1. প্রচ্ছদ
2. নগরের বাইরে

হাত বাড়ালেই মাদক মিলছে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড়ে। মাদকের ভয়াল থাবায় ভাসছে ওই এলাকার অলিগলি। মাঝে মাঝে প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা ধরপাকড় করলেও মাদক ব্যবসায়ীরা ফের এলাকায় এসে পূর্বের রুপ ধারণ করছেন। শুধু মাদক বিক্রিই নয় এই চক্রটি মানুষকে ব্ল্যাকমেইলিং করছেন সর্বশান্ত। এছাড়াও মাদকের সাথে এখন নতুন য্ক্তু করেছেন ব্ল্যাকমেইলিং।

 

 

দিনের পর দিন ব্ল্যাকমেইলিং ও মাদকের সয়লাবে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। এলাকাবাসীর সাথে কথা  বলে জানাগেছে, সানারপাড় বাইতুন নূর মসজিদের পিছনের গলিতে মৃত সাত্তার কাজীর ভাড়া বাসায় থাকেন মৃত নেওয়াজ আলীর ছেলে আলমগীর হোসেন ও তার স্ত্রী শাহিনূর আক্তার।

 

 

এই দম্প্রত্তির বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ ও ডেমরা থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। মাঝে মাঝে প্রশাসন গ্রেফতার করলেও জেল থেকে ছাড়া পেয়ে আবারো ফিরে যায় আগের রুপে। এই চক্রের ব্ল্যাকমেইলিং এর শিকার হন ওই এলাকার সামসুদ্দিন সামসু, সেলিনা আক্তারসহ আরো বেশ কয়েকজন।  

 

ভুক্তভোগী সামসুদ্দিন সামসু জানান, বিএনপি ও জামায়াতের সক্রিয়কর্মী আলমগীর হোসেন ও তার স্ত্রী শাহিনূর আক্তার মাদক ব্যবসার পাশাপাশি ব্ল্যাকমেইলিং করে। এই চক্রটি আমাকে ফাঁদে ফেলে নি:স্ব করে ফেলেছেন। অবিলম্বে আলমগীর ও তার স্ত্রী শাহিনূর আক্তারদের শেল্টারদাতাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।  

 

ভুক্তভোগী সেলিনা আক্তার জানান, আমার স্বামীকে ব্ল্যাকমেইলিং করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয় শাহিনূর আক্তার। এই চক্রটির থেকে বাঁচার জন্য বিচার শালিশী করেও তাদের হাত থেকে রক্ষা পাই নি। আল্লাহ তায়ালার কাছে বিচার দিয়েছি।  

 

আলী মিয়া নামে এক ব্যক্তি জানান, আমার ছেলের জীবন নষ্ট করে দিয়েছে মাদক সম্রাজ্ঞী শাহিনূর আক্তার। আমি এর ন্যায় বিচায় চাই। তাদের গ্রেফতার করে সানারপাড়বাসীকে মাদক ও ব্ল্যাকমেইলিং থেকে বাঁচতে  

 

নারায়ণঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল জানান, আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে বিএনপি জামায়াতের জ¦ালাও পোড়াও নাশকতার একাধিক মামলা রয়েছে। এছাড়া সে ও তার স্ত্রী শাহিনুর আক্তার এলাকায় চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। তাদের বিরুদ্ধে শিগ্রই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

 

র‌্যাব-১১ এর অধিনায়ক লে:কর্ণেল তানভীর মাহমুদ পাশা জানান, জামায়াত শিবির ও বিএনপি এবং মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে কখনো আপোশ করা যাবে না। তাদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি প্রদান করা হবে।