ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বালুবাহী ট্রাকে লুঙ্গি শহীদের চাঁদাবাজি
সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ০৬:২৫ পিএম, ১৪ আগস্ট ২০২৩ সোমবার
নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে হাইওয়ে পুলিশকে ম্যানেজ করে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক দাবরে বেড়াচ্ছে বালু, ইট ও পাথরবাহী ফিটনেস বিহীন বেডফোর্ড ট্রাক ও ড্রাম ট্রাক। মহাসড়কে দিনের বেলায় এসব যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও হাইওয়ে পুলিশকে অনৈতিক সুবিধা প্রধান করে প্রকাশ্যে দিবালোকে বীরদর্পে চলাচল করছে এসব যানবাহন।
আর এই সেক্টরটি এককভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে সিদ্ধিরগঞ্জের আটি হাউজিং এলাকার শহিদ ওরফে লুঙ্গি শহিদ। এমনই অভিযোগ মহাসড়ক দুটিতে চলাচলকারী বালু, পাথর ও ইটবাহী ট্রাকের চালক ও হেলপারদের। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে আনলোডকৃত বালু, পাথর এবং বিভিন্ন এলাকার ব্রিক ফিল্ডের তৈরী ইট সরবরাহের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে ফিটনেস ও রেজিষ্ট্রেশন বিহীন বেডফোর্ড ট্রাক ও ড্রাম ট্রাক।
আর এসব ট্রাক হাইওয়ে পুলিশের শিমরাইল ক্যাম্প, কাঁচপুর হাইওয়ে থানা ও ভুলতা ক্যাম্পকে মাসোহারা দিয়ে চলাচল করছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন দেড় থেকে দুইশত ট্রাক চলাচল করে। প্রতি ট্রাকের জন্য প্রতিমাসে দেড় থেকে দুই হাজার টাকা মাসোহারা দিতে হয়।
আর এই মাসোহারা সংগ্রহ করেন শহিদ ওরফে লুঙ্গি শহিদ। প্রতিমাসে এ সেক্টর থেকে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা আদায় করে শহিদ। সেই টাকা থেকে হাইওয়ে পুলিশের শিমরাইল ক্যাম্প, কাঁচপুর হাইওয়ে থানা ও ভুলতা ক্যাম্পকে সিংহভাগ টাকা দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। এই মাসোহারা আদায়কারী শহিদ ওরফে লুঙ্গি শহিদকে এসব পরিবহনের চালক ও শ্রমিকরা স্যার বলে সম্বোধন করে থাকে বলেও জানা গেছে। এছাড়াও হাইওয়ে পুলিশের সাথে সহিদের গভীর সখ্যতা। ফলে বহাল তবিয়তে চালিয়ে যাচ্ছে এই মাসোহারা বাণিজ্য।
কালাম নামে একজন বেডফোর্ড ট্রাকের চালক জানান, ভাই শহিদ ভাইয়ের মাধ্যমে প্রতিমাসে দেড় হাজার করে টাকা দিয়ে আমরা গাড়ি চালাই। টাকা না দিলে আমরা রাস্তায় গাড়ী নিয়ে বের হতে পারি না। তাই বাধ্য হয়ে প্রতিমাসে টাকা দিতে হয়। টাকা দিলেই শহিদ স্যার মামলা ও রেকার বিল ছাড়া ডাম্পিং থেকে গাড়ী বের করে দেয়।
সাইদুল নামে এক বালুর ট্রাকের চালক জানায়, শহিদ স্যারকে মান্তি দিয়ে গাড়ি চালাই। মান্তি না দিলে হাইওয়ে পুলিশ গাড়ি ধরে ডাম্পিংয়ে নিয়ে যায়। গাড়ি না চললে সংসার চলে না। তাকে মান্তি দিলে সমস্যা হয় না। শান্তিতে গাড়ি চালাতে পারি।
মাসোহারা আদায়ের বিষয়টি অস্বীকার করে শহিদ ওরফে লুঙ্গি শহিদ জানায়, ভাই আমি কোন মান্তি উঠাই না। আমি মাটির ব্যবসা করি, লেবার সাপ্লাই দেই এবং জমি কেনা-বেচা করি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাইওয়ে পুলিশের শিমরাইল ক্যাম্পোর ইনচার্জ একেএম শরফুদ্দিন জানান, “মাসোহারা আদায়ের বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে এসব গাড়ীগুলো সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।” এন. হুসেইন রনী /জেসি