১৮নং ওয়ার্ডে ডেঙ্গু আক্রান্তের ঝুঁকিতে এলাকাবাসী
যুগের চিন্তা রিপোর্ট
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ০৯:১৫ পিএম, ২৭ জুলাই ২০২৩ বৃহস্পতিবার
# সবাইকে সচেতন থাকার অনুরোধ করছি : কাউন্সিলর মুন্না
মশার উপদ্রব এবং ময়লার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ নাসিক ১৮নং ওয়ার্ড আলামিন নগর ও শহিদনগর এলাকাবাসী। গত ৫ বছর ধরে সিটি করপোরেশন ময়লা-আবর্জনা গুলো ফেলা হচ্ছে সেখানে। যে কারনে দিনের বেলাতেও মশার কামড় থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না তারা। অন্যদিকে মশা ও মাছির উপদ্রবে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে তারা। জানা যায়, গত কয়েক সপ্তাহ আগেও ওই এলাকা দুজন লোক ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে।
এ বিষয়ে নাসিক ১৮নং ওয়ার্ড আলামিন নগর এলাকার এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, প্রায় ৩-৪ বছর ধরে নারায়ণগঞ্জের যত ময়লা আছে এই জায়গাতে ফেলা হচ্ছে। ময়লার কারনে মশার উপদ্রব বেশি। প্রতিদিনই কাউন্সিলর এর লোকেরা আইসা মশা ঔষধ দিয়ে যায় কিন্তু এই ঔষধে কোনো কাজে আসে না। বর্তমানে মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। আমাদের এখানে এই ময়লাতে প্রচুর পরিমান মশার লাবা রয়েছে।
তারা শুধু এখানে এনে ময়লা-আবর্জনা ফালায় কিন্তু এলাকার মানুষ কিভাবে বাচঁবে তারা এটা চিন্তা করে না। ময়লা থেকে প্রচুর পরিমান মশা-মাছি জন্ম নিচ্ছে। কিন্তু সিটি করপোরেশন থেকে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। গত কয়েকজদিন আগে জিএমসির ৩নং গলিতে ২ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। এছাড়াও অনেকে বাসা-বাড়িতেও আক্রান্ত হয়েছে কিন্তু কেউ কাউকে বলে না।
একই বিষয়ে স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, গত ৪ বছর ধরে এখানে ময়লা ফেলা হচ্ছে যে কাউন্সিলর এবং মেয়র দুজনেই দেখছে কিন্তু কই তারা তো আমাদের কথা চিন্তা করে নাই। সারাদিন যেমন-তেমন সন্ধ্যার পর তো শান্তিতে বসাই যায় না। আর কি ঔষধ দিয়ে যায় মশা মরেই না। ভোটের সময় মানুষকে বলছে এক মাসের মধ্যে ময়লা সরাইয়া নিয়ে যাইবো এ বলে পাস করছে। কিন্তু এখন আর কোনো খবর নাই। মানুষকে শান্তনা দিয়ে যায় আর কি। গত ৬-৭ মাস আগে এসে ফগার মেশিন দিয়ে ঔষধ দিয়ে গেছিলো এখন কেরসিন তেলের কালো পচা তেলটা আইসা দিয়ে যায়।
এ বিষয়ে নাসিক ১৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্না বলেন, একদিন পর পর আমার লোকেরা সেখানে মশার ঔষধ ছিটিয়ে দিয়ে আাসে। সারা দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি ঠিকই আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি সচেতন থাকার। এস.এ/জেসি