার আলো দেখাতে পারেননি চেয়ারম্যান স্বপন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন পূর্বে জলাবদ্ধতা নিরসনে সাময়িকভাবে পাম্প ব্যবহার করে পানি নিষ্কাশন করা হতো।

 

তবে এতে বিদ্যুৎ বিল আসে কয়েক লাখ। যা ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক বহন করা সম্ভব নয়। অর্থাৎ এ মৌসুমে এ সমস্যা ও এর ফলে উদ্ভুত ভোগান্তি যে আরো প্রকট আকারে দেখা দিবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। পূর্বের বৃষ্টির জলাবদ্ধতার রেশ কাটতে না কাটতেই গতকাল দুপুরের টানা বর্ষনে পরিস্থিতি হয়েছে আরো ভয়াবহ। বৃষ্টি যেনো ফতুল্লা বাসীর কান্না হয়ে আবির্ভূত হয়। ফতুল্লা বাসীর একটাই দাবি তাদের জলাবদ্ধতা নামক অভিশাপ থেকে মুক্ত করে তাদের ফতুল্লাকে বাসযোগ্য জনপদে পরিনত করা হোক।এস.এ/জেসি