রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১   ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অসময়ের বৃষ্টিতে নগর জীবনে স্থবিরতা

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৮:৪৫ পিএম, ৮ ডিসেম্বর ২০২৩ শুক্রবার


বুধবার (৬ ডিসেম্বর) রাত ২টা থেকে ৭ ডিসেম্বর দিনভর হালকা বৃষ্টি ছিল নগরীতে। এমনকি শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুর পর্যন্ত বৃষ্টি থাকতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে আরো জানানো হয়, দিনভর এই বৃষ্টির পর কমবে তাপমাত্রা এবং শীত বাড়বে।
 

 


চলমান এই বৃষ্টিপাতের কারণে প্রধান সড়কগুলো ব্যস্থতা থাকলেও নগীরর অলিগলি ছিল প্রায় শূন্য। বিপাকে পরেছে কর্মজীবি মানুষেরা। দিনভর  থেমে থেমে এই বৃষ্টিতে খানিকটা বাধাগ্রস্থ হয় তাদের গন্তব্যপথ। তবে বাধা উপেক্ষা করেই জীবিকার টানে কর্মস্থলে উপস্থিত হচ্ছেন তারা। বৃষ্টির কারনে যাতায়াত ভাড়াও বেশি হাকাচ্ছেন গণপরিবাহনগুলো। বিভিন্ন বাস টার্মিনালে ছাতা হাতে দাড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে যাত্রিদের।
 

 


নগরীর অলিগলিগুলোতে খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে রাস্তায় দেখা যায়নি। বিভিন্ন জায়গায় সড়কে দেখা দিয়েছে জলজট।  নিত্যপণ্য ক্রয়েও ব্যঘাত ঘটেছে নগরবাসীর। বৃষ্টির কারণে প্রধান সড়কের দু-পাশে বসা হকাররাও গুটিয়ে নিয়েছে তাদের পসড়া। তবে কয়েকজন হকার ছাতা মাথায় দিয়েও চালিয়ে যাচ্ছেন পন্য বিক্রীর প্রচেষ্ঠা।

 

 

আগে বছর শেষের এই সময়গুলোতে শীত থাকলেও এতোদিন জণসাধারনরে মাঝে শীতের প্রকোপ চোখে পরেনি। কিন্তু দিনভর এই বৃষ্টি আর শীতল দমকা বাতাসের কারনে প্রভাব পরেছে নগরীর জণসাধারনরে পোশাকেও।

 


এ বিষয়ে রহমান নামে এক রিক্সা চালক বলেন, আমরা গরীব মানুষ। একদিন রিক্সা না চালাইলে পেটে খাওন জুটবো না। পাঁচ সদস্যের সংসার আমার। একদিন ঘরে বইসা থাকলে আমাগো কেউ আইসা খাওন দিয়া যাইবো না। সকাল থেকেই ঝিরঝির বৃষ্টি পরতাছে। একটু ভিজলেই শীত শীত লাগে। এভাবে রিকশা চালাতে কষ্ট হয় কিন্তু কি আর করার সংসার চালাইতে অইলে কাম তো করাই লাগবো।

 


এমনই একজন এলাকায় ঘুরে ভ্যানে করে সবজি বিক্রেতা সবুজ মিয়া বলেন, সপ্তাহ ঘুরলেই মাথায় কিস্তির টাকার চাপ তাই ঘরে না থেকে বৃষ্টিকে পরোয়া না করে বিক্রি করতে বের হলাম। বৃষ্টির দিনে বেচাকেনা খুবই কম। মনেহয় না টাকা জোগাড় করতে পারবো।

 


একই বিষয়ে বেসরকারি অফিসের কাজ করা ডলি নামে এক ব্যক্তি বলেন, বৃষ্টি হোক বা ঘূর্ণিঝড় আমাদের তো ছুটি নাই। বরং একদিন অফিসে না আসলে বেতন থেকে টাকা কেটে নেয়। এমনিতে বেতন পাই সামান্য, তারপর বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেড়েছে এরমধ্যে যদি টাকা কেটে রাখে তাহলে তো সংসার চালানো কষ্ট হয়ে পরবে। সকালে ভিজে ভিজে অফিসে আসছি এখন বাসারও ভিজেই যেতে হবে।