রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১   ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ড্রেনেজ অব্যবস্থাপনায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে কাশিপুর ইউনিয়নবাসী

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৯:২৪ পিএম, ১৬ অক্টোবর ২০২৩ সোমবার

 

সদর উপজেলায় কাশিপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের খিলমার্কেট হতে হাটখোলা সড়ক ও ৪ নং ওয়ার্ড  চৌধুরীগাঁও এলাকায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় দীর্ঘদিন যাবৎ পানি জমে বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে। বৃষ্টি না থাকলেও ড্রেনের পানি ময়লা-আবর্জনা মিশে এলাকার পরিবেশ দূর্ষিত করে। এছাড়া এই পানি নিষ্কাশন হওয়ার মত তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই ব্যটারিচালিত অটোরিকশা ও ভ্যানগাড়ি চালক ও আরোহীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয় সব সময়।

 

দীর্ঘ ১ মাস ধরে এই পচা ও দুর্গন্ধময় পানি জমে থাকার কারনে বাচ্চাদের নানা অসুখ বিসুখ ও পানিবাহিত রোগসহ হাত পায়ে খোস পাচঁড়া জনিত রোগও হয়ে থাকে বলে অভিযোগ রয়েছে। চৌধুরীগাও এলাকার কিছু স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এখানে প্রায় সব সময় পানি জমে থাকে যার ফলে ডেঙ্গু মশার জন্ম হয় এবং এ ব্যাপারে এলাকার জনপ্রতিনিধিদের অবগত করলেও কোনো কাজ হয়না। দুর্গন্ধ ও খানা-খন্দের  মধ্যে চলাচল করতে হচ্ছে স্কুল, মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও চলাচলকারী সাধারণ জনগনের। এছাড়া ড্রেনের স্লাব ভাঙ্গা থাকার কারণে অনেক সময় বিভিন্ন দূর্ঘটনার সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

 

৫নং ওয়ার্ড এর স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এই এলাকায় এসব তো আর নতুন কিছু না, বৃষ্টি না থাকলেও পুরো এলাকা পানিতে ডুবে থাকে। রাস্তা মেরামতের অভাব ও ড্রেনগুলোর ময়লা-আবর্জনাতে পানি উপরে উঠে যায়। রাস্তায় গাড়ি আনা-নেওয়া ও চলাচলকারী সাধারণ জনগনেরও পরতে হয় চরম বিরম্বনায়। এ বিষয়ে এলাকার মেম্বাররাও তেমন একটা তদারকি করেন না।

 

এ বিষয়ে ৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বার হাবিবুর রহমান হাবিব জানান, কোটি টাকার উপর টেন্ডার করা হয়েছে রাস্তাটি। যারা ঠিকাদার আছেন কাজ করার জন্য তারা জায়গার নাম শুনে আসতে চায় না। আর আমাদের এলাকার যে চেয়ারম্যান আছেন তিনি বছরে একবারও এখানে এসে দেখে যান না। মাস খানেক আগে দেড় লক্ষ টাকা খরচ করেছি এলাকাবাসীর সহযোগীতা নিয়ে। কি করবো সরকারি সহযোগীতা নো পেলে নিজেদের থেকেই করতে হবে।

 

চৌধুরীগাও এলাকার ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার মেজবাউর রহমান পলাশ বলেন, এই রোডের জন্য আমি এবং আমাদের চেয়ারম্যান অনেক চেষ্টা করেছি। কিন্তু পর পর ৩বার ইন্সটিমেট আনার পরেও কোনো কন্টেকটার কাজ করতে চায়নি। শেষে ৩য় বারের সময় অনেক কষ্টে টেন্ডার পাশ করার পর কুতুবপুরের মাসুদ নামের এক কন্টেকটর রাজি হন। কিন্তু পরবর্তিতে পুরাতন কাজ সে করবে না বলে জরিমানা সহ তিনি টাকা ফেরত দেন।

 

এই রোডটি হাটখোলা থেকে ইসদাইর পর্যন্ত এর মধ্যে ২৫% আমার ওয়ার্ডের মধ্যে পড়েছে আর বাকি ৭৫% ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের মধ্যে পড়েছে। কিন্তু এই পুরো রোডটা ঠিক করার জন্য আমি একা অনেক চেষ্টা করেছি। প্রতিবার ঈদের সময় এলাকা বাসীর সাহায্যে ড্রেন পরিষ্কার করাই। এই রোডের অভিশাপ থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য যদি আমার বিরুদ্ধেও লিখতে হয় তাহলে লিখেন। সত্যি বলতে আমিও এ অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে চাই। কেননা আমার এলাকায় কিংবা আমার পরিবারের লোক মারা গেলে কবর দেওয়ার জন্য লাশটা এ পঁচা পানি পাড়িয়ে নিতে হয়। এটা আসলে অনেক দুঃখ জনক।  

 

এ বিষয়ে কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ বাদল বলেন, এখানে একটি টেন্ডার হয়েছিল। এটি পরে জরিমানা দিয়ে বাতিল করা হয়েছে এবং এই টেন্ডারটি আবার হবে খুব শীঘ্রই।