রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দেড় দশক ধরে পানিবন্দী লালপুরবাসী

সাইমুন ইসলাম

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৮:১৪ পিএম, ২০ জুন ২০২৩ মঙ্গলবার

 

# সংস্কারে সদিচ্ছার অভাব বলছেন এলাকাবাসী
# চেয়ারম্যান এর নিজের ওয়ার্ডেই জলাবদ্ধতার এমন চিত্রে বিস্ময় প্রকাশ
# শীঘ্রই সমস্যার সমাধান করা হবে-কাজী মঈন উদ্দিন

 

 

সদর উপজেলার ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদ জলাবদ্ধতার কারণে বছরের বেশিরভাগ সময় আলোচনায় থাকে। ফতুল্লার প্রায় প্রতিটি ওয়ার্ডে সামান্য বৃষ্টিতেই ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হয়। এ জনপদকে অনেকটা অবহেলিত বলা চলে। ফতুল্লা ইউনিয়ন এর  অন্তর্গত যে কয়টি ওয়ার্ড জলাবদ্ধতার কবলে তার মধ্যো ৪ নং ওয়ার্ডের লালপুর রোডটি অন্যতম।

 

তথ্যমতে, সামান্য বৃষ্টি হলেই কয়েকদিন ধরে জলাবদ্ধতা অব্যাহত থাকে। একটু ভাড়ি বৃষ্টি হলেই গাড়ির সাথে সাথে চলাচল করে নৌকা। শুধু যে জলাবদ্ধতার সমস্যা তা নয়। এ সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে চলাচল অযোগ্য হয়ে আছে। কারন পুরো রাস্তা জুড়ে বড় বড় গর্ত হয়ে আছে। এতে করে প্রায়ই ছোট বড় দূর্ঘটনার স্বিকার হয় এ রাস্তায় চলাচলকারীরা।

 

সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা যায় সম্পূর্ন রাস্তাটি পানিতে ডুবে আছে। রাস্তার মাঝে বড় বড় গর্ত। গাড়ি যখন এ রাস্তা ধরে পার হয় তখন মনে হয় এই বুঝি উল্টে গেলো গাড়িটি। একরকম ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে যাত্রীরা। চালকরা বলছেন দীর্ঘদিন একই রকম অবস্থা বিদ্যমান। অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। বাধ্য হয়েই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে তারা।

 

এলাকাবাসীদের সম্মিলিত বক্তব্য হলো  এ রাস্তাটি ঘিরে দীর্ঘদিনের যে জলাবদ্ধতা তা এখন অসহনীয় পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে। এ জনপদ একরকম অভিশপ্ত জনপদে পরিনত হয়েছে। জনপ্রতিনিধিরা তাদের ভোগান্তি লাঘবে তেমন অর্থে এগিয়ে আসেনি। এ সমস্যা সমাধানে সদিচ্ছার অভাবকে দায়ী করছেন এলাকাবাসী।

 

তারা আরোও বলেন এ সমস্যাটা দীর্ঘদিনের। এত বছরেও এ সমস্যা সমাধান হওয়াটা মোটেও সহজ ভাবে নিচ্ছেন না তারা। তারা এর জন্য সরাসরি সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিকেই দায়ি করছে। তারা অতিসত্ত্বর এ সমস্যা সমাধানের দাবি জানান। এ বিষয়ে ৪ নং ওয়ার্ডের মেম্বার কাজী মঈন উদ্দিন জানান।

 

আমি দেড় বছর হয়েছে নির্বাচিত হয়েছি। এ সমস্যার মূল কারণ মূলত ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভালো না। এ এলাকায় মিল আছে বেশ কয়েকটি। এই মিল এর পন্য লোড আনলোডের জন্য বড় বড় কাভার্ড ভ্যান গুলি ঘুরলে ড্রেন ভরাট হয়ে যায়। এ সমস্যা সমাধানে ১ সপ্তাহ আগে চেয়ারম্যান এসেছিলো। মডার্ন হাউজিং এর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ সকল মুরুব্বি মিলে সম্ভাব্য সমাধান বের করার চেষ্টা করা হয়েছে।

 

এ সমস্যার সাময়িক সমাধান হিসেবে পাইওনিয়ার এর মধ্যো দিয়ে একটি ড্রেন আছে, সেখানে পাইপ ব্যবহার করে পানি নিষ্কাশন করা হবে। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দন শীল এসেছিলো। কলোনী থেকে রীনা চৌধুরীর বাজার পর্যন্ত আরসিসি ড্রেন নির্মাণ করা হবে অতিসত্ত্বর। এছাড়াও জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে বড় আকারের একটি পাম্প দেওয়া হবে। পরবর্তিতে কিভাবে আরো উৎকৃষ্ট সমাধান করা যায় এ ব্যাপারে পরিকল্পনা নেওয়া হবে।

 

তবে এলাকাবাসী বলছেন আর কোনো আশ্বাস নয়, এ সমস্যার উপযুক্ত সমাধান করে এলাকাবাসীকে এ অভিশপ্ত অবস্থা থেকে মুক্তি দেওয়া হোক। এখন দেখার বিষয় কবে নাগাদ এ সমস্যার সমাধান করে জনপ্রতিনিধিরা। এস.এ/জেসি