চাষাড়ায় মনিরের চাঁদাবাজি
যুগের চিন্তা রিপোর্ট
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ০৮:৩৯ পিএম, ১৫ জুলাই ২০২৩ শনিবার
# তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে : সদর ওসি
শহরের ফুটপাতে দোকান বসিয়ে চাঁদাবাজি। এ যেনো এক রমরমা ব্যবসা। বঙ্গবন্ধু সড়কের মতোই শহরের প্রাণকেন্দ্র চাষাড়া পুলিশ বক্স ও জিয়া হলের সামনে থেকে বাগে জান্নাত মসজিদ পর্যন্ত ফলের দোকানসহ সকল দোকান থেকে পুলিশের নামে মনির এর ব্যাপক চাঁদাবাজি। ফুটপাতে হকারের দোকান বসা নিয়ে বাণিজ্য যেনো রমরমা।
টাকা দিলেই দোকান বসবে না দিলে উঠে চলে যেতে হবে এটাই মনির এর আইন। চাষাড়া জিয়া হল হতে ভাগে জান্নাত মসজিদ পর্যন্ত ৪৮ টি দোকান বসে প্রতি দোকান থেকে গড়ে আদায় করা হয় ১০০ থেকে ২০০ টাকা। এই টাকা উত্তলনের মূলহোতা মেম্বার মনিরে যার হাতেই সব চাবিকাঠি। কেউ কিছু জানতে চাইলে সাফ সাফ উওর দিয়ে বলেন থানা পুলিশকে খরচ দিতে হয় নইলে দোকান বসানো যায় না।
এদিকে প্রতিদিন দেখা যায় রাস্তায় যানজট। যার মূল কারণ অবৈধ ভাসমান ফলের দোকান। এ সব দোকান রাস্তার এক তৃতীয়াংশই জুড়ে বসে আছে। নারায়নগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন উচ্ছেদ অভিযান সহ ভ্রাম্যমান আদালত জরিমানা করা সত্বেও থামছে না এই সমস্যা।
ফুটপাতে হকার ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতিদিন মিনিমাম চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা ওঠে। পুলিশকে দিতে হয় প্রায় ৩ হাজার টাকা করে এবং সাথে আরো অনেক সাইডেও দিতে হয়। এমন সব তথ্য জানান ফল ব্যবসায়ী ভুক্তভোগী।
এ বিষয়ে মনির এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না। যারা আমার কথা বলছে সেটা মিথ্যা আপনি মনার চায়ের দোকানে সামনে আসেন কথা বলবো। তার পরে যেটা ভালো মনে হয় সেটাই করবেন।
তবে নারায়ণগঞ্জ সদস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিচুর রহমান মোল্লা বলেন, যদি পুলিশের নাম বলে কেউ টাকা তুলে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এমনিও আমরা সব সময় ফুটপাতের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছি যাতে মানুষ ফুটপাত দিয়ে ভালো ভাবে চলাফেরা করতে পারে। এস.এ/জেসি