রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

না:গঞ্জ শহরের তল্লা এলাকায় প্রকাশ্যে চার বাহিনীর মাদকব্যবসা

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৭:০৭ পিএম, ১৭ জুলাই ২০২৩ সোমবার


নারায়ণগঞ্জের মাদকের জোন হিসাবে পরিচিত ফতুল্লা থানা এলাকা তার মধ্যে অন্যতম হলো তল্লা রেল লাইন, যেখানে হাত বাড়ালেই পাওয়া যায় নানা ধরনের মাদক। তল্লার বিভিন্ন স্থানে ফের প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে মাদক। মাউরাপট্টি রেল-লাইন থেকে শুরু করে তল্লা বড় মসজিদ পর্যন্ত মাত্র আধা কিলোমিটার রাস্তার প্রায় ৮ থেকে ১০টি স্পটে প্রকাশ্যে মাদক বেচা-বিক্রি চলছে মাদকের।

 

 

এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, শহরে খানপুর এলাকায় চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ী পুলিশের সাথে বন্ধুকযুদ্ধে নিহত শাহীন এর সহযোগী ও পুলিশের তালিকাভূক্ত শীর্ষ মাদক কারবারি আলম ও শাহাআলম, পুজিন সুমন, নুরু জামাল, নিয়ন্ত্রণে চলমান রয়েছে বর্তমানে তল্লা রেল-লাইন এলাকার মাদক ব্যবসা। এবং তল্লা সবুজ ভাগ এলাকায় টটকার বাড়ি ও প্রিন্টের বাড়ি মাদক এর আখড়া নামে পরিচিত। 

 

 

সুত্রে আরো জানা যায়, তল্লা এলাকায় গাজা ডিলার হলেন, নাজমা ও ইয়াবার ডিলার হলেন নাজমার মেয়ে জামাই পায়েল। যাদের নামে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য তাদের রয়েছে ৩০/৩৫ জনের একটি বিশাল বাহিনী।  

 

 

অনুসন্ধান বলছে, পুরো তল্লায় ৪টি বাহিনীর মাধ্যমে চলামান রয়েছে সব ধরনের মাদক বেচা-বিক্রি। এদের মধ্যে রয়েছে, আলম-শাহাআলম বাহিনী, ডলার বাহিনী, সোহেল ওরফে চুদু সোহেল বাহিনী ও সালাউদ্দিন ওরফে ভাঙ্গারি সালাউদ্দিন বাহিনী। তবে এদের প্রতিটি বাহিনীর এলাকা সীমানা ভাগ রয়েছে।

 

 

সূত্র বলছে, আলম- শাহাআলমের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে মাউরাপট্টি রেল-লাইন থেকে তল্লা বড় মসজিদ এলাকা পর্যন্ত। আর এই বাহিনীতে রয়েছে প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন সদস্য। এরা রাস্তায় প্রকাশে মাদক বিক্রি করে থাকে। 

 

 

এরপর রয়েছে শহরের চিহ্নত মাদককারবারি ডলার। ডলার ও তার আপন বড় ভাই সুমন মিলে তল্লা বড় মসজিদ থেকে শুরু করে তল্লা ছোট মসজিদ পর্যন্ত প্রায় ১০ থেকে ১৫ জন সের্সম্যান দিয়ে প্রকাশ্যে ইয়াবা, গাঁজাসহ বিভিন্ন মাদক বিক্রি করছে।

 

 

এরপর রয়েছে, সোহেল বাহিনী। পুরো তল্লার বিভিন্ন স্থানে পাইকারি মাদক বিক্রি করেন সোহেল । এর পর রয়েছে, সালাউদ্দিন ওরফে ভাঙ্গারি সালাউদ্দিন বাহিনী। তল্লা ও চাঁনমাড়ির কয়েকটি স্থানে সালাউদ্দিন মাদক বিক্রি করে থাকেন।

 

 

জানা গেছে, সালাউদ্দিন ওরফে ভাঙ্গারি সালাউদ্দিনের কাছে এক ধরনের বিশেষ মাদক পাওয়া যায়। আর তাই বর্তমানে পুরো তল্লা এলাকার শীর্ষ মাদক কারাবারী এই সালাউদ্দিন। 

 

 

বিভিন্ন সূত্র বলছে, শহরের অন্যতম মাদক স্পট গুলোর মধ্যে একটি তল্লা ও চাঁনমাড়ি এলাকা। এসব স্পট গুলোতে ধারাবাহিক ভাবে একের পর একজনের নিয়ন্ত্রনে চলমান থাকে মাদক কারবার।

 

 

জানা গেছে, শহরের চিহ্নিত ও তালিকা ভূক্ত শীর্ষ মাদক কারবারি শাহিন ওরফে ডন শাহিনের দুই সহযোগী আলম ও শাহাআলমের নিয়ন্ত্রণে চলমান রয়েছে বর্তমানে তল্লা রেল-লাইন এলাকার মাদক কারবার। 

 

 

অনুসন্ধানে জানা গেছে, এসব মাদক কারবারিদের প্রতিজনের নামে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। তবে এরা জামিনে বেরিয়ে ফের মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে।