রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১   ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিস্ফোরণের পর আত্মগোপনে মুসকান মটরসের মালিক

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৮:০১ পিএম, ৪ আগস্ট ২০২৩ শুক্রবার


বিস্ফোরণের পর থেকেই আত্মগোপনের অভিযোগ কাশিপুরের মুসকান মটরসের মালিক ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে। তাদের সন্ধানে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করলেও কোন খোঁজ পায়নি। ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের পরির্দশক (ওসি) মোহাম্মদ নূরে আযম মিয়া বলছেন, তাদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করে যাচ্ছে। আশাকরি খুব শীঘ্রই গ্রেপ্তার হবে। 

 

 

তবে, মুসকান মটরসের মালিক স্বপনের স্ত্রী মুনা বেগম গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘বিস্ফোরণের পর থেকেই তার স্বামী অসুস্থ। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। তাকে নিয়ে ঢাকার একটি হাসপাতালে অবস্থান করছে পরিবারের অন্য সদস্যরা। তার দাবি, সেখানে কোন দাহ্য পদার্থ ছিল না। বিস্ফোরণের পরে ব্যাটারী গুলো অক্ষত ছিল। কেউ বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তাদের ফাঁসিয়েছে।’

 

 

ঢাকা-মুন্সিগঞ্জ সড়কের পাশে কাশীপুর ইউনিয়নের ভোলাইল এলাকায় নির্মাণাধীন পাঁচতলা ভবনের নিচতলায় মুসকান মটরস নামের ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার শো-রুমে ২৯ জুলাই সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিস্ফোরণটি হয়। এ সময় পাশের একটি টিনের সেমিপাকা ঘর ও একটি দোতলা ভবনের দেয়াল ও ছাদের অনেকটা ধসে পড়ে। ক্ষতিগ্রস্ত হয় আশপাশের অনেক ভবনের জানালার কাঁচ।

 

 

আহত হয় ১৭ জন। গুরুত্বর আহতদের মধ্যে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসারত অবস্থায় ২ জন মারা গেছে। ভর্তি রয়েছে আরও ২ জন। নিহতরা হলো মুসকান মটরসের কর্মচারী সোহাগ ও কামাল পাশা টিটু। এ ঘটনায় মুসকান মটরসের মালিক স্বপনকে আসামী করে নিহত সোহাগ বাবা বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছে।  

 

 

মামলায় উল্লেখ করেন, ‘ঘটনার দিন সকাল সাড়ে নয়টার দিকে মুসকান মটরসের কর্মচারী টিটু (৪৮), আবির (২৭), রাজিব (২২), রানা (৩৮) সহ বাদীর ছেলে নিহত সোহাগ শো-রুমের দরজা খুলে ভিতরে প্রবেশ করা মাত্র বিকট শব্দে বিস্ফোরন ঘটে। এতে সকলেই দগ্ধ হয়।’ মুসকান মটরসের মালিক স্বপন দেওভোগের বাশমুলির মোড় এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। এলাকাবাসী জানান, বিস্ফোরণের পর থেকে স্বপন পরিবার নিয়ে আত্মগোপনে চলে গেছে। তাঁদের বাসায় তালা ঝুলছে। 

 

 

তবে, এই প্রতিবেদকের সাথে মুঠোফোনে কথা হয়েছে মুসকান মটরসের মালিক স্বপনের স্ত্রী মুনা বেগমের। তিনি জানান, স্বামী স্বপন ও সন্তান সায়েমকে নিয়ে তাদের ৩ সদস্যের পরিবার। বিস্ফোরণের পর অসুস্থ্য হয়ে পড়েন স্বপন। তাকে নিয়ে ঢাকার একটি হাসপাতালে আছেন সন্তান সায়েম ও তিনি।

 

 

মুনার ভাষ্য, ‘মুসকান মটরসে নতুন ব্যাটারী ও অটোরিকশা আসতো। সে গুলোই বিক্রি করতেন তারা। সেখানে কোন দাহ্য পদার্থ ছিল না। বিস্ফোরণের পরেও ব্যাটারী গুলো অক্ষত ছিল। কেউ বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তাদের ফাঁসিয়েছে।’

 

 

এ ব্যাপারে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের নারায়ণগঞ্জের উপ সহকারী পরিচালক ফখর উদ্দিন আহমেদ জানান, বিস্ফোরণের কারণ অনুসন্ধ্যানে জেলা প্রশাসন থেকে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে কারণ বলা যাবে।  এন. হুসেইন রনী  /জেসি