রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১   ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সড়ক নির্মাণাধীন, ফুটপাত দখলে ভোগান্তিতে শহরবাসী

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৯:১৫ পিএম, ১২ অক্টোবর ২০২৩ বৃহস্পতিবার

 

# লিংক রোড নির্মাণাধীন কাজের ধীরগতিতে অচল হয়ে পড়েছে শহর
# সড়কে যানজট সাধারণের হাঁটার রাস্তা ফুটপাত হকারদের দখলে 

 

 

নির্মাণাধীন ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড প্রকল্পের কাজে ধীরগতির কারণে তৈরি হয়েছে তীব্র যানজটে। অচল হয়ে পড়েছে শহর। সাধারণ মানুষের চলাচলের জন্য তৈরি করা ফুটপাট দখল করে রেখেছে হকার রা মানুষের হেঁটে চলাচলের জন্য নেই শহরে কোন ফাঁকা জায়গা। শহরের ২ নং রেলগেইট এলাকা থেকে চাষাড়া আসতে সময় লাগে মাত্র ৫ মিনিটি কিন্তু সেখানে সময় লাগছে প্রায় কয়েক ঘন্টা।

 

গাড়িতে না এসে সাধারণ মানুষজন হেঁটে বাড়ি বা কাজের উদ্দেশ্যে বের হলে পথচারীর জন্য ফুটপাত থাকলেও সেটি দখল করে রেখেছে ফুটপাতের এক চাঁদাবাজ বাহিনী। চরম বিড়ম্বনায় পড়ছেন জরুরি সেবার প্রয়োজন এমন রোগীরা। গত এক সপ্তাহ ধরে শহরের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ ও বছরখানেক ধরেই ধীরগতিতে চলা লিংক রোডের কাজ।

 

কিন্তু বছরখানেক ধরে সংস্কার কাজের দুর্ভোগ যে কয়েক গুণ কষ্ট দিচ্ছে বাসিন্দাদের সেটি নিয়ে কর্তৃপক্ষের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। কিন্তু প্রতিদিন সাধারণ মানুষের চলাচলের সমস্যা করে লাখ টাকার উপরে চাঁদাবাজি করছে হকার নেতারা। পুলিশ প্রশাসন সবটা দেখেও না দেখার মত করে আছে। লিংক রোডের কাজের আগে নারায়ণগঞ্জ সদর থানা ফুটপাত পরিষ্কার রাখার জন্য চলছে একের পর এক অভিযান কিন্তু হঠাৎ করে সবটা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।  

 

তাই শহরবাসী অনেকটাই বিপদে পরে রয়েছে কারণ এ জেলায় যে সকল পুলিশ ও প্রশাসন রয়েছে তারাও ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েই চলছে দিনের পর দিন। নারায়ণগঞ্জ সিটি করর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী, নারায়ণগঞ্জ -৪ আসনে এমপি শামীম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল ও নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহামুদুল হক সহ সকলের সঠিক পরিকল্পনা ও সম্নয়ন এর অভাবে ভুগছে নারায়ণগঞ্জবাসী।

 

সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনে সারাদেশে সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের অংশ হিসেবে হাতে নেওয়া এই প্রকল্পের কাজ ২০২২ সালের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও কয়েক দফা মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। এখনও চলছে প্রকল্পের কাজ। কাজে ধীরগতির কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে ওই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারীদের।

 

সড়কের চাঁনমারী পর্যন্ত ছয়লেনের কাজ শুরু হলেও এখন পর্যন্ত আর্মি মার্কেট এলাকা থেকে চাষাঢ়া মোড় পর্যন্ত সড়ক ছয় লেন করার জন্য উচ্ছেদ কাজই শুরু হয়নি। ফলে শঙ্কা রয়ে গেছে এই অংশে আদৌ সড়ক প্রশস্ত হবে কিনা। কালক্ষেপণ হলেও প্রকৌশলী কিংবা স্থানীয় এমপি কেউই মুখ খুলছেন না।

 

সরেজমিনে জানা গেছে, কাজে ধীরগতি ও দীর্ঘ সংস্কার কাজের মধ্যেই সৃষ্ট খানাখন্দকে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন চলাচলরত সাধারণ যাত্রীরা। গত দেড় বছর ধরে এই সংস্কার কাজের জন্য ভোগান্তিতে পড়ছেন তারা। শুরুর দিকে সাইনবোর্ড, ভূঁইগড়ে ভোগান্তি পোহাতে হতো। কিন্তু গত এক সপ্তাহ ধরে চাষাঢ়া থেকে চাঁনমারী অংশে সংস্কার কাজ শুরু হওয়ায় ভয়াবহ ভোগান্তির মুখে পরেছেন নগরবাসী।

 

নারায়ণগঞ্জ শহর থেকে বের হওয়ার পথটি এক লেন হয়ে যাওয়ায় যানজট দেখা দিয়েছে। তার ওপর এক লেনে থাকা সড়কটিও ভয়াবহ রকম খানাখন্দকে পরিপূর্ণ। মাঝেমধ্যেই সেখানে ঘটছে গাড়ি উল্টে যাওয়ার ঘটনা। এমন অবস্থায় পুরো নগরীবাসীর নষ্ট হয়েছে ঘন্টার পর ঘন্টা কর্মঘণ্টা।

 

নারায়ণগঞ্জ শহরে কালিবাজার এলাকা মোড়ে শহীদ নামে এক ব্যক্তি বলেন, শহরে যে পরিমান যানযট তাতে বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ছে নারায়ণগঞ্জ। যারা রাস্তার কাজ করছে কারা সময় নিচ্ছে অনেক বেশি। রাতের বেলায় এ কাজ না করে দিনের বেলায় কাজের নামে মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে তারা।

 

আমাদের যে সকল ট্রাফিক পুলিশ রয়েছে তারা ঠিক মতো কাজ করছে না তারা যদি ঠিক মতো কাজ করতো তাহলে এতো পরিমানে যানজট তৈরি হতো না। যেখানে ৫ মিনিটের রাস্তা সেখানে এক ঘন্টার বেশি সময় লাগছে সবটাই তাদের উপরে। আমরা চাই তারা যাতে ঠিক করে তাদের ডিউটি পালন করে এটাই আমাদের আসা। আমরা চাই তারা যাতে খুব তাড়াতাড়ি কাজ শেষ করে শহরবাসীকে একটু শান্তির মুখ দেখায়। এস.এ/জেসি