প্রতি বছর এলাকা না ডুবলে টনক নড়েনা এমপির
যুগের চিন্তা রিপোর্ট
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ১০:৩৬ পিএম, ৫ জুলাই ২০২৩ বুধবার
# আগেও ক্ষমা চেয়েছিলেন শামীম ওসমান, বলেছিলেন আর জলাবদ্ধতা হবেনা
প্রতি বছর বর্ষা এলে যখন ডিএনডির ভেতর গোটা এলাকা ময়লা পানির নিচে ডুবে যায় তখন টনক নড়ে শামীম ওসমানের। তখন তিনি ২/১ দিন মাঠে নামেন এবং নানা কথা বলে মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতে মানুষের দুঃখ দুর্দশার কোনো লাঘব হয় না। কারন শামীম ওসমান পরে আর খোঁজ রাখেন না। এর আগের বর্ষায় শামীম ওসমান বলেছিলেন আগামী বর্ষায় আর জলাবদ্ধতা হবে না এবং তিনি তার নিজের ব্যর্থতার জন্য জনগণের কাছে মাফ চেয়েছিলেন।
কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয়নি। এবারও ডিএনডির ভেতরে ফতুল্লার বিশাল এলাকা যখন অথৈই পানির নিচে ডুবে গেছে তখন মাঠে নেমেছেন তিনি। ২ জুলাই রবিবার তিনি সিদ্ধিরগঞ্জ যান এবং সেখানে দাঁড়িয়ে জলাবদ্ধতা নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। তখন তার সাথে উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনীর এবং ওয়াসার কর্মকর্তারা। এ সময় শামীম ওসমান বলেন অবিলম্বে যদি এই জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধান না করা হয় তাহলে তিনি ময়লা নোংরা পানিতে নেমে অবস্থান ধর্মঘট করবেন।
যতক্ষণ সমস্যার সমাধান না হবে ততক্ষণ তিনি গলা পানিতে নেমে দাঁড়িয়ে থাকবেন। এছাড়াও তিনি ফতুল্লায় দেড়শো কোটি টাকার ড্রেনেজ ব্যবস্থা গড়ে তোলার কথা বলেন এবং সিটি করপোরেশনকে আহবান জানান সিটি করপোরেশন যেন তার এলাকার পানি আউটলেট পর্যন্ত নামাতে ড্রেন নির্মাণ করেন। ওই দিন এমপি শামীম ওসমানের এই বক্তব্য সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়।
এদিকে ফতুল্লার ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষের অনেকেই ফেসবুকে মন্তব্য করেন শামীম ওসমান চাইলে এই সমস্যার সমাধান আরো অনেক আগেই করতে পারতেন। প্রতি বছর এভাবে মানুষকে কষ্ট করতে হতো না। আসলে জনগণের প্রতি শামীম ওসমানের কোনো রকম দায়বদ্ধতা বা আন্তরিকতাই নেই। তাই এভাবে বছরের পর বছর তার এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। তিনি কিছুই করতেন না।
কেবল মাত্র বর্ষা এলে যখন গোটা এলাকা ডুবে যায় তখন তিনি নানা কথা বলে সাধারণ মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু মানুষ কি তার কথা বিশ্বাস করে? কেউ বিশ্বাস করে না। তাই আমরা আশা করবো শামীম ওসমান এবার এসব কথা না বলে এলাকার জনগনের জন্য কিছু একটা করবেন। ফতুল্লার জলাবদ্ধতা নিরসনে স্থায়ী ব্যবস্থা করবেন। এস.এ/জেসি