রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১   ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্থবির ডিসি অফিস-টু-চাষাঢ়া চত্বর

ইউসুফ আলী এটম

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৯:২৮ পিএম, ৯ অক্টোবর ২০২৩ সোমবার

 

লিংকরোড সংস্কারে ধীরগতির বিরূপ প্রভাব পড়ছে ডিসি অফিস-টু-চাষাঢ়া চত্বরে। দিনের বেলা রাস্তার একপাশ বন্ধ রেখে কাজ করায় সড়কের ওই অংশটুকুতে মাস ধরে লাগাতার যানজট চলছে। জেলার গুরুত্বপূর্ণ সরকারি অফিসের বেশীরভাগ দপ্তরই লিংকরোডের ওই অংশে অবস্থিত।

 

ফলে সকালে অফিস টাইমে এবং বিকেলে অফিস ছুটির পর ওই সড়ক পুরোপুরি স্থবির হয়ে পড়ে। ইঞ্জিন বন্ধ করে দিয়ে যানবাহনগুলোকে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে, পথচারীও রাস্তা পারাপারের ফাঁক খুঁজে পায় না। এছাড়া এ পথে নিয়মিত ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ আসা-যাওয়াকারী অফিসযাত্রী, ব্যবসায়ী ও শহরতলীর উত্তরমুখি বাসিন্দারাও চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।

 

কাজ শেষ করতে আর কতদিন লাগতে পারে; এমন প্রশ্নের জবাবে ঠিকাদারের এক শ্রমিক বলেন, ‘আমরা তো স্যার বইসা থাকি না। তয় আরো লোক লাগবো। বেশী লোক কাজ করলে কাজও তাড়াতাড়ি অইবো।’ কথা বলার জন্য দু’দিন চেষ্টা করেও ঠিকাদারের সাক্ষাৎ পাওয়া যায়নি। তার শ্রমিকরা জানান, স্যার তো সবসময় সাইডে আসেন না।

 

ডিসি অফিসের জনৈক কর্মচারী ক্ষোভ ঝেড়ে বললেন, ‘আর পারি নারে ভাই। আমার বাসা নারায়ণগঞ্জ শহরের দক্ষিণ সীমান্তে। সকালে অটোতে চাষাঢ়া গোলচত্বর আসার পর প্রায়দিনই পায়ে হেঁটে অফিসে যাই। বিকেলে অফিস ছুটির পরতো অবস্থা আরো খারাপ হয়ে যায়। তখন হেঁটে রাস্তা পারাপারেরও জো থাকে না। গত একমাস যাবৎ চলছে এ অরাজকতা। আর যে গতিতে কাজ চলছে তাতে তো মনে হয়, আরো কয়েকমাস আমাদেরকে এ দুর্ভোগ পোহাতে হবে।’

 

আলাপকালে শহরতলী পূর্ব ইসদাইর বুড়ির দোকান এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান জানান, মালামাল আনতে তাকে প্রায় প্রতিদিনই নিতাইগঞ্জ যেতে হয়। এই যাওয়া এবং আসায় কম করে হলেও তার সময় লাগে ২ থেকে ৩ ঘন্টা। শহরে যানজট লাগলেও তা সহনীয় পর্যায়ে থাকে। কিন্তু ছোটবড় গর্তেভরা চাষাঢ়া থেকে জেলা পরিষদ পর্যন্ত রাস্তাটুকু খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। দুর্ঘটনার ভয়ে চালকরা এই রাস্তায় সাবধানে খুব ধীরগতিতে গাড়ি চালান। এ কারণে লাগাতার যানজট তৈরী হয়।

 

যানজট ও গাড়ি ক্ষতি হওয়ার ভয়ে লিংকরোডের এই অংশে রিকশা এমনকি অটোও চলাচল করতে চায় না। ডিসি অফিসের আশপাশ এলাকার বাসিন্দারা শহরে আসতে যেতে যার-পর-নাই ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। কারণ এই সড়ক ছাড়া তাদের গত্যন্তর নেই। শিশু শিক্ষার্থীদের শহরের স্কুলে নিতে আনতে অভিভাবকরা হিমশিম খাচ্ছেন। দ্বিগুণ টাকা দিয়েও হাতের নাগালে যানবাহন না পেয়ে হতাশ হতে হচ্ছে। লিংকরোডের স্থবিরতা কাটার অপেক্ষায় আছেন উত্তরের শহরতলীবাসী। এস.এ/জেসি