রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১   ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফতুল্লা থানায় সেবাপ্রত্যাশীদের নানা বিড়ম্বনা

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৭:১১ পিএম, ১৫ অক্টোবর ২০২৩ রোববার

 

# থানার অভ্যন্তরে অভিযোগপত্র দায়েরে নিরুৎসাহিত করা হয় 
# থানার বাইরের দোকানে অভিযোগপত্র তৈরিতে গুনতে হয় বাড়তি টাকা
# অভিযোগ তদন্তকারী সদস্যকে গাড়ির তেলখরচ বাবদ দিতে হয় সহস্রাধিক টাকা

 

 

কয়েকদিন পূর্বে ইসদাইর বাজার এলাকায় রিমন নামের এক অটো চালকের ব্যাটারী চুরি করে ওই এলাকারই এক বাসিন্দা। যে পূর্বেও চুরির সাথে সংশ্লিষ্ট ছিলো। তা দেখে ফেলে ঐ এলাকারই এক দোকানদার। তখন অভিযুক্তকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে উল্টো ভুক্তভোগীকে হুমকি প্রদান করতে থাকে। তখন স্থানীয় মেম্বার ভুক্তভোগীকে থানার দ্বারস্থ হতে বলে।

 

থানায় যাওয়ার পর প্রথমে সে থানার অভ্যন্তরে প্রবেশ করলে তাকে থানার বাইরে থেকে অভিযোগপত্র লিখিয়ে থানায় জমা দিতে বলে। অভিযোগপত্র লিখাতে গেলে তার কাছে ৫০০ টাকা দাবি করা হলেও পরবর্তীতে ৪০০ টাকায় করে দেওয়া যাবে বলে জানানো হয়। কিন্তু তার কাছে ৪০০ টাকা না থাকায় সে সেদিন আর অভিযোগ করতে পারেনি। পরদিন সকালে টাকা নিয়ে এসে অভিযোগ সম্পন্ন করে এবং থানায় তা পেশ করে।

 

তখন তাকে ঐ এলাকায় দ্বায়িত্বরত এক পুলিশ সদস্যের নাম্বার দেওয়া হয়। তার সাথে যোগাযোগ করতে বলা হয়। তখন ঐ পুলিশ সদস্যের সাথে যোগাযোগ করলে তারা অভিযুক্তের কাছে যায়। এবং বিষয়টি মিমাংসা করে দেয়। তবে মিমাংসার পর পুলিশ সদস্যরা ভুক্তভোগীর কাছে গাড়ির তেল খরচ বাবদ ১০০০ টাকা দাবি করে। তখন ভুক্তভোগী তার পরিচিতজনদের থেকে ধার করে ১০০০ টাকা তাদের দেয়।

 

এ ঘটনা যে শুধু একজনের সাথেই ঘটেছে তা নয়। ফতুল্লা থানায় এ চিত্র বহুদিন ধরে চলছে। অভিযোগ করার নিয়ম থানার মধ্যে করা হলেও কেউ অভিযোগ করতে গেলে তাকে থানা লাগোয়া দোকান থেকে করতে উৎসাহিত করা হয়। এমন দোকান থেকে করতে গেলে টাকাও নেয় কয়েকগুন বেশি। খোঁজ নিয়ে জানা যায় এমন অভিযোগপত্র প্রস্তুত করতে কালিরবাজার কিংবা চাষাড়ায় কয়েকগুন কম টাকা লাগে।

 

অর্থাৎ এক প্রকার জিম্মী হয়েই সেবা প্রত্যাশীরা বাড়তি খরচে বাইরে থেকে করতে বাধ্য হয়। শুধু তাই নয় যে সদস্যদের ঘটনা তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় তাদের টাকা দিতে হয়। এতে করে বহু হতদরিদ্র সেবা প্রত্যাশী টাকার অভাবে অভিযোগ করাতে পারেননি। সচেতন নাগরিকদের দাবী থানায় সেবা প্রাপ্তি আরোও সহজলভ্য করা দরকার। এবং থানা লাগোয়া দোকানগুলোকে কাজের নির্দিষ্ট পারিশ্রমিক বেধে দেওয়া সময়ের দাবি। এস.এ/জেসি