ডেঙ্গুতে ডাবের চাহিদা বাড়ায় মূল্য হাঁকাচ্ছে দ্বিগুণ
শ্রাবণী আক্তার
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ০২:২৪ পিএম, ১৯ আগস্ট ২০২৩ শনিবার
প্রতি বছরের তুলনায় এ বছর ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে। হাসপাতাল গুলোতে বাড়ছে রোগীর ভিড়। চিকিৎসকরা ডেঙ্গু রোগীদের তরল খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। বিশেষ করে ডাবের পানি পান করতে বলছেন। ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়েছে ডাবের চাহিদা।
ডাবের চাহিদা বৃদ্ধির ফলে ব্যবসায়ীরা বাড়িয়েছে ডাবের মূল্য। বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জের খানপুর, কালিবাজার ও দেওভোগের বিক্রেতাদের সাথে মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে কথা বললে একেক জন একেক মন্তব্য করলেও সকলেই বলছেন পাইকারি মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় আমাদেরকেও বেশি মুল্যে বিক্রি করতে হচ্ছে।
খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালের সামনের এক বিক্রেতার সাথে কথা বললে তিনি জানান, বড় সাইজের প্রতি ১০০ পিছ ডাব ১২ হাজার টাকা ও মাঝারি সাইজের ডাব ৯ হাজার টাকায় পাইকারি দরে কিনতে হচ্ছে। তাছাড়া পরিবহন খরচ আছে। এজন্য বড় সাইজের ডাব ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছি আর মাঝারি সাইজের ডাব ১২০ টাকা দরে বিক্রি করছি।
ছোট সাইজের ডাবের মূল্য জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, কচি হলে ছোট সাইজের ডাব ও ১৫০ টাকায় বিক্রি করেন। তিনি বলেন বেশি মূল্যে কিনতে হয় বলে আমাদের বেশি মুল্যে বিক্রি করতে হয়।
দেওভোগ পাক্কা রোডের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিক্রেতা জানান, পাইকারি বাজারে মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় হাতে সীমিত লাভ রেখেই বিক্রি করছি ডাব। মূল্য বৃদ্ধির কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ডাব বারোমাসী ফল হলেও ডেঙ্গুতে ডাবের চাহিদা বেড়েছে চাহিদার তুলনায় যোগান কম যার কারণে আড়ৎদাররা দাম ছাড়ছে না। আমরা যারা ডাব ব্যবসায়ী যারা এই কর্ম করে খাই তারা বাধ্য হয়ে বেশি মুল্যে কিনছি এবং ক্রেতারা বাধ্য হয়ে এই মূলেই ক্রয় করছে।
কালিবাজার চারারগোপ আড়তের আড়তদার বলেন, একে তো ডেঙ্গুতে ডাবের চাহিদা বেড়েছে তার মধ্যে কিছুদিন ধরে ডাব সরবরাহকারী কয়েকটি জেলায় টানা বৃষ্টি হচ্ছে। যার কারণে গাছ থেকে ডাব পারতে পারছে না মূলত এসব কারণেই ডাবের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
খানপুর হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের স্বজনদের সাথে কথা বললে তারা বলেন, চিকিৎসকরা ডেঙ্গু রোগীদের তরল জাতীয় এবং ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খেতে বলেন। রোগীরা যেসব ফলের উপর ভরসা করেন সেসব ফলগুলোর মূল্য বেড়ে গেছে। তার মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে ডাব।
কারণ ডাবের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। আমরা যারা মধ্যবিত্তরা আছি তাদেরই খরচ বহন করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। নিম্নবিত্তরা রোগীদের জন্য চাইলেও প্রতিদিন ডাব কিনতে পারছেন না। তাই সব কিছু বিবেচনা করে ডাবের মূল্য নির্ধারণ করলে সাধারণ জনগন একটু স্বস্তি পেত। এন.হুসেইন রনী /জেসি