বেড়েই চলেছে নিত্যপণ্যের দাম
যুগের চিন্তা রিপোর্ট
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ০৭:১৯ পিএম, ২৬ জানুয়ারি ২০২৪ শুক্রবার
শীতকালীন ভরা মৌসুমে বেড়েই চলেছে সবজির দাম। পাশাপাশি তার সাথে তালে তাল মিলিয়ে বেড়েই চলেছে অন্যান্য সকল নিত্যপণ্যের দাম। নির্বাচনের পর থেকে খাদ্যপণ্যের দাম ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। মাছ মাংসের বাজারে তো লেগেই আছে আগুন তার সাথে আটা, চিনি, ডিম, মসলাসহ বেশির ভাগ খাদ্যপণ্যের দাম বাড়তি। বাজারের এমন অস্বাভাবিক দামে পরিবারের খরচ বহন করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষের।
বাজার ঘুরে জানা যায়, কয়েকদিনে ব্যবধানে বেড়েছে রসুনের দামও। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা দরে। পাশাপাশি আদা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৪০ টাকা দরে। ভরা মৌসুমে কমছে না সবজির দামও। প্রতি পাল্লা আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাতা দরে। চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৫০টাকা দরে। যা আগে ছিলো ১৪৫ টাকা। মাংসের বাজারে ফের দাম বেড়ে গরুর গোস্তের।
প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০-৭৫০ টাকা দরে। খাসির গোস্ত বিক্রি হচ্ছে ১২শো থেকে সাড়ে ১২শো টাকা দরে। বয়লার মুরগির প্রতি কেজি ১৯০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। দেশী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা দরে। অন্যদিকে স্বস্তি নেই ডিমের বাজারেও প্রতি ডজন ফার্মের লাল ডিম ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সাদা ডিমের ডজন ১৪০ টাকা আর হাসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা দরে।
গত ২ সপ্তাহ ধরে সব ধরনের ডালের দামে ১০-১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এদিকে মুগডালের প্রতি কেজি ৩০-৩৫ টাকা পর্যন্ত বেড়ে ১৮০-১৮৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যা আগে ছিলো ১৪০-১৫০ টাকা। খেসারি ডাল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১১০-১২০ টাকা, যা আগে ছিলো ৯০ থেকে ১০০ টাকা।
প্রতি কেজি ছোলার ডাল বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা। দেশীয় সরু মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৬০ টাকা দরে। অন্যদিকে অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে চলেছে মসলার দাম। মানভেদে প্রতি কেজি এলাচি বিক্রি হচ্ছে ২৮শো থেকে ২৯শো টাকা। দারুচিনি ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা দরে।
এ নিয়ে গৃহিনী নাজমা বেগম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বাজারে এসে হাত মাথায় উঠে গেছে। টাকা যা নিয়ে এসেছি তা তো খরচ হয়েছেই কিন্তু যা যা কিনবো বলে ভেবে এসেছি তা সম্পূর্ণ কিনা হয়নি। ছোট মেয়েটা গুরু মাংস খেতে চেয়েছে বলে ভেবেছি ১ কেজি গরুর গোস্ত কিনে নিয়ে যাবো। মাংসের দোকানের সামনে এসে দাম জিজ্ঞাসা করাতে বলে ৭৫০ টাকা কেজি।
আমি আবার তাকে বলি ভাই দাম না ৬৫০ টাকা ছিলো আবার বেড়ে গেছে কেন। তিনি আমাকে বলে এখন কি আপনি ইলেকশন পাইছেন হ্যা। নির্বাচনের সময় একটু কমাইয়া রাখছি এখন কি আমাদের লাভ করতে হবে না। নাকি আমরা না খেয়ে মরবো।