নুরুল ইসলাম স্মৃতি পাঠাগারে নবান্ন উৎসব পালন
শ্রাবণী আক্তার
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ০৯:৩২ পিএম, ২৬ নভেম্বর ২০২৩ রোববার
বাংলার ষড়ঋতুর একটি উল্লেখযোগ্য ঋতু হেমন্ত। হেমন্ত ঋতুর রয়েছে অনন্য কিছু বৈশিষ্ট্য। সকালে শিশির ভেজা ঘাস আর হালকা কুয়াশায় প্রকৃতিতে বেজে ওঠে শীতের আগমনী বার্তা। মাঠের পাঁকা সোনালী ধান আর কৃষকের নবান্নের হাঁক-ডাক। সব মিলিয়ে হেমন্ত ঋতুর সাথে জড়িয়ে আছে বাঙালির ঐতিহ্যের এক দারুন অনুভূতি। এ সময় গ্রাম বাংলায় পিঠাপুলি খাওয়ার ধুম পড়ে যায়। হেমন্তকে কেন্দ্র করে নুরুল ইসলাম স্মৃতি পাঠাগার প্রঙ্গণে নবান্ন উৎসবের আয়োজন করা হয়।
গতকাল (২৫ নভেম্বর) শনিবার বিকেল ৪টায় তল্লা আজমেরীবাগ এলাকাস্থ নুরুল ইসলাম স্মৃতি পাঠাগার প্রঙ্গণে নবান্ন উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
নবান্ন উৎসবে নুরুল ইসলাম স্মৃতি পাঠাগারের সভাপতি মর্তুজা শরিফুল ইসলাম বক্তব্যে বলেন, হেমন্তে গ্রাম বাংলায় পিঠাপুলি খাওয়ার ধুম পড়ে গেলেও বর্তমানে শহরে ঘরে ঘরে পিঠা বানানোর আমেজটা আর আগের মতো নেই। আগে দেখতাম শহরেও ঘরে ঘরে পিঠা তৈরি করা হতো তবে এখন শহরের রাস্তায় তৈরি পিঠা সবাই কিনে খায়। আগের দিনের মতো ঘরে বানানো পিঠার স্বাদ এই পিঠায় নেই।তিনি আরও বলেন, আগামী প্রজন্মের শিশুরা বইয়ে এসব উৎসব সম্পর্কে পড়লেও এই আনন্দ উপভোগ করতে পারে না। তাই আমাদের উচিত সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে আগামী প্রজন্মের কাছে বাংলার সংস্কৃতিকে তুলে ধরা।
অনুষ্ঠানে পাঠাগারের সদস্যগণ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপস্থাপন করে। কবিতা আবৃত্তি, নাচ, গান, পিঠা উৎসব সহ নানা আয়েজনে উপভোগ্য ছিলো বিকেলটি।
উক্ত অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অতিরিক্ত কর কমিশনার মর্তুজা শরিফুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সরকারি তোলারাম কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডঃ রওনক জাহান, সরকারি তোলারাম কলেজের সহকারী অধ্যাপক স্বরাজ চক্রবর্তী, সহকারী অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম, গলাচিপা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অজিৎ কুমার দাস, পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, আন্তর্জতিক ফিদে আরবিটর মোহাম্মদ শামীম, পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক মাহাথির প্রথম এবং গ্রন্থাগারিক মেহেরাব হোসেন রাতুল প্রমুখ। এস.এ/জেসি