শৈত্যপ্রবাহে ভোগান্তিতে খেটে খাওয়া মানুষ
মেহেরীন জারা
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ০২:০৩ পিএম, ১২ জানুয়ারি ২০২৪ শুক্রবার
পৌষ শেষ হয়ে মাঘ মাসের আগমনে নগরীতে জেঁকে বসতে শুরু করছে শীত। প্রতিদিনিই শীতের অনুভুতি একটু একটু করে বাড়ছে। শীতের এই আদ্রতা বাড়তে থাকার পাশাপাশি নগরীর বেশিরভাগ এলাকাই এখন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে। ভোর দুপুরে শীতের তাপমাত্রা তেমন না বুঝা গেলেও রাত বাড়ার সাথে সাথে এর তিব্রতা বাড়তে শুরু করে। আবহাওয়া অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জে গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে স্বচ্ছল পরিবারে শীতকাল সংগতিপূর্ন ও আনন্দ বার্তা হলেও দেশের বেশিরভাগ জনসাধারণ এর কাছে বেদনাদায়ক, কষ্ট বাড়ছে নিম্ন আয়ের মানুষের। গত ডিসেম্বরে শীতের প্রভাব তেমন না পড়লেও এবার জানুয়ারির মাঝদিকে শৈত্যপ্রবাহের আমেজ পাওয়া যাচ্ছে। বিকেল হওয়ার পর পরই পরতে শুরু করে কুয়াশার আবছা হাওয়া। পরদিন সকাল ১০ টা পর্যন্ত কুয়াশায় ঢেকে থাকে নগরীর এলাকাগুলো।
নারায়ণগঞ্জের বেশ কিছু জায়গায় দেখা যায়, কুয়াশার কারনে সড়ক ও নৌপথে চলাচলে দুরের জিনিস কম দেখা যাচ্ছে। এতে করে যান চলাচলে সমস্যা হচ্ছে, বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষদের জনজীবনে তার প্রভাব পড়ছে।
ভোরের কুয়াশা ভরা সকালে কাপতে কাপতে রিকাশা নিয়ে বের হয়েছেন রফিক নামে এক রিকশাচালক। অতৎপর তার সাথে কথা বললে তিনি বলেন, কুয়াশার জন্য রাস্তা দেখা যায় না।
গরমের কাপড় তো পরছি-ঐ তার ভিতরে আরো একটা পরছি তাও শীত লাগতাছে। এছাড়া ব্যাটারি চালিত রিকশা তো সুইচ দিলেই বাতাসের বেগে চলে এ কারনে ঠান্ডাটা আরো বেশি লাগে। আবার বেলা কইরা যে বের হমু তারও কোনো উপায় নাই। সবসময় ভোরে উইঠা রিকশা নিয়া বের হওয়ার স্বভাব। তাই ঘুমও ভাইঙ্গা যায়।
একই বিষয়ে কথা হয় গৃহকর্মী হালিমার সঙ্গে। তিনি বলেন, এখন বাজে সকাল ৭ টা। তাও কুয়াশার কারনে আর বাতাসের কারনে ঠান্ডা লাগতাছে। গরমের কাপড় পড়ে বের হইছি ম্যাডাম গো বাসায় কাম করাতে যাওয়ার লাইগা। বাসায় আবার ঠান্ডায় কষ্ট পাইতাছে ছোট মেয়ে আর শাশুড়ি। থাকি টিনের রুমে ঘড়গুলো বরফের মতো ঠান্ডা হইয়া আছে।
তার উপরে কোনো জায়গায় গ্যাস নাই। রান্না করার জন্য সেই ভোর ৫টায় উঠতে হয়। তার সকাল বেলা এই ঠান্ডার মধ্যে যাউতে হয় মাইনসের বাসার কাজে। কী যে অবস্থায় আছি আমার মতো যারা গরিব আছে শুধু তারাই বুঝবো।