1. প্রচ্ছদ
2. জনদুর্ভোগ

নাসিক ১নং ওয়ার্ডের মিজমিজি তালতলা ক্লাব রোডটি সংস্কারের অভাবে বেহাল অবস্থায় রয়েছে। নারায়াণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন (নাসিক)-এর ১ নং ওয়ার্ডের মিজমিজি তালতলা ক্লাব রোডটির সাথে ডেমরা-নারায়াণগঞ্জ রোডের সংযোগস্থল বা সিদ্ধিরগঞ্জ পুল থেকে নামলেই যে রাস্তাটি রয়েছে সেটি দীর্ঘদিন যাবৎ সংস্কার না করার ফলে জনমানবের চলাচলে ভোগান্তি বেড়েছে।

 

 

সামান্য বৃষ্টিতেও পানি আটকে কাদা হয়ে ভয়ানক অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। এই কাদায় কেউ পিছলে পড়েন, কেউ আবার গন্তব্যে তাড়াতাড়ি পৌছানোর জন্য দ্রুত হাটতে গিয়ে সদ্য ধোয়া রঙিন পোশাকে রাস্তার কাদার ছিটেফোটায় মাখামাখি হয়ে বাড়িতে ফেরত যান গিন্নীর ঝাড়ি শোনার জন্য।

 

 

কেউ আবার মিশুক চালকদের ১০ টাকা দেন শুধু মাত্র এই রাস্তার  চৌমাথাটা পাড় হওয়ার জন্য। গর্ত হলেই রাস্তায় ঢালা হয় ভাঙা ইটের গুড়ো। তাতে জনদুর্ভোগের পরিধি কমার তুলনায় বৃদ্ধি পায় ব্যাপক আকারে। হাঁটতে কিছুটা অসতর্ক হলেই ভাংগা ইটের টুকরায় পা লেগে আহত হতে হয়।

 

 

বাজারের রাস্তাটির অবস্থা আরও বেশি খারাপ। কেননা এই রাস্তায় বৃষ্টি পরুক বা না পরুক বাজারের ময়লা এবং মাটি মিলে কাদা হয়ে থাকবেই। এছাড়াও রয়েছে অসহ্যকর দূর্গন্ধ যা মানুষের সহ্য সীমার বাইরে। ফলে ১ নং ওয়ার্ডের জনগণ দুর্বিসহ অবস্থায় এই রাস্তা দিয়ে বাধ্য হয়ে চলাচল করছে।

 

১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা রফিক যুগের চিন্তা-কে জানান, রাস্তাটি চার রাস্তার মোড় হওয়ায় এখানে প্রতিদিন অনেক মানুষ চলাচল করে। এছাড়াও মিশুক স্টান্ডটিও এখানেই অবস্থিত। মিশুক চালকদের অবাধ চলাচলের ফলেই রাস্তাটির এই হাল। প্রথমে এখানে ছোট খাট গর্ত হয় তারপর সেই গর্ত বড় হয়ে আস্তর উঠে রাস্তা নষ্ট হয়ে যায়।

 

 

রাস্তা সং¯কার বলতে কয়েক দফা ইটের ভাঙা টুকরা ফেলে গর্ত ঢাকতে দেখা যায়। যা আমাদের চলাচলের সমস্যা আরেক ধাপ বাড়িয়ে দেয়। এতে করে সামান্য অসতর্কতার সাথেও এই রাস্তায় হাটলে উষ্টা খেয়ে পায়ের নখ হারাতে হয়।

 

১নং ওয়ার্ডের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহিলা বাসিন্দা যুগের চিন্তা-কে জানান, প্রতিদিন বাচ্চাদের স্কুলে আনা নেওয়া করতে, সাপ্তাহিক বাজার করতে এই রাস্তায় আসা হয়। এছাড়াও দৈনন্দিন এর বাহ্যিক প্রয়োজনে এই রাস্তায় এই ওয়ার্ডের সকল মানুষকে একবার হলেও আসতে হয়।

 

 

রাস্তার অবস্থা অনেক খারাপ থাকে, এখন তো রোদ আছে তাই রাস্তার অবস্থা যাই একটু ভাল আছে। কিন্তু সামান্য বৃষ্টিতেই এ রাস্তা কাদা হয়ে খুবই নোংরা হয়ে যায়। বাজারের রাস্তা তো দেখেন নি ওটা আরও বেশি বাজে অবস্থায় আছে।

 

এ বিষয়ে ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. আনোয়ার ইসলাম যুগের চিন্তাকে জানান, এর আগে এই রাস্তা যখন একেবারে ভাঙা ছিলো তখন আমি আমার নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় ১ লক্ষ টাকা ব্যয় করে ইট-সুড়কি ফেলি। মেয়র মহোদয় যত তাড়াতাড়ি সুদৃষ্টি দিবেন তত তাড়াতাড়ি এই রাস্তা পাকা হবে।

 

 

বাজারের রাস্তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যেহেতু এটা বাজারের রাস্তা সেহেতু একটু নোংরা তো হবেই। কিন্তু এই রাস্তার নোংরা ময়লা বেশিদিন জমে থাকতে দেই না। ময়লা বেশি জমার আগেই লোকজন লাগিয়ে তা পরিস্কার করার ব্যবস্থা করি।  এন.হুসেইন রনী /জেসি