বৃহস্পতিবার   ২১ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১   ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে মোটা চালের দাম

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৮:১৭ পিএম, ১৫ নভেম্বর ২০২৩ বুধবার

 

ফের বাড়লো মোটা চালের দাম। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই বাজারে একটু একটু করে বাড়তে থাকা মোটা চালের দাম মাসের ব্যবধানে কেজি প্রতি ৫ টাকা দরে বেড়েছে। মোটা চাল ছাড়াও বাজারের অন্যান্য জাতের চালের দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ২-৩ টাকা করে। ব্যবসায়ীদের মতে মৌসুম শেষ হওয়ায় নতুন চাল সরবরাহ শুরু হয়নি বলেই চালের সংকট বেড়েছে যার কারণে বাজারে চালের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে।

 

অন্যদিকে সারা দেশে চলমান অবরোধের কারেণ বাজারে চাল সরবরাহ কমেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। যার ফলে বাজারের চালের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। পর্যাপ্ত পরিমান চাল মজুদ থাকার পরেও ব্যবসায়ীরা চালের সংকট দেখিয়ে দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।

 

বাজারে চাল ছাড়াও দিনে দিনে নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্য, কাঁচা বাজারের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় ভোগান্তিতে আছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষ। এর মধ্যে চালের দাম মাসের ব্যবধানে বাড়তে থাকায় রীতিমতো হতাশায় পড়ছেন এসব খেটে খাওয়া মানুষ জন। যারা দিনমজুরী করে সংসার চালান তাদের চাল কেনার বাড়তি টাকা যোগাড়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে নিত্যদিন।

 

গতকাল শহরের পাইকারি চালের বাজার নিতাইগঞ্জ ঘুরে দেখা যায়, মোটা চালের মধ্যে স্বর্না চাল বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৫৫-৫৬ টাকা যা মাস খানেক আগেও বিক্রি করা হয়েছে ৫০ থেকে ৫২ টাকা দরে। বস্তা (৫০কেজি) প্রতি বিক্রি করা হচ্ছে ২৩০০ থেকে ২৩৫০ টাকা করে যা ২০ থেকে ২৫ দিন আগের তুলোনায় ২০০ থেকে ২৫০ টাকা বাড়তি।

 

ব্রি-আটাশ চালের দাম কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৫৮ টাকা করে যা গত মাসেও বিক্রিকরা হয়েছে ২ থেকে ৩ টাকা কমে। মিনিকেট চালের দাম কেজি প্রতি ২ থেকে ৩ টাকা বেড়ে বিক্রি করা হচ্ছে ৬৮ থেকে ৭২ টাকা দরে যা গত মাসেও ছিল ৬৬ থেকে ৭০ টাকার মধ্যে।

 

চালের খুচরা ব্যবসায়ী মালেক জানায়, চালের বাজারে কিছু দিন পর পরই দাম উঠা নামা করছে। তবে মাস খানেক ধরে চালের দাম বাড়তির দিকে। আমরা পাইকারি বাজার থেকে যে দরে কিনে আনি সেই দরেই বিক্রি করি এখন আমাদের যদি পাইকরি বাজার থেকে বাড়তি দামে চাল কিনে আনতে হয় তাহলে আমরা কম দামে কীভাবে বিক্রি করবো।

 

নিতাইগঞ্জে চাল ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ২০ থেকে ২৫ দিন আগেও চালের দাম বস্তা প্রতি অনেক ছিল। মিলে ধান না থাকার কারণে আমাদের চাহিদা মতো চাল সরবরাহ করতে পারছেন না মিল মালিকরা। যার কারণে চালের দামটা বেড়েছে। কিছু দিন পর নতুন ধান উঠলে চালের দাম কমবে বলে আশা করা যায়। আবার বর্তমানে চলা অবরোধের কারণেও চালের সরবরাহ কমেছে।অবরোধের ভয়ে  রাস্তায় চালের গাড়ি ছাড়ছেন না মিল মালিকরা। এর কারণে চালের সংকট দেখা যাচ্ছে বলে ধারণা করা যায়। এস.এ/জেসি