সরস্বতী পূজার প্রতিমা বানাতে ব্যস্ত কারিগররা
যুগের চিন্তা রিপোর্ট
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ০৫:৫৭ পিএম, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ শনিবার
প্রতিবছরের মতো এবারো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সরস্বতী পুজো। মূলত মাঘ মাসের শুল্কা পঞ্চমি তিথিতে এ পুজোর আয়োজন করা হয়। তাই দেবির আশির্বাদ লাভের আশায় হিন্দুধর্মালম্বিরা বিদ্যাদেবী সরস্বতিকে বরন করে নেওয়ার জন্য পুজোর পুর্বপ্রস্তুতির আয়োজন শুরু করে দিয়েছেন। এ পুজোয় ধর্মপ্রান হিন্দু পরিবারে শিশুদের হাতেখরি ও ব্রাহ্মণভোজন প্রথাও প্রচলিত রয়েছে। এ বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সরস্বতী পুজো।
ইতোমধ্যে পুজোকে কেন্দ্র করে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে মৃৎশিল্প কারীগররা। গতকাল সকালে নগরীর নিতাইগঞ্জ শ্রী শ্রী বলদেব জিউর আখরা, দেওভোগ লক্ষীনারায়ণ আখরা আমলাপাড়া কালিবাজারসহ বিভিন্ন এলাকার মন্দিরগুলো ঘুরে দেখা যায়, মন্দিরের ভিতরে মৃৎশিল্পিদের শৈল্পিক ছোঁয়ায় খড়,মাটি ও পানি দিয়ে গড়ে উঠেছে প্রতিমা তৈরির কাঠামো ।
কোথাও চলছে কাঠামো তেরির কাজ আবার কোথাও মাটির কাজ, আর এই প্রতিমা গড়ার কাজে দম ফেলবার ফুসরত পাচ্ছেন না কারিগররা। প্রতিমাগুলো তৈরি করতে সাধারণত এটেল ও বেলে মাটির ব্যবহার করে থাকেন মৃৎশিল্পরা এবং এ মাটিগুলো তারা সংগ্রহ করে থাকেন বিভিন্ন চাষাবাদ করা ফসল থেকে।
নগরীর দেওভোগ এলাকার লক্ষীনারায়ণ জিউর আখরা মন্দিরে প্রতিমা তৈরি করতে ব্যস্ত কারিগর কৃষ্ণ ভট্টাচার্য ৩৫ বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছেন মৃৎশিল্পের। তিনি যুগের চিন্তাকে বলেন, এবার পুজোতে প্রতিমা তৈরিতে প্রচুর চাপ এবং ভীষণ ব্যস্ততার মধ্যে কাটাতে হচ্ছে আমাদের, এখন রাতের ঘুমও হারাম এই কাজের চাপে।
এই মুর্তিগুলো বানানো শেষ হয়ে গেলেই আমরা ১ সপ্তাহ পর রঙ দেওয়া শুরু করবো। আর এখন যে ঝির ঝির বৃষ্টি হচ্ছে তা নিয়ে একটু চিন্তার বিষয়, প্রতিমাগুলো যদি ভিজে তাহলে রঙ দিতে কিছুটা সময় লাগবে। কিন্তু আশা করি এ বছর কাজের যে পরিমাণের চাপ রয়েছে চাহিদা মতো বিক্রি ভালো হবে।
সময়মতো প্রতিমা তৈরিতে শিল্পিরা দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন। নগরীর নিতাইগঞ্জ এর শ্রী শ্রী বলদেব জিউর আখরা মন্দিরে প্রতিমা তৈরি করা কারিগর সুমন পাল যুগের চিন্তাকে বলেন, বংশ পরম্পরায় মৃৎশিল্পের সঙ্গে যুক্ত আমি। প্রায় ৭ বছর ধরে এই কাজে সম্পৃক্ত রয়েছি। ঠাকুর তৈরি ও সাজসজ্জায় আকারভেদ অনুযায়ী প্রত্যেকটির দাম ভিন্ন ভিন্ন। আর এই কাজ খুব নিখুতঁভাবে করতে হয় এবং সময়ও লাগে তুলনামূলকভাবে বেশি। এন. হুসেইন রনী /জেসি