আবারও সবকিছুর দাম বাইড়া গেছে’
নুরুন্নাহার নিরু
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ০৯:৩১ পিএম, ২১ ডিসেম্বর ২০২৩ বৃহস্পতিবার
আবারও বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। অধিকাংশ সবজির দাম বর্তমানে ৫০ থেকে ৮০ টাকার ঘরে। হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়া পেয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সারাদেশে ভোক্তা অভিযানের পরেও এখনও বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে সেটি। বিক্রেতারা দেশি পেয়াজ বিক্রি করছে প্রতি কেজি ১২০-১৩০ টাকা এবং আমদানি পেয়াজ ৯০ থেকে ১১০ টাকা। অন্যদিকে মসলা জাতীয় রসুনের দামও বেড়েছে। প্রতি কেজি রসুনে ২০ থেকে ৪০ টাকা বেড়েছে।
বাজারে দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২৮০ টাকা দরে এবং আমদানি করা রসুন প্রতি কেজি ২৪০ টাকা করে। দাম বৃদ্ধি আগে দেশি রসুন ছিলো ২৪০ টাকা আর আমদানি করা রসুন ছিলো ২০০ থেকে ২২০ টাকা। সবজির বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক পিস ফুলকপি ৬০ টাকা ও বাধা কপি ৫০ টাকা। বেগুন, পেপে এবং মুলা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা দরে। কাচাঁ টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা দরে ও পাকা টমেটো প্রতি কেজি ৮০ টাকা দরে।
শীতকালীন সবজির দামই প্রায় চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সিম প্রতি কেজি ৮০ টাকা দরে। শালগম ৭০-৮০ টাকা দরে। এছাড়া সবজির মধ্যে সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে মটরশুটি। যা প্রতি কেজি ২০০ টাকা দওে বিক্রি হচ্ছে। শাকের বাজার ঘুরে দেখা যায়, লাল শাক ও মুলা শাক ৪০ টাকা কেজি, পালং শাক ও পুইঁ শাক ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি, ডাটা শাক ৫০ টাকা এবং লাউ শাক ১ আটিঁ ৪০ টাকা।
বাজারের আসা এক দিনমজুরের সাথে বাজরের হালচাল জানতে চাইলে তিনি বলেন, গরিবের কপাল থেকে অনেক আগেই মাছ, মাংস নাই হইয়া গেছে। এখন মানুষ একটু সবজি দিয়া ভাত খাইয়া জীবন চালায় তার ও কোনো উপায় থাকবো না সামনের দিনে। দিনে যা কামাই করি তা নিয়া বাজারে পাও রাকলেই সব শেষ হইয়া যায়, কিন্তু যা কামাই করি তা দিয়া আমার দিনের খাবার টুকু ও যোগার হয় না । এমনে চলতে থাকলে আমাগো মতো মানুষ কেমনে বাচবো, কন?
পাইকারি দিগুবাবুর বাজারে বাজার করতে আসা ফরিদা বেগম নামে এক গৃহিনী বলেন, আবারও সবকিছুও দাম বাইরা গেছে। কয়েকদিন একটু কম ছিলো। তাতে একটু শান্তি পাইছিলাম। ভাবছিলাম আস্তে আস্তে কইমা যাইবো কিন্তু বাজারে আইসা দেহি বাইরা গেছে। এলাকায় দাম বেশি বইলা কষ্ট কইরা এই বাজারে আইছি। কিন্তু তা ও কোনো লাভ হইলো না। আমার রুজি মতো আমি এই দামি বাাজরে শুধু পেঁপে কিনতে পারছি। এছাড়া শাক খাইয়া মানুষ যে বাচবো তারও কোনো উপায় নাই। ৬০ টাকার নিচে কোনো শাক নাই।