রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১   ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কাশিপুরে রাস্তা এখন ড্রেনের নোংরা পানির নিচে

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৩:৫৬ পিএম, ৯ ডিসেম্বর ২০২৩ শনিবার


ফতুল্লার কাশিপুর ইউনিয়নের রাস্তার বেহাল দশা। কাশিপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়াডের হাটখোলা মোড় থেকে কুমুদিনি পাওযার হাউজ পযর্ন্ত এলাকার রাস্তা চলাচল করার অযোগ্য বলা যায়। ড্রেনে বালু ও প্লাস্টিক জাতীয় ময়লা আটকে যাওয়ার ফলে বাসা বাড়ির ময়লা পানি জমে মূল রাস্তার উপর।

 

 

এর ফলে সুষ্ক মৌসুমেও এলাকা বাসির ময়লা পানির মধ্যে চলাচল করতে হয় এবং নানা রকম ভোগান্তিতে পরতে হচ্ছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। তাছাড়া এই পানির কারণে নানা ধরনের স্বাস্থ্য ঝুকিতে পড়তে হচ্ছে বাচ্চাদের সহ নানা বয়সের মানুষের। এবিষয় সংস্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বছরের পর বছর কোনো ব্যবস্থা নেয় না বলে জানান এলাকার ভুক্তভোগিরা।

 

 

তাদের অভিযোগ, প্রতি বছর এই রাস্তায় ড্রেন আটকে ময়লা জমে থাকে পরে ড্রেনের ময়লা পনি উপরে উঠে এসে রাস্তায় জমে পানি হাটু সমান হয়ে যায়।

 

 

পানি যাওয়ার কোনো রাস্তার না থাকায় সপ্তাহর পর সপ্তাহ এই পানি পাড়াতে হয় তাই এলাকার সবাই মিলে প্রতি বছর  চাঁদা  তুলে এই পানি নিষ্কাষনের ব্যবস্থা করে থাকেন, এবিষয় এলাকার মেম্বর কোনো ব্যবস্থা নেয়। তাছাড়া রাস্তায় অনেক খানা খন্দ থাকার কারণে গাড়ি চলাচলেও অনেক সমস্যা হয় বলে জানান ভুক্তভোগিরা।

 


বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় মানুষের চলাচল করতে খুবই সমস্যা হচ্ছে। ড্রেনের ভিতরে বালু ও ময়লা জমে থাকায় রাস্তায় পানি জমে আছে। ড্রেনে ময়লা পানি রাস্তার উপরে জমে আছে প্রায় সপ্তাহ খানেকের বেশি সময়।

 

 

ফলে স্কুল থেকে ছাত্র ছাত্রীরা যাতায়াত করতে অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। বৃষ্টির মৌসুম ছাড়াও রাস্তায় পানি জমে আছে। এছাড়াও রাস্তা সরু হওয়ায় গাড়ি চলচলের সময় ময়লা পানি মানুষের চলাচলে বাধা সৃষ্টি করছে।

 


 এবিষয় আফজাল হোসেন নামের স্থানীয় একজন বাসিন্দা বলেন, ড্রেনে বালু ডুকে জ্যাম হয়ে পানি যাওয়ার রাস্তা না থাকায় সড়কে পানি জমে গেছে। ছয় মাস পর পর রাস্তায় পানি জমে যায়। এলাকার মেম্বার, চেয়ারম্যান দেইখাও কিছু করে না। না দেখার মতো থাকে।

 

 

অনার যদি সড়ক ঠিক করাতে সমস্যা থাকে তাহলে এলাকার মানুষের থেকে টাকা তুলে তারপর না হয় ঠিক করাক। কিন্তু এরকম আর কতো দিন। কিছুদিন আগেও এখানে পানি জমে ছিলো মেম্বারকে বলার পর তিনি কোনো ব্যবস্থা গ্রহন করে নাই।

 


একই বিষয় অপর ব্যক্তি বলেন, আমরা তো মানুষ এই রাস্তা দিয়ে তো মানুষ এই চলাচল করে পশুপাখি তো আর না যে পচা-নোংরা পানি পাড়াইলে কোনো সমস্যা হবে না। পরে না পারতে যারা এখানে থাকে তারা টাকা তুলে রাস্তা থেকে পানি সরাইছে।

 

 

এছাড়া এটা এমন একটা রাস্তা কোনো ড্রেনের ব্যবস্থা নাই। পাইপ দিয়ে দিছে কিন্তু তারা এটা বুঝে না পাইপ আর কতো দিন। পাইপের মুখে বালু ভর্তি হইয়া গেলেই রাস্তায় পানি জমে যায়।    

 


কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৪ং ওয়ার্ড মেম্বর মেজবাউর রহমান পলাশ বলেন, প্রতি বছর এই ড্রেনটা ৫০ থেকে ৮০ হাজার টাকা দিয়ে সংস্কার করানো হয় কিন্তু ড্রেন যে করে দিবো তার কোনো ব্যবস্থাও নেই কারন রাস্তাটা সরু এই রাস্তাটা এলজিএইডির আমরা যে একটা কোপ দিবো তাও কোনো উপায় নাই। কয়েকদিন পর পর যে রাস্তাটা পরিষ্কার করাই এইটাই তো কোনো নিয়ম নাই।

 

 

তারপরও জনগনের স্বার্থে আমি কাজ করি। এলাকাবাসীর দাবি যে তারা নিজেদেও অর্থায়নে রাস্তার পানি পরিষ্কার করে এ কথার সত্যতা কতোটুকু এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা কোনো কথা। আমার এলাকা  যদি আমি কাজ না করি তাহলে কেমনে হইবো। এটা ঠিক যে তারা আমাকে সাহায্য করে। রাস্তার পানি যদি ৪ বার পরিষ্কার করোই এর মধ্যে এলাকা বাসী আমাকে দুবার সাহায্য করে আর দুবার আমি নিজে পরিষ্কার করাই।