গণবিদ্যা স্কুলের কমিটি তদন্তে জেলা শিক্ষা অফিসার
যুগের চিন্তা রিপোর্ট
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ০৮:৩৬ পিএম, ২০ জুন ২০২৩ মঙ্গলবার
# জেলা শিক্ষা অফিসার বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির অনিয়ম প্রসঙ্গে তদন্তে আসেন: প্রধান শিক্ষক
# আদালতে মামলা থাকা অবস্থায় কোন কমিটির অনুমোদন থাকবে না: জেলা শিক্ষা অফিসার
নারায়ণগঞ্জ শহরের গণবিদ্যা নিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির গঠনে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত করেছে জেলা শিক্ষা অফিসার ইউনুছ ফারুকি। গতকাল বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনে এসে গণবিদ্যা নিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠনে অনিয়মের বিষয়ে তদন্ত করতে আসেন তিনি। এর আগে এই বিদ্যালয়ের কমিটি গঠনের বিষয়ে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে আনোয়ার হোসেন ভূইয়া নামে একজন অভিভাবক আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন।
আনোয়ার হোসেন ভূইয়ার অভিযোগে উল্লেখ্য করা হয়, গণবিদ্যা বিদ্যা নিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনের জন্য ২০২২ সনে অভিভাবক ক্যাটাগরির ভোটার তালিকা প্রনয়ন করা হয়। প্রনীত অভিভাবক ভোটার তালিকায় ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেনী পর্যন্ত মোট অভিভাবক ভোটার ছিল ৮১৩জন। তার মাঝে ১০ শ্রেনীতে ২২৭ জন শিক্ষার্থী ২০২৩ সনে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহনের উদ্দেশ্যে ফরম পুরণ করেন।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির প্রবিধানমালা ২০০৯ এর প্রবিধান ১২ এর উপপ্রবিধান (১) থেকে (৭) পর্যবেক্ষন ও পর্যালোচনান্তে ২০২৩ সনের নির্বাচনের ভোটার তালিকা অবৈধ। এছাড়া ২০২২ সনের ভোটার তালিকা প্রণীত ভোটার তালিকা সংশোধন না করে ২০২৩ সনের নির্বাচনের জন্য চুড়ান্ত অভিভাবক ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয় নাই।
এছাড়াও নির্বাচন বন্ধের জন্য বিষয়ে আরেক অভিযোগের প্রেক্ষিতে সদর উপজেল নির্বাহী অফিসার এই বছরের ২৫ জানুয়ারি উপজেলা মাধ্যমিক অফিসারকে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। তার পরেও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
ম্যানেজিং কমিটির বিষয়ে অভিযোগকারী আনোয়ার হোসেন বলেন, নারায়ণগঞ্জ বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারি জজ কোর্ট আদালত রুজুকৃত ৪৯/২০১৮ দেওয়ানী মোকদ্দমা আদেশের আলোকে মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হয়। এই মামলা খারিজ করা হলেও বর্তমানে তা আদালতে চলমান রয়েছে। জেলা শিক্ষা অফিসার ইউনুছ ফারুকী বলে গেছেন আদালতে মামলা থাকা কালিন কোন কমিটি অনুমোদন হবে না।
গণবিদ্যা নিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল জব্বার জানান, “একজন অভিভাবকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা শিক্ষা অফিসার বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির অনিয়ম প্রসঙ্গে তদন্তের জন্য আসেন। তিনি তদন্তে এসে যে সকল কাগজপত্র দেখতে চান আমরা তা উপস্থাপন করি।”
পরে সব কিছু দেখে তিনি বলে যান, “আদালতে মামলা থাকা অবস্থায় কোন কমিটির অনুমোদন থাকবে না। এছাড়া অনুমোদনের জন্য আবেদনকৃত কমিটি অনুমদোন না হওয়ায় এবং এডহক কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ায় বর্তমানে বিদ্যালয়ে কমিটি বিহীন হয়ে রয়েছে। নিয়ম অনুসারে জেলা শিক্ষা অফিসার এবং প্রধান শিক্ষক জেলা প্রশাসকরে ত্বত্তবধানে পরিচালিত হবে।”
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির এডহক কমিটির সাবেক সভাপতি ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ লাভলু বলেন, “কমিটির তদন্তে জেলা শিক্ষা অফিসার যে সকল কাগজপত্র চেয়েছে আমরা তা দিয়েছি। তাছাড়া বিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য আমাকে সভাপতি করা হয়েছে। আমি বিদ্যালয়ের উন্নয়নের কাজ করেছি।”