রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নানা সমস্যায় জরাজীর্ণ নগরীর বঙ্গবন্ধু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৬:৩৪ পিএম, ১৫ জুন ২০২৩ বৃহস্পতিবার


# বিদ্যালয়ের পাশে বখাটে ছেলেদের আড্ডা : অভিভাবক  


রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে পাইকপাড়ার ১৬ নং বঙ্গবন্ধু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি নানা ধরনের সমস্যায় জেঁকে বসেছে। বাচ্চাদের খেলার মাঠ আছে তবে সেটি বিদ্যালয়ের বাইরে, যার ফলে অনেক বাচ্চা ক্লাস ফাকি দিয়ে খেলতে চলে যায়। আবার দেখা যায় একটু বৃষ্টি হলেই পুরো পানিতে ডুবে যায় স্কুলটি। মাঝে মাঝে অতি বৃষ্টি হলে শ্রেনী কক্ষ পানিতে ডুবে যায়। এই অবস্থায় ভোগান্তির স্বিকার হয়ে ক্লাস করতে হয় শিক্ষার্থীদের।
 

 


এদিকে খোঁজ নিয়ে জানাযায়, বিদ্যালয়ের ছাদে বসে ও পুরোনো জরাজীর্ণ ভাঙ্গা ভবনে এলাকার বখাটে ছেলেরা এসে নেশা সেবন করে। এতে করে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নানা হেনস্থার সিকার হন। আর এজন্য কোমলমতি শিক্ষার্থীরা আতঙ্ক নিয়ে বিদ্যালয়ে পাঠ নিতে আসেন। এছাড়া বিদ্যালয়ের চারপাশে নেই কোনো বাউন্ডারি।

 

 

যার কারনে যখন তখন সুযোগ পেলেই বাচ্চারা বাইরে বের হয়ে যায়। স্কুলের পিছনে তো একেবারেই ফাঁকা রাস্তা, যখন তখন যেকোনো অচেনা ব্যাক্তি বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে বলে অভিযোগ রয়েছে। আর এতে করে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকে। কেননা এখানে বখাটে ছেলেদের কারনে শিক্ষার্থীরা আসা যাওয়ার পথে হেনস্থার শিকার হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।  

 


সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের ভবনের মেরামতের পরও কিছু শ্রেনী কক্ষের ছাদের সিলিংয়ের  আস্তরের অংশ ভেঙ্গে খুলে পরছে। যার ফলে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।

 


এ নিয়ে বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেনীর অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীর অভিভাবক সায়রা খাতুন বলেন, বিদ্যালয়ের এরকম অসুবিধা অনেক আগে থেকেই। বলা যায় কিছুটা উন্নয়ন হয়েও যেন হয়নি। বৃষ্টিতে যেন আরো সমস্যা হয়ে দারায় ছেলেমেয়েকে স্কুলে আনতে। আর দুপুরের পর স্কুলে কোন আউট মানুষ প্রবেশ করলে তা যেন কেউ দেখার নেই। এ বিষয়ে স্কুলের সার-মেডমরাও কোনো ব্যবস্থা নেয় না।

 


এসময় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক অভিভাবক জানান, স্কুলের মেইনটেইন বজায় রাখার জন্য স্কুল গেটের সামনে যদি একজন দারোয়ান রাখা হতো তাহলে বাচ্চারা এদিক সেদিক যাওয়া নিয়ে ভয় থাকতো না ওরাও স্কুলের বাইরে বা অন্য কোথায় যেতে সাহস পেতনা। আর আমাদেরও ভয়ে থাকতে হতো না।

 


এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হুমাইরা বলেন, আমাদের স্কুলের পাশে একটি পুকুর আছে, দেখা যায় বৃষ্টি যখন থাকে পুকুরের পানি ভরে যায় তা আবার ড্রেনের ময়লা পানির সাথে মিশে একাকার হয়ে ভরে যায় পানি যাওয়ার কোনো জায়গা নেই। আর এভাবে স্কুলের বাউন্ডারি ২ জায়গায় আছে আর ১ জায়গায় নেই। সেখানে আগে ডোবা ছিল সেটি সিটি কর্পোরেশন থেকে ভরে ফেলেছে, এখন সেখানে ফাঁকা জায়গা।

 


বিদ্যালয়ের মেনেজিং কমিটির সভাপতি জুয়েলি ভুইঁয়া জানান, স্কুল পানিতে ভরে যায় ও জরাজীর্ন ভবন এর এই সমস্যাগুলোর পদক্ষেপ আমরা নিয়েছি। আমি মেয়র সাহেবকে এই সমস্যার বিষয়ে বলেছি। আর এই জায়গাটি নিয়ে অনেক সমস্যা চলছে। যদি আমাদের জায়গাটা ঠিকঠাক করে না দেয় তাহলে আমরা এই বাউন্ডারি ওয়াল দিতে পারছিনা। বাউন্ডারিটা দিতে পারলে এই সমস্যাগুলো ঠিক হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ। আর পানির বিষয়টা নিয়ে আমরা এখন ব্যবস্থা নিয়েছি।

 


জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আলেয়া ফেরদৌসি শিখাকে এই বিদ্যালয়ের সমস্যাগুলো সম্পর্কে অবগত আছেন কিনা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, জেলার সব স্কুল তো আর একবারে দেখা সম্ভব না। আর সেখানে যে ভাঙ্গা ভবনটি রয়েছে তা নিলামের জন্য কমিটির নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। এছাড়া নাসিক মেয়র মহোদয়কেও বলা হয়েছে, পুরাতন ভবনটি বিক্রির জন্য ইতোমধ্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

 

 

আর বাউন্ডারি তো অনেক স্কুলেই নেই এই বিষয়টি দেখা হচ্ছে  হাইওয়ে রাস্তার পাশে বিদ্যালয়গুলোতে বাইন্ডারির দেওয়ার কথা বলা হয়েছে ও পরিত্যক্ত ভবনগুলো ভেঙ্গে ফেলার এবং বিক্রির নির্দেশ দিয়েছে। আর এ স্কুল সম্পর্কে তেমন জানিনা এই বিষয়ে আমি উপজেলা শিক্ষা অফিসারের সাথে কথা বলবো ব্যবস্থা নিবো।  এন.হুসেইন রনী /জেসি