হরতাল-অবরোধে বেকায়দায় খেটে খাওয়া মানুষ
যুগের চিন্তা রিপোর্ট
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ০৬:২৬ পিএম, ৪ নভেম্বর ২০২৩ শনিবার
আগামী নিবার্চনকে ঘিরে সারাদেশে সরকার বিরোধী দলের মধ্যে ৩১ই অক্টোবর এবং ১ ও ২ নভেম্বর সকাল-সন্ধ্যা অবরোধ ঘোষণা করেছিলো। এই অবরোধ শেষ হতে না হতেই আবার ৫ ও ৬ নভেম্বর আবার অবররোধ ডেকেছে বিএনপি-জামায়াত।
অবরোধে নগরীর রাস্তাঘাটগুলো ফাঁকা থাকলেও অফিসগামী মানুষগুলো ছিলো বিপাকে। বিশেষ করে দুদর্শায় ছিলো খেটে খাওয়া মানুষগুলো। এক দিন রোজগার না হলে যেসব মানুষগুলো পরবে সবচেয়ে বিপাকে তারা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, মানুষকে কষ্ট দিলে আল্লাহ সহ্য করবে না।
এ বিষয়ে শাহেদ, শ্যাম, হেমন্ত, জুয়েলসহ বাস এবং রিকশাচালক দুঃখ প্রকাশ করে যুগের চিন্তাকে জানান, সামনে নির্বাচন সরকার ও সরকারের বিরোধী দলের ব্যাক্তিরা নিজেদের মধ্যে মারামারি-কাটাকাটি করবো আর তার কষ্ট ভোগ করতে হবে আমাদের মতো সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষদের।
কিছুদিন আগে ঢাকাতে বড় হরতাল গেছে যানবাহন প্রায় অধিকাংশ গুলো বন্ধ ছিলো। এখন আবার বিএনপি অবরোধ ডেকেছে। টানা তিন দিন অবরোধ এগুলো কি কোনো অত্যাচার না। একদল বলে মানুষ তাদেরকে চায় আবার আরেক দল বল মানুষ তাদেরকে চায় না।
আমরা ভাই সাধারণ মানুষ আমাদের চাওয়া হলো সন্তান-পরিবারকে নিয়ে যেনো দু-বেলা দু-মুঠো ভাত শান্তিতে খেয়ে মরতে পারি। তারা তাদের সুবিধার্থে জেলায় বা সারা দেশে হরতাল-অবরোধ ঘোষনা করে। আর আমরা আতঙ্কে থাকি। তারা গাড়ি, বাস, রিকশা যা ই হোক না কোনো কার সেটা দেখে না।
সেই মানুষটা যে কতোটা অসহায় সেটা তো পাত্তাই দেয় না। কিছু হলেই গাড়িতে আগুন দিয়ে দেয়, ভাঙ্গচুর করে। তারা হরতাল, অবরোধ করে না যেন সাধারণ মানুষের পেটে লাথি মারে। নিত্যপণ্যেও বাজারে এখন যাওয়াই যায় না। সব কিছুর দাম আগুনের মতো।
একটা দিন গাড়ি নিয়ে বের না হলে সংসার চালাতে কষ্ট হয়ে যায়। অন্যদিকে হরতাল বা অবরোধ কোনোটাতেই মাহাজনরা গাড়ি দিতে চায় না। কিন্তু দিন শেষে আমাদের ৪০০ টাকা করে গাড়ি ভাড়া মাহাজনদের ঠিকই দিতে হয়।
একই বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ফুটপাতের হকার যুগের চিন্তাকে জানান, তিন দিনের অবরোধে মানুষ এখন আতঙ্কে আছে। তাই মানুষও ভয়ে রাস্তাঘাটে বের হয়না। গাড়ি চলাচলও সীমিত একারণে মালামালও আনতে পারি নাই, বিক্রিও হয় নাই। এ সপ্তাহে কি দিয়া বাজার করমু এই চিন্তাতেই আছি। দিন এনে দিন খাই তাও যদি তারা এমন করে আমরা কই যামু।
এ বিষয়ে মাকেটিং সেলস ম্যান বলেন, এই তিনদিন একটু ভয়ে ছিলাম। পরিবার বের হতে দিতে নারাজ। কিন্তু কোম্পানি তো এগুলো শুনে না। তাদের কথা যেভাবেই হোক কাজ সম্পূর্ণ চাই। তাই সাহস করে একটু বেলা করে বের হয়েছি। এছাড়া দেখলাম প্রতিটি রাস্তার মোড়ে মোড়ে পুলিশ দাড়ানো। পুলিশকে দেখে মনে আরো বল পেলাম।