রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১   ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সুযোগে সদ্ব্যব্যবহার ব্যবসায়ীদের

যুগের চিন্তা রিপোর্ট  

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৬:১৬ পিএম, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ শনিবার


নারায়ণগঞ্জের পাইকরি দিগুবাবু বাজারের মীর জুমলা সড়ককে গত ৫-৬ দিন যাবৎ হকার মুক্ত থাকার কারনে ফায়দা লুটছেন স্থানীয় দোকান ব্যবসায়ীরা। সব ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়তি বিক্রি করছেন এবং এর পাশাপাশি কোনো কিছুর দাম ছাড়ছেনও না। অন্যদিকে ভরা শীত মৌসুমেও বাজারে বাড়তি বিক্রি হয়েছে শাকসবজির দাম। অপরিবর্তিত রয়েছে ডিম ও মুরগির দাম।

 

 

ভোক্তারা বলছেন বাহানা আর সেন্ডিকেট করে সবজির দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে ব্যবসায়ীরা। দামের সাথে মিল না থাকার কারনে অনেকেই অর্ধেক বাজার নিয়ে ফিরছে। তবে অন্যান্য সপ্তাহের চেয়ে এ সপ্তাহে ক্রেতাদের সমাগম বেশি ছিলো।

 


মুরগি এবং ডিমের বাজার ঘুরে দেখা যায়, অপরিবতিত রয়েছে বয়লার মুরগির দাম। প্রতি কেজি বয়লার বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকা দরে। আর ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকা দরে। ১শো পিস ডিম বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার  শো টাকা দরে। অন্যদিকে দেশি পেয়াজের দাম আবার ও সেঞ্চুরী। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকা দরে। ইন্ডিয়ান বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা দরে।

 

 

প্রতি পাল্লা আলু বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বেশ কয়েকটি আসবজি দাম প্রায় ১শো ছুই ছুই অবস্থায় রয়েছে। এর মধ্যে খাসি বেগুনিরে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকা দরে। মটরশুটি প্রতি কেজি ৯০-১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ফুলকপি ও বাধাকপি বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিস ৭০-৮০ টাকায়। কাচা মরিচের প্রতি কেজি ৮০ টাকা।

 


অন্যদিকে মীরজুমলা সড়ক থেকে ভাসমান মাছের বাজার উচ্ছেদ করার কারনে যেন আকাশে ঈদের চাঁদ দেখেছেন মাছ ব্যবসায়রি। নিজেদের ইচ্ছে মতো দামে বিক্রি করছেন মাছ। তেলাপিয়া মাছের প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০-৩০০ টাকা দরে। পাঙ্গাস বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা দরে এবং ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১ শো টাকা দরে। বাজারের এমনই অবস্থা হতাশা প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা।

 


তাদের ভাষ্য মতে, এমনিতেই বাজারের অবস্থা আগে থেকেই খারাপ তার উপর যারা বাশেরবাতি বা সড়কে বসে সবজি বিক্রি করতো তাদের বসতে না দেওয়ার কারনে দোকানদাররা কোনো কিছুর দাম কম রাখে না। আরো বাড়িয়ে বিক্রি করছে। আগে এক দোকানে বেশি হলে আরেক দোকানে কমই পাইতাম কিন্তু বর্তমানে কোনো উপায় না পেয়ে বাধ্য হয়ে তাদের থেকেই বেশি টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে। বাজারে আসলেই দেখি বিক্রেতারা দাম তাদের হাতের মুঠোয় করে রেখেছেন।      

 


 
নাসির নামে এক ব্যাক্তি বলেন, বাজারে আইসা দ্রব্যমূল্যের দাম শুনেই মাথা গরম হয়ে যায়। সাধারণ একটা সবজির দাম এতো বাড়ে কীভাবে। বাজারের উপরে সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রনই নাই। আজকে এই অজুহাত তো কালকে আরেক অজুহাত এরকম করে আর কয়দিন। বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে ব্যাবসায়ীরা সেন্ডিকেট করে দ্রব্যের দাম বাড়িয়ে দেয়।

 

 

আর সেটা ভোক্তা অধিকারের লোকেরা দেখে কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহন করে না। ১ সপ্তাহ ধইরা নতুন বাহানা পাইছে কি ফুটপাতের সবজি বিক্রেতরার নাই। এই কারনে দোকান যাদের আছে তারা দেখেছেন তাদের থেকে কিনা ছাড়া আমাগো কোনো উপায় নাইত তাই তারা মনে মনে বলতাছে এই সুযোগে এবার ক্রেতাগো গলায় ছুড়ি ধরি।     এন. হুসেইন রনী  /জেসি