বৃহস্পতিবার   ২১ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১   ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কুতুবপুরে আওয়ামীগ নেতা মাখনের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী হামলায় ১৫ জন আহত

ফতুল্লা প্রতিনিধি

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৩:৩৭ পিএম, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩ শনিবার


ফতুল্লায় বাড়ীতে ডেকে নিয়ে স্থানীয় এক শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মালিকসহ শ্রমিকদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের অর্থ-বিষয়ক সম্পাদক মাখন চন্দ্র সরকারসহ তার সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে। ১৫ ডিসেম্বর (বুধবার) ফতুল্লার কুতুবপুর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় সন্ত্রাসীদের হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে এলোপাতারীভাবে পিটিয়ে গার্মেন্টম মালিকসহ ১৫ জন শ্রমিককে আহত করেন।

 


আহতরা হলো গার্মেন্ট মালিক ফাইজুল আল মুহিন, আজাহার, হায়াত, আতাউর, ফুয়াদ, রবিন এবং ইমরানসহ ১৫ জন। আহতদের মধ্যে কয়েক জনকে নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালসহ পাশ্ববর্তী স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে এবং গুরুতর আহত দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।

 


কুতুবপুর রঘুনাথপুর এলাকায় অবস্থিত বিলিবাস লাইন নামক গার্মেন্ট মালিক ফাইজুল আল মুহিন বলেন, প্রতিদিনের মতই তাদের প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা কাজ করছিল। জুম্মার নামাজ আদায় করার জন্য ফ্যাক্টরী তালাবদ্ধ করে তিনিসহ শ্রমিকরা স্থানীয় মসজিদে নামাজ আদায় করতে যান। নামাজ শেষে পুনরায় ফ্যাক্টরীতে আসলে শ্রমিকরা সিসি টিভিতে দেখতে পায় যে দুই চোর ফ্যাক্টরীর ভিতরে প্রবেশ করে মালামাল চুরি করছে।

 


এক পর্যায়ে চুরি করার সময় চোরদের হাতে নাতে আটক করে পুলিশে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

 


ঠিক এমন সময়তেই স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা মাখন চন্দ্র সরকার চোরদের পক্ষ হয়ে ফ্যাক্টরীতে ছুটে আসেন এবং সুষ্টু বিচারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে চোরদের তার সাথে নিয়ে যান। সে সাথে সন্ধ্যার সময় এঘটনার বিষয়ে বিচার সালিসীর মাধ্যমে চোরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে বলে তার বাড়ীতে যেতে বলেন।

 

 

পরবর্তীতে তিনিসহ প্রতিষ্ঠানের কিছু শ্রমিক আওয়ামীলীগ নেতা মাখন চন্দ্র সরকারের বাড়ীতে যাওয়ার সাথে সাথেই বাড়ীর ভিতর থেকে গেইট বন্ধ করে দেন এবং মাখন সরকারের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী তাদের হাতে থাকা লোহার রড, স্ট্যাম্প, পাইপ দিয়ে এলো পাতারী হামলা চালায়। হামলায় তিনিসহ প্রতিষ্ঠানের সাধারন শ্রমিকরা গুরুতর হত হন। এঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করবেন বলে তিনি জানান।

 


এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মাখন চন্দ্র সরকারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, একটি বিষয়ে তার বাড়ীতেই বিচার সালিসীর আয়োজন করা হয়। সালিসী বৈঠকেই গার্মেট মালিকসহ তার লোকজম হট্টগোল শুরু করলে সালিসী শেষ না করেই বাড়ী থেকে বের করে দেই।

 


এবিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার নূরে আযম মিয়া বলেন, এঘটনায় আমরা কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।